Thikana News
০১ অগাস্ট ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

উচ্চকক্ষের পিআর নিয়ে কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা, পরে কোলাকুলি

উচ্চকক্ষের পিআর নিয়ে কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা, পরে কোলাকুলি ছবি : সংগৃহীত

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক জাভে রাসিনকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার কটাক্ষ করে ‘২৩ সালে কোথায় ছিলেন’— মন্তব্য করলে সংলাপে উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও পরে ক্ষমা চান হুদা। ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)  রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ২৩ দিনের সংলাপে এক পর্যায়ে এমন পরিস্থিতি্র সৃষ্টি হয়।

 

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (নিউজ) সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের পরে পিআর নিয়ে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা উচ্চকক্ষের হাতে দিতে চান না। উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিদের অনির্বাচিত অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা থাকেনা।

সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য শেষ করার পর, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন বলেন, ভোটের সংখ্যানুপাতিকের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠিত হলে, সেটি তো জনগণের প্রতিনিধিত্বের প্রতিফলন হয়। সে এ বিষয়ে সালাহউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখন সালাহউদ্দিন একটি ব্যাখ্যা দেন।

 

তখনই জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোটের সমন্নয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা মাইক ছাড়াই জাভেদ রাসিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ২০২৩ সালে যখন আন্দোলন হচ্ছিলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। তখনই জাভেদ রাসিন তার প্রতিবাদ করেন (মাইক ছাড়াই) এবং এর সাথেই সংলাপে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাদের দুজনই মাইক ছাড়া পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন।

 

এ পর্যায়ে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন ‘ হুদা ভাই, এর আগেও আপনারা একজনের বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তখন আমরা থামিয়েছিলাম। এখানে আমরা কে কেন এসেছি, সে প্রশ্ন তুললে বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারন আজকে যদি সে প্রশ্ন করেন, তাহলে রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে, আমাকেও সে প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা সে আলোচনায় যাচ্ছি না।

 

এরপর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘তিনি (হুদা) এই কথা বলতেই পারেন না।’ এ সময় সালাহউদ্দিন তাকে থামতে অনুরোধ করেন। আখতার তখন বলতে থাকেন, ‘আমরা বাচ্চাকাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি।’

তখনই আলী রীয়াজ বলেন কারও লোকাস স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে প্রশ্ন করার দরকার নাই। বলেন, প্রত্যেকের লোকাস স্ট্যান্ডার্ড আছে বলেই আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি। তখন আখতার বলেন, ‘গায়ের জোরে এসব প্রশ্ন করলে তো আমরা মানব না।’

আলী রীয়াজ তখন বলেন, আমি তো হস্তক্ষেপ করলাম। আখতার তখনও বলেন, সবাইক নিয়ে আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছি। গোটা অভ্যুথানে ছাত্র জনতা মাঠে নেমে আসলো, সেটার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। এর জন্য ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

এসময় সালাহউদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আচ্ছা হুদা ভাই, আপনি সরি বলেন’। এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জেনায়েদ সাকী এ বিষয়ে কথা বলতে উঠে দাঁড়ালে, আলী রীয়াজ তাকে অনুরোধ করে বসিয়ে দেন। এ সময় সাকী কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন, তবে মাইক ছাড়া তা শোনা যায়নি।

এ সময় সালাহউদ্দিন তখন হুদাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কেউ যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকে, তার জন্য সরি বলেন।’ তখন এহসানুল হুদা মাইক নিয়ে বলেন, আমি বলতে চেয়েছিলাম ২০২৩ সালে আমরা উচ্চকক্ষের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তখন সে প্রস্তাবটি (পিআর) কোথায় ছিল। তারপরও কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকে, আমি দুঃখিত।

 

এরপরই আলী রীয়াজ মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঘোষণা করেন। বিরতির সময়ে সম্মেলন কক্ষে হুদাকে আবার আখতারের কাছে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তার সাথে কোলাকুলি করতে দেখা যায়।

 

ঠিকানা/এএস


কমেন্ট বক্স