Thikana News
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের অনৈতিক প্রক্রিয়া!

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের অনৈতিক প্রক্রিয়া!
সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের, পদত্যাগে বাধ্য করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির যে ব্যবস্থা রয়েছে, বর্তমানে তা অনুপস্থিত; যা ক্ষমতাসীনদের বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের মনোনীত ও নির্বাচিত। জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী এবং তাদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি, অপরাপর ইসলামি দলগুলোও শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখার পক্ষে নয়। কিন্তু প্রচলিত সাংবিধানিক ব্যবস্থায় তা সম্ভবও নয়। আবার জোরজবরদস্তিমূলক, অনৈতিকভাবে কিছু করা হলে তা খারাপ দৃষ্টান্ত হবে। অভ্যন্তরীণভাবে যেমনি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বে এর প্রতিক্রিয়া শুভকর হবে না- এমন ভাবনা সরকারের উচ্চতর পর্যায়ে কাজ করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের প্রতিকৃতি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস, মিশনগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দূতাবাস এ ব্যবস্থা নেয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, সচিবালয়, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলা হবে।
সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় সরকারপ্রধান কর্তৃক বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করার, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিদেশ সফরের পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে জানানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা নেই। জোট সরকারের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ রীতি রুদ্ধ করেননি। তবে নিয়মিত বা অধিকাংশ সময়ই তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার রীতি অনুসরণ করেননি। লক্ষণীয় ব্যতিক্রম ছিলেন বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রেই সশরীরে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে নিয়মিত অবহিত করতেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী আচরণ করে আসছেন সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেওয়া ছাড়া তিনি আজ পর্যন্ত বঙ্গভবনমুখী হননি। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো বিদেশ সফরের ফলাফল সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত রাখার প্রথা রক্ষার তাগিদ বোধ করেননি। সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পদ্ধতি জটিল হলেও তা সম্ভব ছিল যেভাবে প্রফেসর বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণ করা হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তে প্রজ্ঞাপন জারি করে, জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের সুযোগ অবশ্য ক্ষমতাসীনদের রয়েছে। কারণ দেশে সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা কার্যকর নয়। মানসিকভাবে আঘাত করে পদত্যাগে বাধ্য করার অভাবনীয় চাতুর্যের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এটা এক খারাপ নজির হয়ে থাকল।

কমেন্ট বক্স