Thikana News
২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অর্থ-সংক্রান্ত চিঠির জবাব না পেলে আইনি ব্যবস্থা

অর্থ-সংক্রান্ত চিঠির জবাব না পেলে আইনি ব্যবস্থা
বাংলাদেশ সোসাইটির আর্থিক হিসাবের পূর্ণাঙ্গ বিবরণী দিতে হবে সাবেক কমিটিকে। এই হিসাব যথাযথভাবে না দিলে ও অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে সাবেক কমিটির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ না পেলে অডিট কমিটি সাবেক কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বিগত এক মাস আগে সাবেক কমিটির নেতাদের কাছে সোসাইটি থেকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে আর্থিক বিভিন্ন বিষয়ে। এই চিঠির জবাব পাওয়ার শেষ দিন ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদায়ী ও সাবেক কমিটি সোসাইটির সকল হিসাব পূর্ণাঙ্গভাবে বর্তমান কমিটিকে দেয়নি বা চিঠির জবাবও দেয়নি। এ অবস্থায় সোসাইটির অডিট কমিটি হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে বৈঠক করেন কমিটির বর্তমান কমিটির কয়েকজন নেতা। সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখেছি সোসাইটির হিসাবে গরমিল আছে। সাবেক কমিটির নেতারা আর্থিক ক্ষেত্রে অনিয়ম করেছেন। আমরা চাই তারা সব অর্থের যথাযথ হিসাব দেবেন। এখন সোসাইটির হিসাবে মাত্র ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের মতো আছে। এখন আমরা সোসাইটির জন্য কমিউনিটি সেন্টার বা বাংলাদেশ সেন্টার করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। বিদায়ী কমিটি যাওয়ার আগে তারা ৩৬০টি কবর কিনেছে সোসাইটির নামে। এই কবর কেনার জন্য তারা বলছে ডাউন পেমেন্ট দিয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আসলে তারা ডাউন পেমেন্ট বলে বা এই নামে যে অর্থ দিয়েছেন, তাতে তারা কবরের পুরো অর্থই পরিশোধ করেছেন। যদি তা-ই না করেন, তাহলে ৩৬০টি কবরের জন্য ৫০ হাজার ডলার ডাউন পেমেন্ট দিতে পারতেন। তা না করে তারা যে কবর এখনো তৈরি হয়নি, সেই কবরের জন্য তড়িঘড়ি করে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছেন। আমরা এই কবর হয়তো নেব না। কারণ কবর কেনার বিষয়ে তারা এই পেমেন্ট করেছেন সোসাইটির নিয়ম ভঙ্গ করেই। এ কারণে আমরা চাইব কবরের অর্থ ফেরত নিতে। এ বিষয়ে সাবেক কমিটিকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। কেন তারা তড়িঘড়ি করে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পেমেন্ট করলেন। যেখানে কবরের কাজই শুরু হয়নি। তারা ৫০ হাজার ডলার ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাকি অর্থ পরে শোধ করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারতেন। তারা তো তা করেননি। এ ছাড়া আমাদের একটি ব্যাংক হিসাব তারা মাইনাসে রেখে গেছেন। অন্য একটি হিসাবে অর্থ রেখেছিলেন। কেন তারা ব্যাংক হিসাব মাইনাসে রেখেছিলেন, এটাও বলতে হবে।
সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডর সদস্য মো. আকতার হোসেন ও বর্তমান ও সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ানকে এসব বিষয় অডিট করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পদাধিকার বলে প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদকও এই কমিটিতে আছেন।
মোহাম্মদ আলী বলেন, আর্থিক বিষয়ে সোসাইটির হিসাবে স্পষ্টতা থাকতে হবে। এটা কারও ব্যক্তিগত বিষয় নয়। ৩৬০টি কবর কেনার পরও সোসাইটির চারজনের নামে আরও ৬০টি কবর কেনা হয়েছে। এগুলো ব্যক্তিগত নামে কেনা হয়েছে। এই কবর কেনার জন্য কমিটি থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। সোসাইটি থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। সোসাইটির কবর তো কোনো ব্যক্তির নামে কিনতে পারে না। তাই যেসব অনিয়ম করা হয়েছে, সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা অডিট কমিটি থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে সব অর্থের হিসাব-নিকাশ করব। যেসব বিষয়ে অনিয়ম ধরা পড়বে, সেগুলো নিয়ে সাবেক কমিটিকে জবাবদিহি করতে হবে। তারা অডিট কমিটির চিঠির জবাব না দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমেন্ট বক্স