Thikana News
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো

সাত কলেজে স্থবিরতার  অন্তরালে ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ 

সাত কলেজে স্থবিরতার  অন্তরালে ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’  সংগৃহীত
‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে এসে বাউবির উপ-উপাচার্য সাঈদ ফেরদৌস প্রশ্ন রেখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজের কাজের ভারেই পিষ্ট। নিজের কাজ সারতেই গলদঘর্ম। সেখানে বাড়তি সাতটি কলেজ কেন দিতে হবে? তিনি মনে করেন, এর ফলে ভয়ানকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক স্থবিরতা তৈরি হয়েছে এই কলেজগুলোতে। আসলে নিয়ম লঙ্ঘন করে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 
২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবারের এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-ইউল্যাবের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান সুমন রহমান। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপনায় হয় টকশোটি, যা সরাসরি প্রচারিত হয় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেলে।
টকশোতে সাঈদ ফেরদৌস বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে রাজধানী ঢাকার সরকারি সাত কলেজকে সাত বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তখন থেকেই এমন আলোচনা ছিল যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক ও একই সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে থাকা হারুন-অর-রশীদের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সিদ্ধান্ত যেভাবেই আসুক তা যে ভুল ছিল। 
সাত কলেজকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার, তখনকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশীদ প্রকাশ্যেই এর বিরোধিতা করেছিলেন, এ কথা স্মরণ করিয়ে দেন অধ্যাপক সুমন রহমান। সংকটের পেছনে তিনি ভিন্ন একটি দিকও তুলে ধরেন তিনি।
সুমন রহমানের ভাষ্যমতে, সাত কলেজ পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতিগতভাবেই কলেজগুলোর প্রতি অবহেলার দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এসব মিলিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে, মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের পতনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নতুনভাবে দলীয়করণ হচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু সরে গেছে, স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির লোকজন আসতে চাইছে। মাঠে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় জামায়াতে ইসলামীও তাদের মতো চেষ্টা করছে। এসবের মধ্যেও কিছু ভালো নিয়োগও হয়েছে- মনে করেন তিনি।
এদিকে অন্তর্র্বতী সরকারও নানা কিছুতে সমালোচনার মুখে পড়ছে। প্রত্যাশার জায়গাতে ধাক্কা খাচ্ছে গণমানুষ। এ প্রসঙ্গে ইউল্যাবের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সুমন রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বিশাল একটি ঘটনা। তবে সরকারে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের সবাই জুলাই স্পিরিট থেকে এসেছেন, এমনটি নয়। যারা জুলাই স্পিরিট ধারণ করছেন, তাদের সদিচ্ছার ঘাটতি নেই। কিন্তু দক্ষতার ঘাটতি আছে। এই কারণে তাদের কিছু ভুল হতে পারে, মনে করছেন তিনি।
তবে বাউবির উপ-উপাচার্য সাঈদ ফেরদৌস বললেন, জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতারা তিনটি উপদেষ্টা পদ না নিতেন। তারা যদি ছায়া সরকারে থাকতেন, তবে আরো ভালো কিছু হতো, মনে করেন তিনি।

কমেন্ট বক্স