গত ২৪ আগস্ট স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় নিউইর্য়কের কুইন্সে অবস্থিত সাউথ জ্যামাইকার বেসলে পন্ড পার্কের ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ক্রিকেট লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগের দিন ফুটবল লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। লীগে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও গায়েনা, হিস্পানিক, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মোট ১০টি অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল ও ৫টি অনুর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দল অংশ নেয়।

নিউইয়র্ক : যুব ফুটবল ও ক্রিকেট লীগ বিজয়ী এবং বিজেতা বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়দের সাথে অতিথিবৃন্দ।
যুব ক্রিকেট লীগের শিরোপা হাতে সন্দ্বীপ স্পোটিং ক্লাবের খেলোয়াড়দের সাথে অতিথিবৃন্দ
ক্রিকেট লীগের ১০টি দলের মধ্যে ফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলাদেশি অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল ব্রঙ্কস রয়েলস এবং সন্দ্বীপ স্পোটিং ক্লাব। ফাইনাল খেলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্রঙ্কস রয়েলস ২০ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১০৮ রান করে। জবাবে ১০৯ রানের জয়ের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ১৪.৪ ওভার ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় সন্দ্বীপ স্পোটিং ক্লাব। এবারই প্রথম সন্দ্বীপ স্পোটিং ক্লাব ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে যুব ক্রিকেট লীগের শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করে।
ব্যক্তিগত ২ উইকেট ও ৩৫ রান করে ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন সন্দ্বীপ স্পোটিং ক্লাবের খেলোয়াড় সাব্বির আহমেদ এবং ক্রিকেট লীগে ম্যান অব দ্য সিরিজ হন নিউইর্য়ক টাইগার্সের সাফওয়ান।
এদিকে ব্রুকলিন লায়ন্স ২-০ গোলে ড্রগলাম টাইগার্সকে হারিয়ে ফুটবল লীগের শিরোপা জিতে নেয়। ফুটবল লীগের ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত আরসালান।
ফুটবল ও ক্রিকেট লীগের বিজয়ী ও রানার আপ দল, সেরা খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথিরা।
পুরস্কার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন এনওয়াইপিডি কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ইন্সপেক্টর ভিক্টোরিয়া পেরি, ডেপুটি ইন্সপেক্টর ম্যাকল, পেট্্েরাল ব্যুরো কুইন্স সাউথের এসিস্ট্যান্ট চিফ কেভিন উইলিয়ামস, পাবলিক স্কুল এথলেটিক লীগের ডেপুটি কমিশনার বেসাথ, ইয়থ সার্ভিসেস এন্ড কমিউনিটি এনগেঞ্জমেন্টের পরিচালক আলদিন ফস্টার।
পুরো টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এনওয়াইপিডি কমিউনিটি অ্যাফের্য়াসের একমাত্র বাংলাদেশি সার্জেন্ট মোহাম্মদ লতিফ। তিনি এ ব্যাপারে বলেন, এনওয়াইপিডি কমিউনিটি অ্যাফের্য়াস ব্যুরো, ইমিগ্র্যান্ট আউটরীচ দ্বারা আয়োজিত পুলিশ কমিশনার যুব ফুটবল ও ক্রিকেট লীগের যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। প্রতি বছর জুলাই ও আগস্ট মাসে আয়োজিত টুর্নামেন্টে ৩০০ থেকে ৪০০ তরুণ খেলোয়াড়রা অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীদের বয়সসীমা ১৪ থেকে ১৯ বছর এবং তারা সবাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সন্তান।
গত ২৬ জুলাই টুর্নামেন্টের খেলা শুরুর পর থেকে ইমিগ্র্যান্ট আউটরিচ ইউনিটের কর্মকর্তারা ক্রমাগত বিভিন্ন কমিউনিটির যুবকদের সাথে নিরিবচ্ছিন্ন সংযোগ বজায় রেখে আসছিল। যুবকরা যেন একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জীবন, নিরাপত্তা এবং মাদকসেবনের কুফল সর্ম্পকে গুরুত্বপূর্ণ টিপস অন্তর্ভূক্ত করা হয়। মাদকের ছোবলে যুবসমাজ আজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়তে হলে ক্রীড়াঙ্গনকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নিউইর্য়কের সিটি হলে তরুণ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফিকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয়। তরুণরা সামনাসামনি বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিল।