ভালো মানুষ ও মানসিকতা নিয়ে কিছু কথা লিখব আজকের কলামে। সত্যিকারের ভালো মানুষ সব সময় সত্য কথা বলেন, সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন, ভালো কাজ করেন। মানুষের সঙ্গে কোনো সময় খারাপ আচরণ না করা উচিত। ভালো মানুষের সব সময় চাওয়া মানুষ যেন তাদের ব্যবহারে বা কাজে কষ্ট না পায়। তারা সেদিকে সব সময় খেয়াল করে কথা বলেন। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে ভালো মানুষ নিয়ে কিছু ভালো কথা শেয়ার করব। আজকের দিনে ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। আমাদের আশপাশে অনেক ভালো মানুষ, মহৎ মানুষ আছে, তাদের চেনা খুবই কষ্টসাধ্য।
একজন ভালো মানুষের সঙ্গে থাকলে বা চলাফেরা করলে খারাপ মানুষও ভালো হয়ে যায়। আজকে যেহেতু আপনাদের ভালো মানুষ নিয়ে কিছু জানাতে এসেছি, তাই ভালো মানুষের বিভিন্ন দিক নিয়েই পুরো লেখাটা। আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি তেমন কিছু সেরা স্ট্যাটাস, যা ভালো মানুষদের মাধ্যমে লেখা হয়েছে। বর্তমান সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তবে কিছুসংখ্যক মানুষ রয়েছে, যারা সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে, নিজের কাজের মাধ্যমে ভালো মানুষেরা নিজের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। একজন ভালো মানুষ সর্বদা সমাজে সৎ থাকেন। অনেক গুণী ব্যক্তি ভালো মানুষ সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেছেন। সেগুলোই আজকের এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
একজন মানুষ যদি অন্য আরেকজন মানুষের নামে আপনার কাছে সমালোচনামূলক কিছু বলে, তাহলে তাতে কান দেবেন না। সবকিছু নিজে প্রমাণ সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই করে দেখুন। যাচাই-বাছাই করেই কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া উচিত। আমাদের সবার উচিত একে অপরকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা, বিবেচনা করা এবং সম্মান করা। কোনো মানুষকে নিজের মতে আনতে গেলে গায়ের জোর ফলালেই হবে না। কেননা মানুষ সহজে পরিবর্তন হতে চায় না। বরং বন্ধুত্ব এবং ভালো ব্যবহারের দ্বারা এটা সম্ভব হতে পারে। সফল মানুষেরা কাজ করে যায়। তারা ভুল করে, ভুল শোধরায় কিন্তু কখনোই হাল ছাড়ে না।
সূর্য যেমন প্রতিদিন উঠবে, বাতাস যেমনভাবে বইবে, তেমনি মৃত্যুর পরও সুন্দর ব্যবহারের জন্য মানুষ মানুষের অন্তরে চিরজাগরূক থাকবে। শুধু দুটি জিনিস অসীমÑমহাবিশ্ব এবং মানুষের মন। মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে হয়তো ধ্বংস করা যায় কিন্তু হারানো যায় না। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। নিজের যোগ্যতার ওপর ভরসা রাখুন। নিজের শক্তির ওপর যথেষ্ট আস্থা ছাড়া আপনি সফল ও সুখী হতে পারবেন না। এমন মানুষদের সঙ্গে থাকুন, যারা আপনাকে আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেবে। আল্লাহকে ভালোবেসে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করবে। মানুষের জীবন একটি সরল অঙ্কের মতো, যতই দিন যাচ্ছে আমরা সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক মানুষের মন অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পেরে আনন্দ অনুভব করে।
সৃষ্টিকর্তা তাদের প্রতি দয়া করবেন না, যারা মানুষ জাতির প্রতি দয়াবান নয়। তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ তারা, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ভালো মানুষের হৃদয়, যা দিয়ে মানুষ তাদের ভালোবাসা ও মানবতা প্রকাশ করে। ভালো মানুষের সংস্পর্শে জন্মে নতুন আশা, আনন্দ ও ভালোবাসা। সৃষ্টির সুন্দর চেহারা ভালো মানুষের প্রতীক প্রকাশ করে, তাদের করুণা ও উদারতা সবার হৃদয় ছুঁয়ে দেয়।
ভালো মানুষ যেন মেঘের মধ্যে সূর্যের মতো জ্বলে, অন্ধকারকে দূরে ঠেলে দেয়। ভালো মানুষের কথা ছড়িয়ে যায় প্রেমের আলোয়, তাদের প্রেম সৃষ্টি করে এই বিশ্বে শান্তি এবং সমৃদ্ধির কথা। ভালো মানুষের দর্শনে মন আনন্দিত হয়, তাদের সঙ্গে সময় কাটানো সুখময় হয়ে যায়। ভালো মানুষের ভাষা হলো প্রেমময়, তাদের কথা হলো অনন্ত সুন্দর গানের মতো। ভালো মানুষের উপস্থিতিতে হৃদয় উল্লসিত হয়, প্রেমে আবেগ প্রকাশ করে তাদের মুখের হাসি।
ভালো মানুষ নিয়ে জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়, ভালো মানুষের সংস্পর্শে থাকলে পৃথিবী সুন্দর হয়। তারা যেমনিভাবে দয়ালু ও সহানুভূতিশীল, তেমনি অন্যের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ায়। তারা বিশ্বস্ত হয় ও সর্বদা অন্যের কথা রাখে। তাদের সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক, তাতে কিছু যায়-আসে না, বরং তারা অন্যের উপকারে উদ্্গ্রীব হয়ে থাকে।
মানসিকতা : যার কথার চেয়ে কাজের পরিমাণ বেশি, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম। একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না। আর একজন মূর্খ নিজেকে সব সময় সবজান্তা মনে করে। আজ পর্যন্ত কোনো ভিক্ষুক দাতা কিংবা স্বাবলম্বী হতে পারেনি। যে হাত নিতে অভ্যস্ত, সে হাত কখনো দিতে পারে না। আমরা খ্যাতিমান হতে চাই কিন্তু খ্যাতির জন্য নীরব সাধনা ও প্রয়োজনীয় কষ্ট স্বীকার করতে চাই না। ফলে সাধনাও হয় না, খ্যাতির শীর্ষেও পৌঁছাতে পারি না।
ব্যক্তিগত খেয়াল বা আবেগ আর জীবনের লক্ষ্যকে এক করে ফেলা উচিত নয়। লক্ষ্যকে যখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন, তখন তা আপনাকে আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে। সুযোগের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকি গ্রহণে সাহসী হোন। যখনই আপনি অনুভব করবেন, আপনার শরীরের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তখনই আপনি সুস্বাস্থ্যের সুপ্রভাতে উপনীত হবেন। নিরাময়ের জন্য আপনার প্রথম প্রয়োজন এক প্রশান্ত মন ও মানসিকতা। ‘সমস্যা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সম্ভাবনা’ শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন, দেখবেন সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ হবেন। সঙ্গে শৃঙ্খলার জীবনকে বেছে নিন। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণীয় শক্তি, যা লোহার নেই।
ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ম হলে সাফল্যই আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে। সহপাঠী বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক নয়, সেখানে বন্ধুত্বই শ্রেয়। চেতনা ও আদর্শের মিল রয়েছে এমন যে কারও সঙ্গেই বন্ধুত্ব হতে পারে। কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সব সময় শ্রদ্ধা করুন, কারণ প্রতিযোগীরাই আপনাকে পারফেক্ট করে তোলে। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে থাকেন।
শোষিতরা শোষিতের হাতেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। যে কখনো সম্মান পায়নি, সে জানে না অন্যকে কীভাবে সম্মান করতে হয়। আপনার সময় নেইÑএ অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন, তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে। ‘আমারটা আগে’ এমন দৃষ্টিভঙ্গি জীবনকে এক ক্লান্তিকর বোঝায় পরিণত করে দেয়। আর বিনয়, সহানুভূতি ও পরোপকার যত ক্ষুদ্রই হোক, জীবনকে প্রাণবন্ত ও হাস্যোজ্জ্বল করে তোলে। নিয়ত বা অভিপ্রায় হচ্ছে মনের লাগাম। নিয়ত মনকে নিয়ন্ত্রণ করে, দেহকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, দেহ-মনে নতুন সম্ভাবনা ও বাস্তবতার জন্ম দেয়।
মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য, সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রূপান্তরিত করে। সুন্দর প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে দিন শুরু করুন। ঘুম ভাঙতেই মুসলিম হলে বলুন, শোকর আলহামদুলিল্লাহ, অন্য ধর্মের হলে বলুন থ্যাঙ্কস গড বা প্রভু ধন্যবাদ, একটি সুন্দর বা নতুন দিনের জন্য। দিনের সমাপ্তিও ঘটবে এভাবেই। যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যাপারে বিনয়ের সঙ্গে প্রথমেই নিজেকে ও অন্যকে ‘না’ বলুন। কাউকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলে আন্তরিকভাবে জানান। স্থান-কাল-পাত্র বুঝে হাসিমুখে কথা বলুন। হৃদয়ের আন্তরিকতা মুখের হাসিতে শতগুণে প্রস্ফুটিত হয়।
প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রাপথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথচলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে। প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, কাজটি আপনি কেন করবেন? আবেগকে নিয়ন্ত্রণ রাখুন, বিবেক দিয়ে কাজ করুন। নিজের কাছে নিজ সততা বজায় রাখুন। প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, যা করা উচিত, আন্তরিকতার সঙ্গে তা করুন। বুদ্ধিমান সব সময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা কাজ করে চিন্তা করে আর পস্তায় ও আফসোস করে কাজের পরে। একজন মানুষকে তার সম্মানসূচক নাম ধরে সম্বোধন করুন। আলাপ-আলোচনায় একাধিকবার তার নাম উল্লেখ করুন। কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পারিশ্রমিক শোধ করবেন। যেকোনো সংকটকে বিপদ না ভেবে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে নিন।
দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না। তাহলেই নতুন কিছু শিখতে ও করতে পারবেন। কাজে উদ্যোগী না হলে প্রতিটি কাজই অসম্ভব মনে হয়। ‘আমি এ বিষয়ে জানি না’Ñএ কথাটি বলতে কখনো ভয় পাবেন না। ‘আমি দুঃখিত’ কথাটি সব সময় আন্তরিকতার সঙ্গে উচ্চারণ করুন। দীর্ঘসূত্রিতা ও আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। যখন যা করা উচিত বা প্রয়োজন, তখনই তা করুন। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম থাকুন, সবজি ও ফল খাওয়ায় অভ্যস্ত হোন। মনে রাখবেন, প্রকৃতি মন, দেহ ও আত্মার মাঝে সব সময় ভারসাম্য এনে দেয়। নীরব মুহূর্তে স্রষ্টাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে বলুন, ‘আমি সাহসী’, স্রষ্টা আমাকে অনেক সাহস দিয়েছেন। একটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্য একটি কারণই যথেষ্ট মনে করবেন।
জীবনে ব্যর্থতার প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব। সমস্যায় পড়লেই সমাধানের জন্য উৎকণ্ঠিত হবেন না। সমস্যাকে তার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ছেড়ে দিন। প্রতিটি সমস্যার মধ্যেই নতুন সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। পৃথিবীর সকল তালার যেমন একাধিক চাবি রয়েছে, তেমনি সকল সমস্যার একাধিক সমাধান রয়েছে, শুধু খুঁজে বের করতে হবে। যেকোনো ঘটনাকে সহজভাবে গ্রহণ করাই হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। প্রশান্ত মনই হচ্ছে শক্তির আসল ফল্গুধারা। মন প্রশান্ত হলে অন্তরের শক্তি জাগ্রত হয় এবং আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেয়। প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে। প্রো-অ্যাকটিভ মানুষের প্রতি অন্যরা আকৃষ্ট হয়ে থাকে। রি-অ্যাকটিভ ব্যক্তি সব সময়ই মানুষের বিতৃষ্ণার কারণ হয়ে থাকেন।
রাগান্বিত অবস্থায় কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে। তা সম্ভব হলে এখন থেকেই শুরু করুন। যার হারানোর কিছু নেই, তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন, কারণ তাকে হারানো মুশকিল। সাহস ও ঝুঁকি গ্রহণে উৎসাহী হোন। সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। পেছনের দিকে তাকালে দেখবেন, কাজ করে অনুতপ্ত হওয়ার চেয়ে যে সুযোগ আপনি হাতছাড়া করেছেন, তা নিয়েই অনুতপ্ত হচ্ছেন বেশি। কান পেতে থাকুন। সুযোগ অনেক সময়ই দরজায় খুব আস্তে করে টোকা দেয়। হেসে কথা বলুন। এতে আপনি শুধু নিজেই আনন্দিত হবেন না, অন্যরাও খুশি হবে। দিনে কমপক্ষে ১০ বার বলুন, ‘আমি বেশ ভালো আছি’, স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
কারও আশাকে নষ্ট করবেন না। হয়তো এই আশাই তার শেষ সম্বল। রাগ, অভিমান ও অভিযোগ বোকা ও দুর্বলরা করে। বুদ্ধিমানরা পরিস্থিতি পরিবর্তনে বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে। নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন এক প্রশান্ত মন। আপনার মন ভালো তো সব ভালো। কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। একটু থামুন। লম্বা দম নিন। শরীর, মন ও পরিবেশ শান্ত করুন। মনকে জিজ্ঞেস করুন, এ মুহূর্তে আমার কী করণীয়? প্রতিটি কাজ শুরু হয় শূন্য থেকে। ধাপে ধাপে তা পূর্ণতা পায়। দুঃখবিলাস বা কোনো কিছুই ভালো না লাগা আলস্যের একটি রূপ। যারা কিছু করে না, আসলে তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আর যারা ব্যস্ত, তাদের কিছু ভালো না লাগার মতো কোনো কিছুর সুযোগ থাকে না।
সর্বোপরি আমাদের সবার সুন্দর জীবনযাপনের জন্য ভালো মানুষ ও মানসিকতায় পরিপূর্ণ হওয়া জরুরি। আর যদি আমরা সবাই মিলে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিজেদেরকে উপনীত করতে পারি, তবেই জগৎ আলোকিত হয়ে পরিণত হবে এক স্বর্গময় পৃথিবী। সফল হোক সকল মা-মাটি-মানুষের জীবনধারা। সেই কামনায় চেয়ে রইলাম...।