সংসারজীবনে কখন কী হয়, তা খুব কম মানুষই আগেভাগে বুঝতে পারেন। যেই মানুষটি আপনাকে ছাড়া এক দণ্ড কাটাতে পারতেন না, তিনিও আপনাকে ছেড়ে যাবার জন্য উঠেপড়ে লাগতে পারেন। তাই দাম্পত্য জীবন নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে কখন যে স্ত্রী আপনার হাতে ভিভোর্স পেপার ধরিয়ে দেবেন, তা ধরতেও পারবেন না। তাই চেষ্টা করুন এসব ভুল এড়িয়ে যাওয়ার। না হলে তিলে তিলে সাজানো সংসার জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যেতে বেশিক্ষণ লাগবে না।
১. প্রতিদিনের ঝামেলা
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতেই পারে। এটা যেকোনো স্বাভাবিক সম্পর্কেই হয়। কিন্তু তাই বলে প্রতিদিন ঝামেলা হলে বুঝতে হবে কোথাও একটা বড় সমস্যা আছে। আর ঠিক এ কারণেই স্ত্রী ডিভোর্স চাইতে পারেন। তাই সম্পর্ক বাঁচাতে আজই ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করুন। আর যা-ই হোক, স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করবেন না।
২. শারীরিক সম্পর্ক
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক খুবই জরুরি। এর ওপর ভর করেই দাম্পত্যের ভিত মজবুত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের বছরখানেক পরই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ হারান দম্পতিরা। তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। পারস্পরিক দূরত্বের কারণে স্ত্রীরা ডিভোর্সের কথাও বলতে পারেন। তাই নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে হবে।
৩. ভুল-বোঝাবুঝি
একসঙ্গে থাকলে মাঝেমধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হতেই পারে। কিন্তু মুশকিল হলো কিছু দম্পতি নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হওয়ার পরও তা মেনে নিতে চান না। এর ফলেই সম্পর্কের ভেতর জন্ম নেয় ক্ষোভ। ভালোবাসা উবে যায়। তাই সংসার ধরে রাখতে চাইলে ভুল-বোঝাবুঝি কাটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
৪. সন্দেহপ্রবণতা
কিছু পুরুষ অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ হন। তারা স্ত্রীকে সব সময় নজরবন্দী করে রাখতে চান। এমনকি পান থেকে চুন খসলেও তারা স্ত্রীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। আর স্বামীর এমন আচরণ স্ত্রীর বুকে শেলের মতো ফোটে। একটা সময়ে তার সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তখন তিনি সরাসরি স্বামীর কাছে ডিভোর্স চান। তাই আপনার মধ্যে এই অভ্যাস থাকলে আজই শুধরে যান।
৫. নেশা
অনেক পুরুষের কাছে নেশাই সব। তারা নেশা করে বাড়ি ফিরে রোজ স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করেন। আর তাদের এমন আচরণ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নারীরা। তারা কিছুদিন সহ্য করার পর সরাসরি স্বামীর কাছে ডিভোর্স চান। তাই নিজের দাম্পত্যকে বাঁচাতে চাইলে মদ্যপান করার অভ্যাসটা ছাড়ুন। তাহলেই দেখবেন স্ত্রীর মুখে হাসি ফুটবে। আপনার দাম্পত্যেও ফিরে আসবে হারানো প্রেম।
ঠিকানা/এনআই