Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্ক জোরদারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান

সম্পর্ক জোরদারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ছবি : সংগৃহীত
ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নবযুগে প্রবেশের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশ তিনটি। খবর : আলজাজিরা। ১৮ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসির ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিডে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক থাকলেও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক আচরণ এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মুখে এই বৈঠক করেন তিন দেশের নেতা। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী ও অভিন্ন সমৃদ্ধির প্রচারে আমরা আমাদের অঙ্গীকারের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ এ সময় দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ‘বিপজ্জনক ও আক্রমণাত্মক আচরণ’ এবং পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কার্যক্রমের নিন্দা জানান তারা।

যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান নিজেদের মধ্যকার জটিল সমস্য সমাধান করায় ১৮ আগস্ট বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা ও ইউনের প্রশংসা করেন বাইডেন। এ সময় তারা বাইডেনের পাশেই ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠক শেষে তিন দেশের মধ্যে বেশকিছু কর্মসূচির কথা জানানো হয়। তারা বলছেন, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বার্ষিক সামরিক মহড়া, তিন দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো এবং আগাম সতর্কবার্তার জন্য সাপ্লাই-চেইন স্থাপন।

তারা আরও জানান, আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলায় একটি হটলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে তিন দেশ। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে বার্ষিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন রয়েছে। তবে তিন দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল তিন দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। এবারের সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বৈরিতা নিরসনকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। কেননা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় তাদের এই বৈরিতাকে বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।



ঠিকানা/এম

কমেন্ট বক্স