দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফায় নতুন বিষয় সম্পৃক্ত করা যাবে বলে মত দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ৩১ দফাটা এমন বিষয় নয় যে আমরা কখনো পরিবর্তন করতে পারবো না। সময় কাল দেশ মানুষের প্রয়োজনে আমরা যে কোন বিষয় পরিবর্তন করবো। নতুন বিষয় এটাতে আমরা সম্পৃক্ত করবো। বিএনপি এমন একটি দল যার কাছে মানুষ প্রত্যাশা করে। এ দলটি দেশের জন্য। দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করবে এবং অবদান রাখবে।
আজ ১৬ অক্টোবর (বুধবার) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’নিয়ে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
ছাত্রদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, তোমরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কাছে যাচ্ছ দলের প্রতিনিধি হিসেবে। যাদের কাছে যাচ্ছ তারা ভবিষ্যতে এ দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের কথা শুনবে। তাদের মতামত গ্রহণ করবে। তাদের মধ্য থেকে ভবিষ্যত সম্ভাবনাময়ী মানুষ বেরিয়ে আসবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমি ও আমার দলের কোনো নেতৃবৃন্দ মাঠে থাকব না। মাঠে থাকবে তোমরা। তাই তোমরা কীভাবে দলকে উপস্থাপন করবে, কীভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরবে; তার বাস্তবতা আমাদের কাছে উঠে আসবে। ৫ আগস্টের আগের প্রেক্ষাপট ছিল একরকম। এখন প্রেক্ষাপট হচ্ছে অন্যরকম। আমরা করবো আমরা বলবো। আমরা কীভাবে কী কী করবো সেটি তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। তোমরা মানুষের কাছে পৌছে দেবে। আমরা লড়েছি আমরা গড়বো।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ ও তারেক রহমানের উপদেষ্টা ডক্টর মাহদী আমিন। প্রশিক্ষণ বিষয়ক এই কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’জাতির সামনে উপস্থাপন করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের হাতে রাষ্ট্রের অধিকার আর মালিকানা ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে গণতান্ত্রিক শক্তির জয়লাভ। আর এই জয়লাভের পর ঐকমত্যের জাতীয় সরকার ৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্রে রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার রূপরেখা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘১৯ দফা’, বিএনপি চেয়াপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘২৭ দফা’কর্মসূচির আলোকে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংশোধিত ও সম্প্রসারিতরূপে প্রণয়ন করা হয়েছে।
ঠিকানা/এএস