ক্ষুধার্ত আমি, গ্রহ, নক্ষত্র, সূর্য খাব,
পূর্ণিমার চাঁদ রসগোল্লার মতো করে,
গিলতে পারি, কিন্তু না, গিলব না।
ঐ চাঁদ কারও প্রিয়, অতি প্রিয় প্রেমিকের।
প্রেম-ভালোবাসা বাদে, হিংসা-বিদ্বেষ, দম্ভ,
কুসংস্কার, সমাজব্যবস্থা ধরে ধরে খাব।
উদর আমার অনেক বড়।
ক্ষুধার্ত আমি, সৌরমণ্ডল গিলে খাব,
বাতাসা সন্দেশের মতো অনায়াসে,
ভাঙা পৃথিবীর সাথে, নব নব সাজে,
আরও সাতটি পৃথিবীর মুড়লি ভাজা খাব।
বনের ঘর, ছনের ঘর, টালির ঘর ভুলে,
অট্টালিকার ছাদে, গড়ব গোলাপ বাগান।
পুকুর দিঘি ধরে ধরে, পানি পোকাসহ খাব।
সাহারা, নায়াগ্রা, ভিসুভিয়াস রক্ষা নেই কারও।
আমি মানুষ, প্রশান্ত মহাসাগরও খাব।
স্বজ্ঞানে প্রকাশ্যে, লজ্জা সংকোচ শিকেয় তুলে,
ইয়াজুজ-মাজুজের মতো, খুঁটে খুঁটে খোঁজে খোঁজে,
বোঝে, না বোঝে, বংশপরম্পরায় ধুয়েমুছে খাব।
পুরোনো ভুলে, নতুন গড়ি, বহুদূরে দিই পাড়ি, আরও,
যত খারাপ, গন্ধ, পচা ধরে ধরে খাই অবলীলায়।
ক্ষুধার্ত আমি, অবিশ্বাসীরে আয়েশ করে খাই।
আরও, আরও খাব।
বিশ্বের সব ইয়াবা, সঙ্গীহীনে একাই খাব,
আর যেন কেউ ভাগ না পায়, এই ইয়াবায়,
করব সাবাড়, সব ইয়াবার, চেটে চেটে,
প্রজন্মের মানব, কেউ যেন তার নাম না শোনে।
সকল নেশার রাজপ্রাসাদে, আগুন দিয়ে ছাই খাব।
তবু খাব, আরও খাব।
জেল-জুলুম অবিচার, গিলে খাব স্বৈরাচার।
লোভী পাপী, শাসন জাল, লাল ফিতায় মহাকাল,
ছাত্র হাতের বন্দুক, কালো টাকার সিন্দুক, নগদ খাব।
হালখাতার পাতা, শুধুই সাদা, ধবধবে পরিষ্কার।
সব দূষিত বায়ু খাব, থাকবে শুধু মুক্ত হাওয়া,
মন্দ খাব, দ্বন্দ্ব খাব, ইতিহাসের পাতা খাব,
রাখব শুধু কাগজ-কলম, ভুল লিখলে মূল খাব।
দুঃখ কান্না জরা খাব, সুখ শান্তি রেখে যাব।


জর্জেস মোহাম্মদ


