বিমানটা ছাড়লেই দেখা হবে আমাদের!
হঠাৎ এভাবে ডাক আসবে কখনো ভাবিনি।
গগনভেদী এই ডাকে, আমি সাড়া না দিয়ে কী করে থাকি বলো?
আমিও কি তোমার ডাকের অপেক্ষায় এত দিন?
তা না হলে আমার ভেতরে এমন তোলপাড় হবে কেন?
তোমার চিন্তায় উতল আমার মন
দর্শন লাভের উদগ্র বাসনা নিয়ে বেরিয়েছি পথেÑ
বিমানটা ছাড়লেই ঠিক দেখা হবে আমাদের!
দেখা হলে, আমার স্বপ্নের কথা বলব তাকে।
কীভাবে টিনের চালের বৃষ্টির শব্দ, ঘর থেকে বের করে আনে
কীভাবে দিনের আলো অন্ধকারে ঢেকে যায়
কীভাবে জোনাক জ্বালে আলো
কীভাবে মানুষ মারে ফিলিস্তিনে
মা কীভাবে হাতে মেহেদির রং নিয়ে চলে গেল
কীভাবে বাবার সোনালি মাছগুলো আমাদের হাতে এল
দেখা হলে বসে চরণতলে মৃদুস্বরে, সব বলব তাকে।
বলব একটু দেরিতে হলেও এসেছি তোমার কাছে, আমাকে গ্রহণ করো।
বলব যে আমাকে বুকে তুলে রাখে আমি তার
যে আমাকে ক্ষমা করে, ভালোবাসে, আমি তার
যে আমার শত অপরাধ প্রকাশ করে না আমি তার
যে আমার ভরণ-পোষণে অপ্রসন্ন নয় আমি তার
যে আমাকে অনন্ত যৌবন দান করে আমি তার।
বলব একটু দেরিতে হলেও এসেছি তোমার কাছে, আমাকে গ্রহণ করো।
বিমানটা ছাড়লেই ঠিক-ঠিক দেখা হবে আমাদের!
তখন চিৎকার করে বলব, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা-
লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক...’