অবান্তর সবকিছু থাক আজ তর্কের বাহিরেÑ
ওরা কারা? যারা আমাদের অরণ্যে প্রাচীর তোলে?
একদল এসে জাগিয়ে গেল দিন
অন্য দল থাকে রাতের পাহারায়...
হরিণেরা ভালোবেসে জড়ায় ঘাসের মায়ায়
মানুষ মানুষ শিকারে অস্ত্রের নখর সাজায়!
এখন সময় প্রেমের তো নয়, নয় কবিতার!
এখন সময় বিপ্লবে পারস্পরিক হাতটা ধরার!
অঘটন যেমন ঘটে না কোনো কারণ ছাড়াই
উৎস ছাড়া হয় না উৎপত্তি অথবা সৃষ্টি-
উৎস হতে কত দীর্ঘ পরিক্রমায় ঝরে সে বৃষ্টি-
কখনো বৃষ্টির হুলে গৃহমধ্যে আসমানি বুলেট-
বদ্ধ ঘরে আচানক দেখি ভয়াল মৃত্যুর শেঠ।
পোড়াদহের এ দেশে সূর্যের দহনে সূর্যমুখী পোড়ে
আতঙ্কিত হনু’র ডিবিতে-কারো লাল জিহ্বার
জ্বলজ্বল চোখ সন্ধ্যার শঙ্খধ্বনিতে বাজে।
এই পাললিক সংগ্রামের পটভূমি ঘুঁটে
শাসকের পতঙ্গ পালেরা শস্যভূমি খায় লুটে!
যুবকের নরম শরীর রক্তাক্ত পলাশ পদাবলিতে
গীতবিতানের মলাটে পঙ্্ক্তি হয়ে ফোটে।
রাস্তায় মিছিলে, সভা-সমিতিতে, বটের তলায়
ঘুণে ধরা সংস্কারে আদম দেহের অবিরাম ক্ষয়!
প্রলয়ের প্রতিবাদে বধ্যভূমিতে ফুঁসিছে বাতাস
শূন্যতার নিখিল সমুদ্রে আজ শোঁ শোঁ দীর্ঘশ্বাস
হাতিশুঁড় সাইক্লোন যেন গোটা জনপদ করে গ্রাস!
এই ভাটির দেশেতে পোতাশ্রয় গেড়ে
ওরা প্রজন্মের চারণভূমির শিরায় যায় মিশে
নাচে ভ্রান্তির ধারায় ক্ষমতার রক্ততাজে-
ওরা হানাদার-হন্তারক বাঘের শরীরে হাঁটে!