জ্যাকসনহাইটস এলাকবাসীর উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় ১৫ আগস্ট দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়। জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর উদ্যোগে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে বিকেল চারটা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠানের। বিপুল সংখ্যব মানুষ দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন ও তবারক গ্রহণ করেন। এই সময়ে জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা আগত মানুষের হাতে খাবার তুলে দেন। এছাড়া অনুষ্ঠান স্থলেও খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সেখানে অনেকেই তবারক খান।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে শোক দিবসের তবরাক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের যেসব সদস্যকে ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়, তাদের সবার জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা এবং অন্যান্য সকলের আত্নার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল চারটায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সভাপতি শাকিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নমি। তারা দুইজনই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন জেবিবিএ-এর সাবেক সভাপতি ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাহনেওয়াজ, জেবিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, শাহ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শাহ জে চৌধুরী, ব্যবসায়ী নেতা মাহাবুবুর রহমান টুকু, আহ্বায়ক মীর নিজামুল হক, রফিক আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ানসহ বেশ কয়েকজন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্র্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। সেই সাথে বক্তৃতায় বক্তারা ১৫ আগস্টের সেদিনের ভয়াল রাতের কথা তুলে ধরেন। সেদিনের সেই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদায়ক। এই ধরণের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য অতিথিদের পক্ষ থেকে শাকিল মিয়া এবং মোহাম্মদ নমিকে ধন্যবাদ জানান। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। মোহাম্মদ নমি বলেন, আমরা প্রতি বছরই চেষ্টা করছি অনুষ্ঠানের পরিসর আরো বড় করার জন্য। গত বছরের চেয়ে আমরা এবার আরো বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করছি। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে এর চেয়ে বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করার। তিনি বলেন, প্রতি বছর এখানে আমরা এই অনুষ্ঠানে আয়োজন করছি। এবারও করেছি। একটি অনুষ্ঠান করতে গেলে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন। নানা কথা ও সমালোচনা হবেই। এই সমালোচনাকে এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ভবিষ্যেত আরো বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করতে পারবো। এরপর অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথির মধ্যে তবরাক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাহনেওয়াজ এবং তার সহধর্মিনী রানো নেওয়াজ ও জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার হাতে খাবার তুলে দেন। উল্লেখ্য, এই বছরও সহস্রাধিক মানুষকে তবারক দেয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। এবার অনুষ্ঠান বিকেলে শুরু হয়ে চলে রাত পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সভাপতি সাকিল মিয়া, আহ্বায়ক মীর নিজামুল হক, সদস্য সচিব সোহেল গাজী এবং সাধারণ সম্পাদক মো: আলী নমি, অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো: এ আজাদ, মিয়া মোঃ দুলাল, আব্দুল মালেক ও আব্দুল হামিদ। পরিচালনায় ছিলেন শাহনেওয়াজ। সদস্য সচিব হাজী এনাম, মোঃ মাহবুবব রহমান এবং ডিউক খান। তত্বাবধানে ছিলেন শা জে চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী মইনুল ইসলাম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক আসেফ বারী টুটুল, চেয়ারম্যান মামুন মিয়াজী, চেয়ারপারসন বিপ্লব সাহা, কো চেয়ারপারসন সাখাওয়াত বিশ্বাস, পৃষ্ঠপোষক নুরুল আজিম, ফাহাদ সোলায়মান, তারেক হাসান খান, এটর্নী মঈন চৌধুরী, জেড আর চৌধুরী (লিটু) ও আহসান হাবিব।
সহযোগিতায় ছিলেন মইনুল ইসলাম, শাহ জে চৌধুরী, বারী হোম কেয়ার, আশরাফুল আলম খোকন, হাজী এনাম, ডেরা রেস্টুরেন্ট, মেসবাহ আবেদীন, শেখর কৃষ্নান, ডা: ফেরদৌস খন্দকার, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন, সি কে (অভি), মনসুর চৌধুরী, প্রিমিয়াম সুইটস, মামাস রেস্টুরেন্ট, নরুল আমিন বাবু, নুরুজ্জামান সর্দার, ফরহাদ রেজা, নিলুফা শিরিন, হাসান জিলানী, মোহাম্মদ আলী, মোঃ কে ভূঁইয়া, গোলাম হাসান, রফিকুল ইসলাম , আক্তার ভূঁইয়া, আকতারুল রহমান মামুন, রনি, মো: কামরুজ্জামান, মো: জাহিদ মিয়া, মোঃ নাজের উদ্দিন, সাঈদ খান, রাজু আহমেদ, মফিজুর রহমান, জেবিবিএ, হাসান মাহমুদ সোহেল, মোঃ লুৎফর রহমান চুন্নু, আলমগীর হোসেন, মোঃ আশরাফুল আজিজ, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুর রহিম ভূইয়া, মোঃ আবু তাহের, মোঃ আনেয়ার হোসেন (অনু), আহাত ভূঁইয়া, ডা: তৌহিদ শিবলী ও গোল্ডেন এইজ হোম কেয়ার।
উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন হারুন ভূঁইয়া, মোঃ মহিউদ্দিন দেওয়ান, জয়নাল আবেদীন, রাশেদ আহমেদ, ইশতিয়াক রুমি, সিরাজুল হক কামাল, মহসিন ননী, কামরুজ্জামান কামরুল, প্রদীপ সাহা, কাজী শামসুদ্দোহা, মনসুর চৌধুরী, মোঃ পিয়ার, মোল্লা মাসুদ, রফিকুল আহমেদ, ইকতারুজ্জামান রতন, মো: কবির রতন, বিদ্যুৎ দাস, জে মোল্লা সানি, এলিন রহমান, দেবাশীস দাস রব, শফিউদ্দিন মিা, শহাদাৎ হোসেন।
সার্বিক সহযোহিতায় ছিলেন, মোঃ মানিক বাবু, শেখ নোমান পলাশ, আসাদুল ইসলাম আসাদ, মো: হাসনাত হাসান, শামস জনি, শাহীন চৌধুরী, আফতাব জনি, আকরাম হোসেন বিপ্লব, নিহার সিদ্দকী, আলম খান আলম, মো: সায়েম উল্লাহ, মুক্তা মিয়া, গোপাল সান্যাল, ওয়াসীম, নান্টু মিয়া, গনেশ কীর্তনীয়, মো: রাদবি, শাহরিয়ার হোসেন, শোভন, কবির চৌধুরী জেসী।