এ এক অশরীরীয় আঁচড়ের অধ্যুষিত ক্যানভাস!
ভিঞ্চির সেই মনোলোভা মোনালিসা আঁকতেই চমকালামÑ
পাথর চোখেতে থমথমে রক্তাশ্রু-হাসি লাপাত্তা!
আঁকা শেষে চঞ্চলা ওই ঝরনাও যেন স্তব্ধ পথিক!
তারাভরা পূর্ণিমা! সেও হঠাৎ নিকষ অমাবস্যা!
টগবগে প্রাণে ঘোড়ায় গেলামÑআঁচড়েই ভরকে ফতুর!
কেশর ফুলানো কালিয়া; সে বেটাও লাফিয়ে হাওয়া!
গাছের লাল ঝুঁটি কাকাতুয়া, শেকল পরিয়ে আঁকলামÑ
ঝংকারে শেকল ছুটিয়ে সে বন্দী বিহঙ্গও উড়াল,
পতপত করে দুটো ডানা মেলে একেবারে ফুরুৎ!
স্বস্তিতে নির্বিকারে উড়োজাহাজই এঁকে ফেলিÑ
জানালার শিক গলে তুলোর মতো তাও দেখি পগারপার!
কী যে ভয়ংকর লোমহর্ষক এই ভুতুড়ে ফাঁকা ক্যানভাস!
ভাবিÑতবে তিন মাসের ওই ছোট খোকাবাবুটাই সই!
পদব্রজে রওনা দেওয়া তো দূর চুপচাপ বসেই রবে!
উফফ্! ভুল সব ভুল আলাজিহ্বা দেখিয়ে সে পণ্ডিতও দৌড়!
বাপরে বাপ! ভয়ংকর আগ্রাসী এই ক্যানভাস, খুব ভড়কালাম!
ঘোড়া আঁকতে না আঁকতেই লাফিয়ে উঠে ঠিকই হাওয়া,
কাকাতুয়া দু’ডানায় ফুরুৎ, খোকনও সোজা রওনা!
পরিশেষেÑসুকৌশলে বেশ খানিকটা ভেবেচিন্তে
দক্ষতায় শেক্সপিয়ারের সেই কালজয়ী বিখ্যাত
প্রাণহীন যে রূপীয়সী ‘জুলিয়েট’Ñতাকেই এঁকে ফেললাম!
ওমা! তাতেও মহা ভ্রান্তি, আমার সবেধন ওই নীলমণি
পিরিত-পাখি একমাত্র প্রাণখানাই সুরুৎ করে দৌড়ে
বুকের পাঁজর ভেঙে বেরিয়ে গেল তাকে বাঁচাতে!