Thikana News
২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চিকিৎসার জন্য লন্ডনে খালেদা জিয়া ✪ প্রাণ বাঁচাতে দিল্লির আশ্রয়ে শেখ হাসিনা

রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্যতায় বাংলাদেশ

রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্যতায় বাংলাদেশ উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া (বাঁয়ে) এবং গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ডানে)-সংগৃহীত
৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টা। গুলশান থেকে বিমানবন্দর। যেদিকে চোখ যায় কেবল মানুষ আর মানুষ। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যাচ্ছেন। প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখতে এবং বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে লাখ লাখ মানুষের এই জনস্রোত বাংলাদেশের ইতিহসে নজিরবিহীন। গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমেরও চোখ ছিল খালেদা জিয়ার দিকে। এমন এক সময় খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন, যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এর মাত্র ৫ মাস আগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ বাঁচাতে পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  
প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ৫ মাসের ব্যবধানে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান না থাকায় বাংলাদেশে এক প্রকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেও এ নিয়ে নানান আশঙ্কার কথা তুলে ধরে মঙ্গলবার সারা দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেখা গেছে।
টিভি ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন - ‘নট কামিং ব্যাক’। তার মত অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন - খালেদা জিয়া কী আর দেশে ফিরতে পারবেন?’ তবে বিএনপি সমর্থকরা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তিনি আর দেশে ফিরতে পারবেন না। আর আমাদের নেত্রী জনগণের ভালোবাসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন। দেশে ফেরার দিনও এর চেয়ে কয়েকগুণ জনস্রোত থাকবে। দেশের মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন।’
এদিকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া রাজকীয় বহরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমাণ ছিল বিমানবন্দরে। যাত্রাপথে বেগম খালেদা জিয়া মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ, কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে গাড়ির ভেতরে বসে হাত নেড়েছেন। মানুষের এই স্রোত ঠেলে ১০ মিনিট দূরত্বের পথ বেগম খালেদা জিয়ার পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা। মানুষের এই স্রোত ঠেলে রাত সোয়া ৮টায় রওনা হয়ে রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করে। খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে আকাশে ওড়ে ১১টা ৪৬ মিনিটে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে তাঁর মেডিকেল বোর্ডের ৬ সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন আছেন। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারও সঙ্গে আছেন বলে জানা গেছে।
দলের চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে থেকেই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানসহ হাজারো নেতাকর্মী। এ যেন এক ইতিহাস। দীর্ঘ ৭ বছরেরও বেশি সময় পর দেখা হওয়ার কথা মা-ছেলের। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছিলেন বেগম জিয়া। লন্ডন পৌঁছেই বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি হবেন। পরবর্তীতে লন্ডন ক্লিনিক সুপারিশ করলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হসপিটালে নেওয়া হতে পারে।
তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং দুবারের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ছিলেন কারাবন্দী। প্রায় সাড়ে চার বছর ছিলেন গৃহবন্দী। নির্বাহী আদেশে মুক্ত থাকলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ছয় বছর ধরেই তিনি ছিলেন চিকিৎসাবঞ্চিত। কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও আওয়ামী লীগ সরকার বেগম জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বারবার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানোর অনুরোধ এবং পরিবার আবেদন জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি তৎকালীন হাসিনা সরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
এর আগে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তখন রাজনীতিতে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ আলোচনায় ছিল এবং দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ তৈরি করা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার দল আওয়ামী লীগ বিপর্যস্ত। শেখ হাসিনা নিজেও ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়ছেন যখন সরকার ঘনিষ্ঠ একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আরেকটি গোষ্ঠী ‘সংস্কার আগে নির্বাচন পরে’ এমন বক্তব্য দিচ্ছে। সরকারে থেকে দল গড়ার প্রক্রিয়ার সমালোচনার বিপরীতে কেউ কেউ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দল গড়ার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপিকেও ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে উল্লেখ করছেন, যা নিয়ে বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া দেশ ছাড়ায় তার ‘প্রভাব কেমন হবে’ তা নিয়ে উদ্বেগ আছে দলটির অনেকেরই মধ্যেই। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাতের বিষয়টিও নানা আলোচনায় উঠে আসছে। তবে ওই সাক্ষাতের মধ্যে নেতিবাচক কিছু খুঁজে পায়নি তার দল ও সহকর্মীরা। বরং তাদের ধারণা হলো গত কয়েক মাসে অনেকবার খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কথা উঠলেও নানা কারণে সেটি বিলম্বিত হয়েছে এবং তাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথাই গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে বেশি উঠে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকে ইতিবাচক বলেই ধারণা করছে তার দল।

কী আছে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’?
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক। এরপর থেকেই মানুষের মধ্যে কৌতূহল দেখা গেছে শত বছরের পুরোনো এই বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে। ব্রেস্ট, ইউরোলজি, গাইনোকলজি ও চর্মরোগ চিকিৎসায় সুনাম রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রটির। আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন ও সেলুলার থেরাপিতেও রয়েছে সুনাম। ১৯৩২ সালে যাত্রা শুরু করা হাসপাতালটির অবস্থান সেন্ট্রাল লন্ডনের ডেভনশায়ার প্লেস ও মেরিলিবন সড়কে। এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, লন্ডন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিন, রাজা তৃতীয় চার্লস, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তার স্বামী ফিলিপ অব এডিনবরা। এ ছাড়া এ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। লন্ডন ক্লিনিকের রোগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী লিজ টেইলরও। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের অনেক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালটির ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রশংসা করে থাকে ইউরোপের বিভিন্ন মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান। লন্ডন ক্লিনিকের বহির্বিভাগে প্রতি বছর গড়ে এক লাখ ১০ হাজার মানুষ চিকিৎসা নেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন ২৩ হাজার রোগী।

খালেদা জিয়া‌কে লন্ডনে স্বাগত জানাবেন যে পাঁচজন :  খালেদা জিয়াকে বুধবার লন্ডনের সময় সকাল ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন পাঁচজন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ছাড়া বিমানবন্দ‌রে তা‌কে স্বাগত জানাতে যাবেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে কামাল উদ্দীন।
মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক জানান, বেগম জিয়াকে স্বাগত জানাতে আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী লন্ডনে জড়ো হয়েছেন। এত নেতাকর্মী হিথ্রো বিমানবন্দরে গেলে সিকিউরিটি ইস্যু তৈরি হবে। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, ম্যাডাম অসুস্থ। কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স‌টি লন্ডনের পথে রওনা হবার পর আমরা জানাতে পারবো ঠিক কখন ম্যাডাম লন্ডনে পৌঁছাবেন।
তাই সবদিক বিবেচনা করে যুক্তরাজ্য বিএন‌পির আজকের প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে তারেক রহমান সাহেব ও ডা. জোবাইদা রহমানের সা‌থে আমরা তিনজন যা‌বো।
ম্যাডাম সুস্থ হবার পর যুক্তরাজ্য বিএনপি সাংবাদিক ও সুধীজ‌নের সম্মা‌নে লন্ডনে বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করবে। ওই অনুষ্ঠানে বেগম খা‌লেদা জিয়া ও তা‌রেক রহমান দুজনেই উপস্থিত থাকবেন।

খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র যেন প্রতিষ্ঠা করা হয়, গণতন্ত্রকে যেন আমরা সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করি এই বার্তাটি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ত্যাগ করার পর মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব।
সুচিকিৎসা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্রুতই আবার দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যাওয়ার সময় তিনি (খালেদা জিয়া) আবারও দেশবাসীকে বলেছেন যে, তারা যেন আমার জন্য দোয়া করেন, আমিও আল্লাহর কাছে এই দোয়া চাই দেশবাসীকে যেন ভালো রাখেন, তাদের কল্যাণ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় বছর আটক করে রাখা হয়। আটক করে রাখার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর আমরা বারবার বলেছি, বিদেশে নেওয়ার জন্য সুযোগ দিন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেননি।
তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পাঁচ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন মিথ্যা মামলা থেকে। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন এটা আল্লাহর জন্য শুকরিয়া জানাচ্ছি।

খালেদা জিয়ার গাড়ির চাপায় হাবীব-উন-নবী খান সোহেল আহত
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে এসে তার গাড়ির চাপায় মারাত্মক আহত হয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে গুলশান এভিনিউয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, গুলশান এভিনিউয়ে হাবীব উন-নবী-খান সোহেলর পায়ের ওপর দিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়ির পেছনের চাকা চলে যায়। এতে তিনি মারাত্মক আঘাত পান। পরে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে তাৎক্ষণিক তার পা এক্স-রে করা হয়। আঘাত কতটা গুরুতর তা আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে। আপাতত পা ব্যান্ডেজ করে তাকে দুই সপ্তাহের বিশ্রাম দিয়েছে চিকিৎসক।
 

কমেন্ট বক্স