সুরীত বড়ুয়া
বৃক্ষের পাতাঝরা দিনে আগাম বার্তা পাঠায়-
হেমন্তের শিশির জড়ানো সকাল,
গোধূলির হলুদ আলোয় বিষণ্নতার ছোপ ছোপ অন্ধকার,
প্রগাঢ় নিস্তব্ধ নীরবতায় আটকে আছে আমাদের কথোপকথন;
বুকের ভেতর শুনি শব্দের হাহাকার,
আমাদের শেষ কথাগুলো গড়িয়ে যায় অন্ধকারের উজান বেয়ে,
বিরহ বিচ্ছেদের নূপুর বাজে পায়ে।
আকাশ উপুড় হয়ে আছে আজ। পিপাসার্ত চাতক,
বৃষ্টির বারিধারা অবিরাম অবিশ্রান্ত ঝরে চরাচর;
বৃক্ষের গায়ে লেগে থাকে শ্বেতচন্দনের দাগ,
সোহাগী বাতাস এলোমেলো, তুমুল শব্দের নাচন কবির কুঞ্জবনে,
শিহরিত তনুমন, এখানে শুধু কথার নৈশব্দ্যতার বিপুল আয়োজন;
কবিহীন ঘরে-এখন কবিতার বিশ্রাম প্রয়োজন।
কোজাগরী রাতে-কিংবা শুক্লা পূর্ণিমা তিথিতে-
নক্ষত্র বিছানো ছায়াপথে, অকস্মাৎ যদি দেখা পাই,
বাকরুদ্ধ। দূরত্ব আকাশ-মৃত্তিকা ধ্যানী মৌন তাপস;
জ্যোৎস্নায় ধোয়া পৃথিবী, তবুও দেখি অন্ধকার বিভাবরী,
বিবর্ণ বিশুষ্ক পথে চলিছেন একা অনন্ত পথের যাত্রী, শহীদ কাদরী।




