কেন যে শেখাও আমারে ‘কলোনি’র বুলি
যে দূরে বস্তিকে ফেলে এসেছি শৈশবের ভিড়ে
তারে নিয়ে এলে সব্যসাচী ঘে
আত্মার বন্ধনী নিয়েছ খুলে তাই
‘রেসিজম’ চাও শেখাতে, সুদের মতোন-
টাকা গুনে গুনে নাও, ভালোবাসা বদলে।
প্রহেলিকা ওড়ে যেন হৃদয় পুড়ে যাওয়া ধোঁয়া
ধূর্ত শেয়ালের মতো ক্লেদাক্ত বয়ানে ঝরে
বিক্ষত হৃদয়
কোনো একদিন হেমন্তের ঝরা পাতা হয়ে
যদি সহস্র কোলাহল ভেঙে পড়ে স্থির মৃত্তিকায়
ঘরহীন মানুষের মতো দগ্ধ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে
তোমার এসব ধুলোবালি-বুলি
বিষণ্ন বাতাস হয়ে বিঁধে যাবে তোমার প্রস্তরিত বুকে।
স্মার্টফোনের মতো যে দেহে নাচে অকথ্য অহমিকা
কোনো একদিন পতিত শাসকের ন্যায়
উদ্ধত চোখ আর তর্জনী, বীভৎস হুংকার
নেতিয়ে পড়বে মাটির জাজিমে, জুরাসিক যুগ যেন
অগ্নি উৎক্ষেপণকারী ডাইনোসর আজ বেঁচে নেই
নকল প্রভু ফেরাউন বিগত, আবু জাহেলের
ঔদ্ধত্য ঘৃণার নীরব সাক্ষী হয়ে যুগপৎ দণ্ডায়মান।
এইসব দাঁতাল অন্ধকার ভোরের হাড়গোড় গিলে খায়
কেবল সহিষ্ণু শালিকের পায়ে জড়ানো দালাল শেকল।