কঙ্গোতে ভয়াবহ নৌদুর্ঘটনায় অন্তত ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেক। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইকুয়েটর প্রদেশে দুটি পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে লুকোলেলা এলাকায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে চলা একটি বড় নৌকায় আগুন ধরে যায় এবং তা কঙ্গো নদীতে ডুবে যায়। স্থানীয় সূত্র বলছে, মালাঞ্জে গ্রামের কাছে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এর এক দিন আগে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাসানকাসু এলাকায় আরেকটি মোটরচালিত নৌকা ডুবে যায়। এতে কমপক্ষে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। নিখোঁজের সংখ্যা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, অতিরিক্ত যাত্রী তোলা আর রাতের অন্ধকারে চলাচলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় কিছু সংগঠন বলছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি এবং সরকারের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় করে আছে মানুষ, অনেকেই আপনজন হারিয়ে শোকে কাতর।
কঙ্গোতে সড়ক কম থাকায় মানুষজন নিত্যদিন এভাবে কাঠের নৌকায় যাতায়াত করেন। নৌকাগুলোতে সাধারণত অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়, থাকে না পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট। অনেক সময় এসব নৌযাত্রা হয় গভীর রাতে, ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকাজও হয়ে ওঠে কঠিন।
এর আগেও কঙ্গো সরকার নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা ঠেকাতে নানা সতর্কতা দিয়েছিল। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে বহু মানুষ এখনো সস্তা ও অনিরাপদ এই যাতায়াতের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ঠিকানা/এনআই


ঠিকানা অনলাইন


