Thikana News
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো

আ. লীগের প্রয়োজন ফুরিয়ে  গেছে: লতিফ সিদ্দিকী

আ. লীগের প্রয়োজন ফুরিয়ে  গেছে: লতিফ সিদ্দিকী সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় গত বছরের ৫ আগস্ট। সেদিন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। এরপর দেশের মাটিতে তাদের প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। নেতাদের কেউ কারাগারে, কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন, কেউ বা দেশেই রয়েছেন আত্মগোপনে। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ দেখছেন না দলটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, বর্ষীয়ান পার্লামেন্টিরিয়ান ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত টকশোতে লতিফ সিদ্দিকী আরো যোগ করেন, পাকিস্তানের সৃষ্টিতে মুসলিম লীগের অবদান থাকলেও এই অঞ্চলে একসময় দলটির আবেদন কমে যায়। ভারতে কংগ্রেসও সেই পরিণতির মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রয়োজনও ফুরিয়ে গেছে। গত ১৫ বছর সরকারে থেকে দলটি গুম, খুন, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। মানুষের বাক স্বাধীনতা ধ্বংস করে। এসব কারণ দলটির প্রত্যাবর্তন অসম্ভব, বলছেন সদ্য বিলুপ্ত সংসদের স্বতন্ত্র সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
এক দশক আগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এই টকশোতে আওয়ামী লীগ আমলের নানা বিষয়ের পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 
একসময় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তবে চিন্তা-দর্শনের মতভিন্নতায় এক দশক আগে দলটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরই জেরে হারান মন্ত্রিত্ব, সংসদ সদস্য পদসহ দলীয় পদ। মূলতঃ ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে তাবলিগ জামাত, হজ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর একটি বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। 
জয়কে নিয়ে প্রশ্ন করার কারণেই কী শেখ হাসিনা রুষ্ট হন? এমন প্রশ্নে প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, জয়কে নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য নয়, মূলত কায়েমি স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে তার মন্ত্রিত্ব যায়। শেখ সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, লিটন চৌধুরীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সেই সফরের আগেও দলীয় এক বৈঠকে তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছিলেন, দাবি করেন লতিফ সিদ্দিকী।
গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা স্বৈরাচারি কায়দায় দেশ চালিয়েছেন, এ বিষয়টি সামনে এনে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রায়ই বলতেন- আমি গণতন্ত্র দিয়েছি। গণতন্ত্র কী দেওয়া যায়? গণতন্ত্র যদি দিতে হয়, তখন তো আর গণতন্ত্রই থাকে না।’
একটা সময় শেখ হাসিনার সরকারে ছিলেন সেই ‘ভুলের’ জন্য টকশোতে সরাসরি তিনি ‘লজ্জাও’ প্রকাশ করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন চেহারার কোনো আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য কোনো দলে যুক্ত হবে কি না, খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবো না।’ তবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতেও পারেন, সেই ইঙ্গিত দেন তিনি।

কমেন্ট বক্স