Thikana News
১৮ মার্চ ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

নর-নারীর বিবাহবন্ধন

বিবাহ স্বর্গ নরক কোনোটাই নয়, এটি কেবল শোধনের ব্যবস্থা। বিয়ে করার ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা, সার্টিফিকেট, চাকরি, সৌন্দর্য এগুলো হলো প্রাথমিক যোগ্যতা
নর-নারীর বিবাহবন্ধন
বিবাহ নর-নারীর জীবনে বয়ে আনে পূর্ণতার বার্তা। বিয়ের মাধ্যমেই নর-নারীর যৌথ জীবনের সমাজস্বীকৃত যাত্রার শুরু হয়। বর্তমান সমাজব্যবস্থায় বিয়ের গুরুত্ব দু-এক কথায় বলে শেষ করার মতো নয়। বিয়ে নর-নারীর জীবনে মানসিক ও শারীরিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বংশের ধারা অব্যাহত রাখার অপরিহার্য সামাজিক হাতিয়ার। বিয়ের মাধ্যমে নর-নারী সংসার গঠন করে একে অপরের দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে। একটি বিয়ে যেমন একটি নর আর একটি নারীকে দিতে পারে সুখী দাম্পত্য জীবনের স্বাদ, আবার বিপরীতভাবে দুটি জীবনকে পরিণত করে তুলতে পারে জ্বালাময় নরকে। শুধু দম্পতির মধ্যেই নয়, দুটি পরিবারের ওপরও বিয়ের প্রভাবে বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
একটি ভালো বিবাহের চেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ, প্রেমময় এবং মনোমুগ্ধকর সম্পর্ক, কথোপকথন বা সঙ্গ আর কোনো কিছুতেই নেই। বিয়ে হচ্ছে নিজের অধিকার আরেকজনের ওপর হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক দলিল। দুজনের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসার জন্য বিয়ের চেয়ে উত্তম পদ্ধতি আর কিছুতে নেই। ভালোবাসার কমতি নয়, বরং বন্ধুত্বের কমতির কারণেই বিয়েতে ভাঙন ধরে থাকে। বিয়ে করার অর্থ হচ্ছে নিজের অধিকারকে অর্ধেক করে নেওয়া এবং কর্তব্যকে দ্বিগুণ করা। বিয়ের পরে সেটা আর ভালোবাসা থাকে না, স্বামী-স্ত্রী যেন দুটো যন্ত্র হয়ে যায়। যেখানে সবকিছু চলে নিয়মমাফিক। ভালোবাসা হচ্ছে একটা অনিয়মিত চলমান গতিধারা। যখন সেখানে নিয়মকানুন পালনের বাধ্যবাধকতা চলে আসে, তখন সেটা আর ভালোবাসা থাকে না।
রোমান্স বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, সুখী বিবাহের জন্য অনুরাগী প্রেমের চেয়ে বেশি কিছু থাকতে হবে। স্থায়ী ইউনিয়নের জন্য তারা জোর দিয়ে বলেন, একে অপরের জন্য খাঁটি পছন্দ থাকতে হবে, যা আমার বইয়ে বন্ধুত্বের জন্য একটি ভালো সংজ্ঞা। বিবাহ বিশেষণ নয়, এটি একটি ক্রিয়াপদ। এটি আপনি পান এমন কিছু নয়, এটি আপনি কিছু করেন এমন কিছু। আপনি নিজের সঙ্গীকে প্রতিদিন এভাবেই ভালোবাসেন যেন। এই বিবাহ হাসিতে পূর্ণ হোক, স্বর্গময় হোক প্রতিদিন। বিবাহ শরৎকালে পাতার রং দেখার মতো, প্রতিটি ক্রমবর্ধমান দিনের সঙ্গে সর্বদা পরিবর্তনশীল এবং আরও অত্যাশ্চর্য সুন্দর।
সম্ভবত প্রথম বিয়ে এবং দ্বিতীয় বিয়ের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে দ্বিতীয় বার অন্তত আপনি জানেন যে আপনি জুয়া খেলছেন। কারও আসল রূপ চেনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে তাকে বিয়ে করা। বিবাহ শেষ পর্যন্ত অনুরাগী বন্ধু হওয়ার অনুশীলন। ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে আরও বেশি জ্যান্ত। বিয়ের আগ পর্যন্ত পুরুষেরা বুঝতে পারে না সুখ আসলে কী। যখন বুঝতে পারে তখন বড্ড দেরি হয়ে যায়। বিয়ের সঙ্গে তিনটি রিং জড়িত : এনগেজমেন্ট রিং, ওয়েডিং রিং এবং সাফারিং।
বিয়ে হচ্ছে বুদ্ধির কাছে কল্পনার জয় আর দ্বিতীয় বিয়ে হচ্ছে অভিজ্ঞতার কাছে আশার জয়। সুন্দরী মেয়েরা পারিবারিক জীবনে সবচেয়ে বেশি অসুখী হয়, কারণ তাদের ওপর বহু পুরুষের অভিশাপ লেগে থাকে। মানুষের একটা বয়স আছে, যখন সে চিন্তা না করিয়াও বিবাহ করিতে পারে, সে বয়স পেরোলে বিবাহ করিতে দুঃসাহসিকতার দরকার হয়। মনের মতো মানুষ ছাড়া সংসার করা আর ডাস্টবিনের পাশে বসে থাকা একই কথা। বিবাহিত পুরুষ অবিবাহিত পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। কিন্তু বিবাহিত পুরুষদের মরার ইচ্ছা বেশি।
এটা জাগতিকভাবেই স্বীকৃত, যে ব্যক্তি নিজের ভাগ্যকে ভালো করার পেছনে ছোটে, সে সব সময়ই বিয়ের মাধ্যমে একজন ভালো বউ পাওয়ার আশা রাখে। সুতরাং এটি সহজ হবে না। এটি সত্যিই কঠিন হয়ে যায়। আমাদের প্রতিদিন কাজ করতে হবে, যখন আমরা আমাদের ভালোবাসি তখন আমরা বিয়ে করে সুখী হওয়ার চেষ্টা করি এবং আনন্দের সঙ্গে আমাদের প্রিয়জনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
বিবাহ স্বর্গ নরক কোনোটাই নয়, এটি কেবল শোধনের ব্যবস্থা। বিয়ে করার ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা, সার্টিফিকেট, চাকরি, সৌন্দর্য এগুলো হলো প্রাথমিক যোগ্যতা। মূল যোগ্যতা হলো আপনি তাকে কতটুকু সহ্য করতে পারেন, সে আপনাকে কতটুকু সহ্য করতে পারে। এটি প্রেমের অভাব নয়, বরং বন্ধুত্বের অভাব। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভালো। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে, ভালোবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয়, তাহলে হয়তো-বা ভালোবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালোবাসা এই দুইয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।
ছেলেরা বিয়ে করে কারণ তারা জীবন নিয়ে ক্লান্ত আর মেয়েরা করে কারণ হয়তো তারা কৌতূহলী বা বিমর্ষ। বিয়ের মাধ্যমে দুটো জিনিস ঘটে থাকে-এক হলো যদি আপনি ভালো বউ পান তবে আপনি ভালো জীবন পাবেন আর যদি খারাপ বউ পান তবে দার্শনিক হয়ে যাবেন। বিয়েকে ভালোবাসি এ কারণেই যে এর মাধ্যমে এমন একজনকে পাওয়া যাবে, যাকে সারা জীবন বিরক্ত করা যাবে। কোনো মেয়েই সেই ছেলেকে বিয়ে করতে চায় না, যে নিজেকে তার সৃষ্টিকর্তার নিকট সমর্পিত করতে পারেনি। একটা পরিপূর্ণ বিয়ে সেটা নয়, যেখানে ছেলে-মেয়ে উভয়ই পৃথকভাবে পরিপূর্ণ এবং মিল বিদ্যমান। বরং পরিপূর্ণ বিয়ে হলো সেটাই, যেখানে তাদের মধ্যে থাকে অমিল এবং তারা তা-ই উপভোগ করে।
বিয়ের সবচেয়ে বেশি মজা অবিবাহিতদের মনেই থাকে। বিয়ের মূল লক্ষ্য একই রকম ভাবা নয় বরং একসঙ্গে ভাবা। বিয়ে হলো সাবমেরিনের মতো, কেননা এটা ততক্ষণ পর্যন্তই নিরাপদ, যতক্ষণ আপনি ঘটে যাওয়া সবকিছু নিজেদের মধ্যেই রাখবেন। বিয়ে হলো একটা লম্বা আলাপচারিতা, যা সব সময়ই ছোট মনে হয়। বিয়ে হলো কিছু শেখার জন্য একটা চমৎকার প্রতিষ্ঠান। একটা সুন্দর বিয়ের প্রয়োজন কেবল একজনের ওপরই বারবার প্রেমে পড়ার জন্য। বিয়ের সৌন্দর্য একেবারে শুরুতেই পাওয়া যায় না বরং তা ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে। বিবাহিত পুরুষদের চেয়ে অবিবাহিত পুরুষদের মুখে নারীর শরীর নিয়ে গল্প বেশি শোনা যায়। বিবাহ কেবল আধ্যাত্মিক যোগসূত্র নয়, এটি আবর্জনা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো।
একটি ভালো বিবাহ হলো দুটি ভালো ক্ষমাকারীর মিলন। একটি দুর্দান্ত বিবাহ এমন কিছু নয় যা কেবল ঘটে, এটি এমন কিছু যা তৈরি করতে হবে। আমি যদি বিয়ে করি, তবে আমি খুব বিবাহিত হতে চাই। ভালোবাসার স্বাদ ততক্ষণ পর্যন্তই থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিয়ে না হয়। মেয়েরা বিয়ের আগে কান্নাকাটি করে আর ছেলেরা বিয়ের পর। ভালোবাসা মানে এই নয় যে কাউকে বিয়ে করতেই হবে, কখনো কখনো ভালোবাসার মানুষের সুখের জন্য বুকের ভেতরে শত যন্ত্রণা ঢেকে রেখে হাসিমুখে প্রিয় মানুষটিকে বিদায় দিতে হয়। বারবার স্বামীর প্রেমে পড়া একজন স্ত্রীর জন্য এবং স্ত্রীর প্রেমে পড়া একজন স্বামীর জন্য একটি সফল বিবাহের বৈশিষ্ট্য।
আমার সবচেয়ে উজ্জ্বল কীর্তি আমার স্ত্রীকে আমাকে বিয়ে করতে প্ররোচিত করতে সক্ষম হওয়ার যোগ্যতা ছিল। স্বামী-স্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি করা হলো একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কিন্তু আজীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রী হয়ে থাকার জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেটি হলো বন্ধন। আমি মনে করি, বিবাহের ধারণার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী, স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি সফল বিবাহের মূলে রয়েছে দৃঢ় অংশীদারিত্ব। একটি সুখী বিবাহ একটি দীর্ঘ কথোপকথন, যা সর্বদা স্বল্প মনে হয়। বিয়ে করার একটা সুবিধা হচ্ছে, তোমার ভুল-ত্রুটিগুলো আর তোমার কষ্ট করে মনে রাখার দরকার নেই।
এটা সত্য, কেউ পরাধীন হয়ে জন্মায় না, কিন্তু অনেকেই বিয়ে করে ফেলে। পানির অপর নাম জীবন, বিয়ের অপর নাম নতুন জীবন। বিয়ে মানে ট্র্যাজেডিধর্মী একটি রোমাঞ্চকর উপন্যাস, যার প্রথম পরিচ্ছেদেই হতভাগা নায়কের মৃত্যু হয়ে থাকে। যখন আপনার মাথায় টাক বাড়তে শুরু করবে, তখন বুঝবেন আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে, বিবাহিত লোকমাত্রই অভিজ্ঞ। জীবন একটাই, বিয়ে একাধিকও হতে পারে। পুরুষ মানুষ দুই প্রকার-জীবিত ও বিবাহিত।
মেয়েরা কেমন পুরুষ চায়? সুদর্শন, বিত্তবান এবং নির্বোধ। যার সঙ্গে জীবন কাটাতে চাও তাকে নয়, বরং যাকে ছাড়া জীবন কাটাতে পারবে না বলে মনে হয়, তাকেই বিয়ে করো। কিন্তু যেটাই করো না কেন, সত্যি কথা হলো পরবর্তী সময়ে পস্তাতে তোমাকে হবেই। বিয়ের আগে ছেলেটি যখন মেয়েটির হাত ধরে, সেটি হচ্ছে ভালোবাসা। আর বিয়ের পরে যখন ধরে, সেটি হচ্ছে আত্মরক্ষা।
মেয়েরা সত্যিই unpredictable. বিয়ের আগে তারা একজন পুরুষকে expect করে, বিয়ের পরে তাকে suspect করে, আর তার মৃত্যুর পরে তাকে respect করে। একটি মেয়ে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তিত থাকে, যত দিন তার বিয়ে না হয়। ছেলেদের চিন্তাটা বিয়ের পরে শুরু হয়। বিয়ে এমন এক আনন্দময় উৎসব, যেখানে যারা বিয়ে করে তারা ছাড়া সবাই আনন্দ-উল্লাসে ব্যস্ত থাকে। মেয়েরা বিয়ের সময় তাদের চেয়ে লম্বা জামাই খোঁজে। কারণ, সারা জীবন তারা স্বামীর সামনে মাথা উঁচু করে কথা বলতে চায়। সব বিয়েই সুখের। পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে থাকতে গিয়েই যত ঝামেলা হয়। বিয়ে মানে আপনার কর্তৃত্ব এমন একজন স্ত্রীলোকের হাতে তুলে দেওয়া, যে কোনো কিছু না বুঝেও জগতের সবকিছু বোঝে বা জানে সারাক্ষণ এমন ভাব ধরে থাকে। মেয়েরা আশা করে ছেলেরা বিয়ের পরে বদলাবে, কিন্তু তা হয় না। আর ছেলেরা আশা করে মেয়েরা বিয়ের পরেও একই রকম থাকবে, কিন্তু তারা বদলে যায়।
এটা সত্যি যে ভালোবাসা অন্ধ, তবে বিয়ে চোখ খুলে দেয়। বিয়ে এমন একটা বিষয়, যারা এখনো করেননি তারা সেটা করতে ব্যাপক আগ্রহ পোষণ করেন আর যারা ইতিমধ্যেই কর্মটা সেরে ফেলেছেন তারা অন্যকে এই ভুল না করার উপদেশ দিয়ে থাকেন। বিয়ে মানে ধৈর্যশীল হওয়ার পথের প্রথম পদক্ষেপ। কারণ বিয়ে করলে আপনি ধৈর্যশীল ও সহনশীল হতে বাধ্য। আমি বহুদিন আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিনি, আমি আসলে তাকে কথার মাঝখানে থামাতে চাইনি।
জীবনের জন্য বিয়ে, বিয়ের জন্য জীবন নয়। বিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যেই করতে হয়। এর বাইরে করা সম্ভব নয়। ভালোবাসা থাকলে বিয়ে না-ও হতে পারে, কিন্তু বিয়ে হয়ে গেলে ভালো ‘বাসা’ লাগবেই। আপনি বিয়ে করলেও সূর্য উঠবে, বিয়ে না করলেও সূর্য উঠবে। বিয়ের আগে ছেলেরা হাসে, মেয়েরা কাঁদে। আর বিয়ের পর? মেয়েরা হাসে, ছেলেরা কাঁদে। স্বামী আর স্ত্রী হলো একটি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, একসঙ্গে থাকলেও তারা কখনো মুখোমুখি হতে পারে না।
The secret of a happy marriage remains a secret. Arrange marriage-জেনেশুনে বিষের বোতলে চুমুক দেওয়া। খড়াব marriage-সেবনের পূর্বে ওই বোতলটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে পান করা। একজন বিবাহিত পুরুষ যতবারই তার চাকরি পরিবর্তন করুক না কেন, চিরকাল স্ত্রী নামক সেই একই বসের অধীনেই থাকতে হয়। ছেলেটি বলেছিল মেয়েটির জন্য সে দোজখে পর্যন্ত যেতে রাজি। আল্লাহ তাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের প্রথম বছর স্বামী বলে স্ত্রী শোনে, দ্বিতীয় বছর স্ত্রী বলে স্বামী শোনে আর তৃতীয় বছর থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই বলে আর পাড়া-প্রতিবেশীরা শোনে। 
বিয়ে মানে শ্বশুরকে আব্বা ও শাশুড়িকে আম্মা বলে ডাকা। নিজের বাবা-মা তখন হয়ে যায় বুড়ো আর বুড়ি। বিয়ে মানে আদর্শ মেয়ে ভেবে একজনকে বউ করে ঘরে আনা এবং বছর যেতে না যেতেই পাশের বাড়ির ভাবিকে আদর্শ বউ বলে ভাবা ও তুলনা করা।
বিয়ে জীবনের একটি নতুন দুয়ার উন্মোচন করে, সেটি হলো বাসরঘরের দুয়ার। বিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার নয়, তবে একবার বিয়ে করে ফেললে সব মৌলিক অধিকার দ্বিগুণ হারে মেটাতে হয়। বিয়ে মানে দিল্লিকা লাড্ডু (পুরোনো প্যাঁচাল), খেয়েছেন তো মরেছেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দুজন থেকে তিনজন, ক্ষেত্রবিশেষে চারজনে রূপান্তর। 
সুখী বিয়ে হলো সেটাই, যেখানে থাকে স্বার্থহীন ভালোবাসা। বিবাহ সেই সময়ের পরীক্ষা হয়, যখন আপনি এবং আপনার স্ত্রী বা উভয়ই বিষয়গুলোকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করেন। বিবাহ আপনাকে সারা জীবন একজন বিশেষ ব্যক্তিকে বিরক্ত করতে দেয়। বিয়ে না করলে ছেলেরা সারা জীবন ধরে ভাবত, তাদের জীবনে কোনো ভুল নেই। ভালোবাসা হচ্ছে একটি মিষ্টি স্বপ্ন আর বিয়ে হচ্ছে অ্যালার্ম ক্লক। বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেওয়ার ফাঁক পাওয়া যায় না। বিয়ে একটি বৈধ ও ধর্মসম্মত অনুষ্ঠান, যেখানে দুজন বিপরীত (সাধারণত) লিঙ্গের মানুষ পরস্পরকে জ্বালাতন করা এবং পরস্পরের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার শপথ নেয় তত দিনের জন্য, যত দিন না মৃত্যু এসে তাদের আলাদা করে। জীবনটা যে অর্থহীন, বিয়ে করার পরই শুধু চিরন্তন এই কথাটার সত্যতা বোঝা যায়।
 

কমেন্ট বক্স