Thikana News
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন

২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন ছবি: সংগৃহীত
২৫ ডিসেম্বর বুধবার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। আজকের এই দিনে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা  এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরাও এদিন যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করবেন। 
বিশ্বে এমন বেশ কিছু উৎসব রয়েছে, যেগুলির উদযাপনকালে সমগ্র বিশ্বজুড়ে মানুষ জাতি-ধর্ম ভুলে একই দিনে একই সাথে আনন্দে মেতে ওঠে। খ্রিস্টান ধর্মের উৎসব বড়দিন এ ক্ষেত্রে অন্যতম। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালন করা হয়। প্রাচ্য দেশগুলিতে এই দিনটি ‘বড়দিন’ নামে পরিচিত হলেও পাশ্চাত্যে এটি ‘ক্রিসমাস’ নামে পরিচিত। 
বাংলায় এই দিনটিকে ‘বড়দিন’ বলার কারণ হিসেবে আকাদেমি বিদ্যার্থী বাংলা অভিধানে বলা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর তারিখ থেকে দিন ক্রমশ বড় এবং রাত ছোট হতে আরম্ভ করে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জনৈক অধ্যাপক বলেছিলেন মর্যাদার দিক থেকে বড় হওয়ার কারণে এই দিনটিকে বড়দিন বলা হয়ে থাকে। 
বিশ্বজুড়ে ২৫ ডিসেম্বর তারিখে দিনটির ব্যাপকভাবে উদযাপন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এইদিন নানা অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে। কোথাও মহাসমারোহে পালন করা হয় যিশুর জন্মোৎসব, আবার কোথাও বা নানা জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। বিশ্বজুড়ে সব গির্জাগুলিকে অতি সুন্দর সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। কোথায় আবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মীয়-পরিজনের মধ্যে চলে উপহার দেয়া-নেয়া। মানুষ এইদিনে যিশুখ্রিস্টের জন্ম দিবস উপলক্ষে কেক কাটে; ভোজসভার আয়োজন হয় পাশ্চাত্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়।
বিশ্বজুড়ে বড়দিনের প্রচলিত সাধারণ সংস্কারগুলির সঙ্গে লোকাচার জড়িত হয়ে এই দিনটি উদযাপন এর মধ্যে বৈচিত্র্য এনে দেয়। এই বৈচিত্র্যের কারণেই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বড়দিন উদযাপনের ধরণগুলিও ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন ক্যাথলিক দেশগুলিতে বড়দিনের আগেরদিন ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
আবার অন্যান্য দেশগুলিতে সান্তাক্লজ এবং অন্যান্য প্রমোদমূলক চরিত্রগুলিকে নিয়ে মূলত ধর্মনিরপেক্ষ শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়ে থাকে। কোন কোন দেশ যেমন বড়দিন উপলক্ষে পরস্পরের মধ্যে উপহার বিনিময় করে, তেমনি কোন দেশ আবার উপহার বিনিময়ের জন্য ৬ ডিসেম্বর কিংবা ৬ জানুয়ারিকে বেছে নেয়। বিশ্বজুড়ে আয়োজিত হওয়া ভোজসভাগুলির চরিত্রের ক্ষেত্রেও পার্থক্য দেখা যায়।
বড়দিনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে স্যান্টাক্লজ-এর নাম। ছোটদের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়ার প্রবাদ নিয়ে এই ব্যক্তিত্ব বড়দিন উদযাপনে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকের মতে স্যান্টাক্লজ নামটি ডাচ সিন্টারক্লাস নামের অপভ্রংশ, যার সাধারণ অর্থ হলো সেন্ট নিকোলাস। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে তুরস্কের মিরার বিশপ সেন্ট নিকোলাস শিশুদেরকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তিনি প্রতিনিয়ত তার অঞ্চলের শিশুদের পোশাক-আশাক, পড়াশোনা এবং স্বাস্থ্য সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতেন। এই খোঁজখবরের দ্বারা শিশুটির মূল্যমান যাচাই করে তিনি নির্ধারণ করতেন সেই শিশু পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য কিনা। খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বিশপ সেন্ট নিকোলাস-এর নাম নেদারল্যান্ডে পরিচিতি লাভ করে এবং দক্ষিণ ইউরোপে তার নামে উপহার আদান-প্রদানের ঐতিহ্য চালু হয়ে যায়। যদিও আধুনিক যুগে স্যান্টাক্লজ-এর ঐতিহ্যের এই জনপ্রিয়তার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান সর্বাধিক। 
বড়দিন উপলক্ষে নিউইয়র্কে খ্রিস্টান বাঙালিরা উৎসবে মেতে ওঠেন। এদিন নগরীর বিভিন্ন চার্চে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

কমেন্ট বক্স