ইনজুরি আর নেইমার যেনও একে অপরের পরিপূরক। যার ফলে বেশিভাগ সময়ই থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে নেমে অ্যান্টেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) চোটে পড়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। এরপর ৩৬৯ দিন পর গত ২২ অক্টোবর আল হিলালের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
কিন্তু দুই ম্যাচ না যেতেই আবারও ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন নেইমার। কিন্তু শেষ বাঁশির তিন মিনিট আগে হ্যামস্টিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। যার ফলে আবারও দেড় মাসের মতো মাঠের বাইরে থাকতে হবে নেইমারকে।
গতকাল (বুধবার) নেইমারের ছিটকে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করে আল হিলাল। সৌদি প্রো লিগের ১৯বারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি জানান, চোটের কারণে নেইমারকে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এ সময় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
নেইমারের চোটের বিষয়ে কোচ হেসুস বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, এটি কোনো সাধারণ চোট নয় এবং সে পেশীর ব্যথায় ভুগছে বলে মনে হচ্ছে। এটি হাঁটুর সমস্যা নয়।
তবে কোচের সুরে কথা বলেননি নেইমার। এক পোস্টে নেইমার লিখেছিলেন, আশা করি, গুরুতর কিছু হবে না… এক বছর বাইরে থাকার পর এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। ডাক্তাররা আগে থেকেই আমাকে সতর্ক করেছিলেন। তাই সাবধানী থেকে আরও বেশি সময় খেলতে হবে আমাকে।
২০২৩ সালের আগস্টে আল হিলালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর মাত্র ৭ ম্যাচ খেলেছেন নেইমার। বারবার চোটে পড়ার কারণে ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে নিয়ে দারুণ বিপদে পড়েছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি। বসিয়ে রেখে নেইমারকে বাৎসরিক ৯ কোটি ডলার বেতন দিতে হচ্ছে আল হিলালকে।
নেইমারের সঙ্গে আল হিলালের চুক্তি ২০২৫ সাল পর্যন্ত। আগামী জানুয়ারিতে নতুন নিবন্ধন উইন্ডো খুলবে। সৌদি আরবের গণমাধ্যমের খবরে কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করবে না আল হিলাল। সেটি হয়ে থাকলে, দ্রুতই সৌদি থেকে বিদায় নিতে হবে নেইমারকে।
ঠিকানা/এএস