যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার প্রস্তুতি দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করছেন। শুরুর দিকেই তার অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করেছেন, যা ইতিমধ্যে ওয়াশিংটন এবং বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর প্রথম সপ্তাহেই উল্লেখযোগ্য ৫টি পদক্ষেপ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দ্রুত সিদ্ধান্তগুলো থেকে ভবিষ্যৎ প্রশাসনের রূপরেখা স্পষ্ট হয়েছে।
নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শীর্ষ দল বা টপ টিম গঠন শুরু করেন। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যের নাম চূড়ান্ত করেছেন, যাদের নিয়োগের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা এবং কয়েকজন সিনিয়র সহযোগী নিয়োগ দিয়েছেন। তবে এ নিয়োগগুলো শুধু প্রশাসনিক নয়; এটি একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষত, যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তারা ট্রাম্পের প্রশাসনের কার্যক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবেন।
ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এমন একজনকে মনোনীত করেছেন, যিনি অনাকাঙ্ক্ষিত সামরিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে নতুন নীতি প্রণয়নের কথা বলেছেন। এর মাধ্যমে সামরিক বিভাগে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ও কার্যকর কাঠামো তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর দুর্নীতি দূর করার অঙ্গীকার করেছেন। এমনকি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কিছু বিভাগ পুরোপুরি বাতিল করার পরিকল্পনাও সামনে এনেছেন।
উপদেষ্টা হিসেবে ইলন মাস্ক এবং বিবেক রামাস্বামীকে বেছে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের নেতৃত্বে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর দিকে জোর দেবে।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি সরকার তৈরি করতে চাই, যা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে এবং জনগণের অর্থের অপচয় রোধ করবে।’
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তগুলো তার প্রশাসনের কার্যক্রমে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ার বার্তা বহন করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আরও সাহসী এবং প্রভাবশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি
ঠিকানা/এনআই