Thikana News
৩০ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫


তনু-মুনিয়া-তিন্নি-লাভলীর পর ‘শিশু’

ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ভুক্তভোগীর পরিবার 

ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ভুক্তভোগীর পরিবার  সংগৃহীত



 
* এখনও জ্ঞান ফেরেনি সেই শিশুর
* ক্রমেই বাড়ছে নারী-শিশু ধর্ষণের পর হত্যা
* অভি-আনভীরসহ আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখনও অধরা
* শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ
* ক্ষোভে ফুঁসছে নারী সংগঠনসহ ছাত্র সমাজ


বাংলাদেশের বহুল আলোচিত তনু-মুনিয়া-লাভলী ও মডেল তিন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় এখনও ন্যায়বিচার পায়নি ভুক্তভোগীর পরিবারগুলো। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলেও আলোচিত এসব মামলার অভিযুক্ত আসামিরা এখনও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার আলোচিত আসামি অভি-আনভীররা প্রভাবশালী হওয়ায় এখনও অধরাই রয়ে গেছে। এদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে ৮ বছরের এক শিশু। সে এখন ঢাকার সিএমএইচএ আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। তার ফরেনসিকসহ অন্যান্য পরীক্ষার রিপোর্ট আজ সোমবার দেওয়ার কথা রয়েছে। মৃত্যুশয্যায় থাকা শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচএ যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবেই সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমেই বেড়ে চলছে নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা। নানা কৌশলে ধর্ষণের পর হত্যা এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে নারী সংগঠন ও ছাত্র সমাজসহ দেশের সাধারণ জনগণ। মাগুরায় শিশু ধর্ষণে মৃত্যুশয্যায় থাকায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ভুক্তভোগীর পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় তার মা মামলা করেন। ঘটনার দিন অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে অবনতি হলে গত ৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। শিশুটির মামা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যালে শিশুটিকে দেখতে অসংখ্য মানুষ আইসিইউতে ভিড় করায় শিশুটির সংক্রমণের ঝুঁঁকি তৈরি হয়েছিল। এমন অবস্থায় তাকে সিএমএইচ-এ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই হাসপাতালেও শিশুটি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। শিশুটির চিকিৎসায় চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড কাজ করছে। তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি, এখনও জ্ঞান ফেরেনি বলে চিকিৎসকরা তার আত্মীয়দের জানিয়েছেন।
এদিকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নারীবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সোচ্চার হয়ে ওঠে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠে নারী সংগঠন ও ছাত্র সমাজসহ দেশের সাধারণ জনগণ। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ওই শিশুর ছবি সরাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিতভাবে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার বিচার আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।  এদিন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান।
এদিকে রবিবার সকালে সেই শিশুকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে।
এদিকে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করা হয়েছে।
গত এক দশকে বেশকিছু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে যেগুলোর সুরাহা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবি, ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ মদদে ধর্ষণের পর এসব হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মুনিয়া হত্যার দায়ে প্রধান অভিযুক্ত বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে দায়মুক্তিও দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২০ মার্চ মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত বাদীপক্ষের নারাজির আবেদন নাকচ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। পরে মনিয়ার বোন নুসরাত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে হাইকোর্টে মামলার শুনানিকে প্রবাবিত করতে আসামিপক্ষ সরকার সমর্থিত এক আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ায় ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষ।
এদিকে শুরু থেকে এই মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ও ক্ষমতাসীনদের সম্পৃক্ততায় যেন প্রভাবিত না হয় সেই শঙ্কা থেকে জাস্টিস ফর মুনিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন হয়ে আসছে। ১৩ আগস্ট তাদের পেজ থেকে লেখা হয়, (Justice For Munia) বরাবরের অবস্থান ছিল (এবং আছে) যে, শেখ হাসিনা সরকার, বিশেষ করে তার তদন্তকারী এবং বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত। আর এ কারণেই কলেজ শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ধর্ষণ ও হত্যার বিচার হচ্ছে না। স্বৈরাচারী সরকারের পতন মাত্র এক সপ্তাহ আগে হলো, চট করে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক না। কিন্তু একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া একটি বার্তা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। ‘দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবসায়ীদের আস্থা পেতে হবে।’ এ বিষয়ে আমরাও একমত। কিন্তু তার মানে কী এই যে ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা’র অজুহাতে যেই ব্যবসায়ীরা এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখেছিল এবং প্রতিদানে তাদের অপরাধগুলো পার পাইয়ে দেওয়া হতো, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে না? তাহলে দুর্নীতিগ্রস্ত তদন্তকারী এবং বিচার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে কীভাবে? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা গড়ে উঠবে কীভাবে?
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে এক আইডিতে লেখা হয়েছে- ‘আনভীরের মতো একজন প্রভাবশালীর হাতে মুনিয়ার মতো একটা মেয়েকে ধর্ষিত হতে হয়েছিলো, হত্যার শিকার হতে হয়েছিল। মুনিয়া হত্যার বিচারের দাবি তোলার সময়; আনভীরের পক্ষ নিয়ে এই বাংলাদেশেরই কিছু কিছু অমানুষ বলেছিলো, মুনিয়ার তো চরিত্র খারাপ!! মুনিয়া কেন গোল্ড ডিগার? ইত্যাদি ইত্যাদি! অথচ তখন একজন ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে এসব আজাইরা প্রশ্ন না উঠিয়ে, ধর্ষকের লিঙ্গ ও গর্দান কর্তনের দাবিতে সবাই এক হয়ে মাঠে নামলে, আজকে হয়তো বাংলাদেশ ধর্ষকদের অবাধ বিচরণভূমিতে পরিণত হতো না।
এদিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার আট বছর পূর্ণ হয়েছে গত বছরের ২০ মার্চ। দীর্ঘ এই সময়েও চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের কারণ কী ছিল এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা জানা যায়নি। প্রায় চার বছর আগে মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। তারাও এ মামলার কোনো কিনারা করতে পারেনি। কোনও আসামি শনাক্ত হয়নি। তনু হত্যা মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও আছে অন্তহীন অভিযোগ। 
তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, বিগত সরকারের আমলে মেয়ের হত্যার বিচার পাবো না, এটা ভেবেই নিয়েছিলাম। কিন্তু নতুন সরকার আসায় অনেক কিছু পরিবর্তন দেখছি। আমি ভাবছিলাম টিভিতে আমার মেয়ের কথাও বলবে। কিন্তু একবারও বলেনি। ওর বাবা সারারাত জেগে থাকে। আমরা পালা করে টিভি দেখি একটা খবরের আশায়। এখনও ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি।
এদিকে দীর্ঘ ২২ বছর পর মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে মামলার একমাত্র আসামি নব্বই দশকের ছাত্রনেতা ও জাতীয় পার্টি থেকে বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বিকালে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক শাহীনুর আক্তার এ রায় দেন। বিচারক রায় ঘোষণায় বলেন, এ মামলায় ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি অভিকে খালাস দেওয়া হলো। মামলার শুরু থেকেই আসামি অভি পলাতক রয়েছেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ মো. আবু জাফর। তিনি বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর বিশ্লেষণ করে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
এর আগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায়ের সময় দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকা মামলার বাদী তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে হাজির হন। তারা অভির ভয়ে পালিয়ে ছিলেন বলে আদালতে জানান। এরপর রায় পিছিয়ে তাদের দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
সাক্ষ্য দিতে এসে তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম বলেন, তিন্নির মৃত্যুর কিছুদিন আগে আমাকে তিন্নি-পিয়ালদের (তিন্নির স্বামী) বাসায় ডাকা হয়। সেখানে তিন্নি, পিয়ালসহ অভি ছিল। তিন্নি পিয়ালকে ছেড়ে অভিকে বিয়ে করতে চায়। আমি এ সম্পর্ক মানি না বলি। এ সময় অভি পকেট থেকে পিস্তল বের করে আমার মাথার ডান পাশে তাক করে বলে, ‘ওই সালার বেটা, তোর সাহস আছে আমাকে দেখে নিবি?’ আমি তখন ভয়ে বলি, ‘অভি ভাই আমি তো আপনারে চিনি নাই।’ তখন অভি বলে, ‘এখন বুঝছোস তো আমি কে?’ এরপর অভি পিস্তল নামায় ও আমাকে বলে, ‘এই বাসায় আর আসবি না।’
এদিকে মামলার সব কার্যক্রম শেষে ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে বদলি হয়ে আসে। ২৫ আগস্ট যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
অপরদিকে তাজরীন গার্মেন্টস অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে ১১৪ জন নিহতের মামলায় সাক্ষীই খুঁজে পাওয়া যায়নি। লাভলী, রোকসানা, শাহ আলম, বুলবুলিরা সেদিন নিহত হলেও নিশ্চিন্তপুরে কোনো ‘সাক্ষী পাওয়া যায় না’। ভুক্তভোগীদের স্বজনদের দিন কাটছে ন্যায় বিচারের আশায়। সরকার ও প্রশাসন বদলের পর নতুন করে এবার কী তারা ন্যয়বিচার পাবেন, এমন প্রশ্ন রেখেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারগুলো।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স