দেশের ধ্যানে মাথা ঠান্ডা রেখে বসো মুখোমুখি
বীর্যের ব্যঞ্জনা এনে বলো, অত্যাচারকে অত্যাচার
মানুষের কান্না শোনো, শুশ্রষার জলে করো সুখী
প্রতিরোধে প্রতিশোধ নাও যে শত্রু স্বাধীনতার।
মিছিলের সব পা কি একরকমের হয় নাকি?
এই যে দল বেঁধেছ, তবুও কি তোমরা এক বলো
পাহাড়ের শীর্ষে উঠতে, সাহসে না যেন থাকে ফাঁকি
বাঁধো জোট; দুর্দশায় কখনো যেয়ো না যেন ঢাকি।
বাতাসের কী ক্ষমতা, মানুষের বোধ জাগানোর?
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ! শুনতে পাও নিঃশব্দ চিৎকার?
কেবলি মানুষ পারে, বোধের উন্মেষ ঘটানোর-
চেতনা-প্রত্যুষে জাগো, জাগো রে সন্তান মৃত্তিকার।
চিৎকার দিতেই থাকো...শব্দ যদি ক্ষীণ হয়ে মরে-
তবু চিৎকার দরকার, নয়তো বিপ্লব আসবে কী করে?