বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার তালিকা থেকে ৩০৭ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনের ভোটার তালিকায় প্রায় ৬০০ জনের নাম অতিরিক্ত ওঠানো হয়েছে বলে আপত্তি ওঠে সেলিম -আলী প্যানেলের পক্ষ থেকে। বিষয়টি সুরাহা করতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর পরিচালনা পরিষদ ও ট্রাস্টি বোর্ড বিশেষ বৈঠকে বসে। বৈঠকে আলোচনার পর ৩০৭ জন ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়। সেই হিসাবে যখন ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছিল ওই সময়ের পরে যেসব নাম উঠানো হয়েছে সেই সব ভোটারের নাম বাতিল করা হয়েছে। অতিরিক্ত ৫৯৮ জন ভোটারের মধ্যে ৩০৭ জনের নাম ভোটার তলিকা ও সদস্য পদ থেকে নাম বাদ দিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তবে এখনও এই বিষয়ে আপত্তি রয়েছে সেলিম-আলী প্যানেলের। তারা চাইছেন ১৮ হাজার ৩৩০ এর তালিকা দিয়ে নির্বাচন।
বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ আজিজ বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে আমরা ট্রাষ্ট্রি বোর্ড ও বর্তমান কমিটির নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি এটা কখনো হয়নি এবং হতে পারে না। তালিকা খসড়া করার পর সেখানে নতুন নাম কেন সংযোজন করা হবে। আর যারা নিয়ম মেনে ভোটার হয়েছেন তারাই বা কেন বাদ পড়বেন। আসলে তারা তালিকার খসড়া চূড়ান্ত করার সময়ে অতিরিক্ত নাম উঠানোর কারণে এটি নিয়ে আপত্তি উঠেছে। আমরা এটাও বলেছি তালিকা ফাইনাল করার পর আবার নাম সম্পৃক্ত করা এটাতো মেনে নেয়া হবে না। সব মিলিয়ে সবশেষ যোগ করা নামগুলো আমরা বাদ দিয়েছি।
বাকি আরো অতিরিক্ত ২৮৩ ভোটের বিষয়েও আপত্তি আছে সেলিম-আলী প্যানেলের। সেগুলো আমরা বাদ দেইনি। সেগুলো রাখা হয়েছে। আমরা এগুলো বাদ দিতে চাই না। ওই সময়ে দুই প্যানেলের প্রার্থীরা তালিকা করার সময়ে ছিল। এই কারণে আশা করি এখন তারা এটি মেনে নিবে।
ভোটার কাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন প্যানেল সেই হিসাবে করা হয়নি। এটা করা হয়েছে দুই প্যানেলের উপস্থিতিতে যে ভোটার করা হয়েছে সেটি রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এটাই নিশ্চত করে বলেছি ভোটার তালিকা যেসব নাম রয়েছে ভোটারের নাম ও তার জন্মতারিখ, ছবি সব তথ্য মিলে গেলে ভোট দিতে পারবেন। কারোটি যদি না মিলে তাহলে ভোট দিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন আশা করছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করছেন। কোন ধরনের কারচুপি যাতে না হয় ও ভোট নিয়ে যাতে কোন প্রশ্ন না উঠে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। যাদের নাম বাদ পড়েছে তারা আইডি দিয়ে ভোটার তালিকা ও সদস্য পদ থেকে বাতিল হওয়ার কারণে তারা নিবন্ধন ফি ফেরত নিতে পারবেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে এবং বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি ও আগামী নির্বাচনে একই পদের প্রার্থী মহীউদ্দিন দেওয়ান তালিকায় অতিরিক্ত নাম ওঠানোর বিষয়ে সমালোচনা করেন। মহীউদ্দিন দেওয়ান বলেছেন, সোসাইটির ইতিহাসে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার পর সেখানে বারবার নাম সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবারই নির্ভুল ভোটার তালিকা করেই নির্বাচন করা হয়েছে। এবারই এমন হচ্ছে যে ভোটার তালিকায় দফায় দফায় নাম ওঠানো হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। এ সময় সোসাইটির সভাপতি ও সেক্রেটারি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল স্বীকার করেন এবং পরে যে ৩০৭ জনের নাম ভোটার তালিকায় ওঠানো হয়, তা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান নেন। তবে বৈঠকে সভাপতি-সেক্রেটারি থাকলেও কোষাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে ভোটার তালিকা থেকে কোন ৩০৭ জনের নাম বাদ দেওয়া হলেও, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সেলিম-আলী পরিষদ। তারা মনে করছে, যেখানে অনেক সময় ১ ভোটের ব্যবধানে একজন প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ভর করে, সেখানে ৩০৭ জন ভোটারকে বাদ দিতে গিয়ে যদি আমাদের ভোটারকে বেশি সংখ্যায় বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সেটা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। সেলিম-আলী প্যানেল বিষয়টিতে একমত নয়। তারা চায় ৩০ তারিখের পর অতিরিক্ত যে ৫৯৮ জন ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এর পুরোটাই বাদ দেওয়া হোক। ৩০ তারিখের ভোটার তালিকায় ১৮ হাজার ৩৩০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল, সে তালিকা অনুযায়ীই নির্বাচন হোক।
সূত্র জানায়, সেলিম-আলী প্যানেল সোসাইটির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে দুই দফায় চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু দুটি চিঠির কোনোটির উত্তরই বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি আজ পর্যন্ত দেননি। তারা সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না, এরও কোনো জবাব লিখিতভাবে দেননি। তবে চিঠি পাওয়ার পর তারা ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে ২৬ সেপ্টেম্বর বৈঠক করেন।
সূত্র বলছে, ভোটার তালিকা যখন গরমিল হয়, ওই সময়ে বর্তমান কোষাধ্যক্ষ বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। এ কারণে তিনি জানেন না, কীভাবে তালিকায় অতিরিক্ত নাম উঠল। যদিও একটি সূত্র বলছে, ভোটার তালিকা স্ক্যান করার সময় কয়েকটি পৃষ্ঠা বাদ পড়েছিল। এই বাদ দেওয়ার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সোসাইটি নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি জানানো এবং এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, একজন ভোটারকে বাদ দিলেও অনেক সময় কোনো প্রার্থীর পরাজয় হতে পারে। সে কারণে এটাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে, ৩০ তারিখ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩৩০ জনের যে ভোটার তালিকা করা হয়েছিল, সেই তালিকা অনুযায়ী ভোট করা। এতে নির্বাচন স্বচ্ছ হবে। এ ছাড়া যাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে কেউ মামলা করলে সোসাইটির নির্বাচনই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ যারা নির্ধারিত সময়ে ভোটার তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য ফি দিয়ে নাম নিবন্ধন করেছেন, এমন কোনো ব্যক্তি ভোটার হওয়ার যোগ্য হলে তার নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি ভোটারের অনুমতি না নিয়ে তাকে ভোটার করে থাকেন, তাহলে সেগুলো তদন্ত করে দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই সমস্যার নিরসন দরকার। কারণ যাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তারা যদি কেউ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে আপত্তি জানান ও পদক্ষেপ নেন তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে।
দুই প্যানেলেরই ব্যাপক প্রচারণা
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ অক্টোবর। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল-জাহিদ ও সেলিম আলী প্যানেলের প্রার্থীরা। পাশাপাশি বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় তারা সভা-সমাবেশ করছেন। বাংলাদেশিদের আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও তারা ভোট চাইছেন। প্রার্থীরা কার কত ভোট রয়েছে, তা নিয়েও চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করছেন। ইতিমধ্যে ভোটারদের কাছে ফোন দিয়ে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এর বাইরে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতাদের কাছেও সংগঠনের সম্মিলিত সমর্থন চাইছেন। ইতিমধ্যে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম সমিতি, বিয়ানীবাজার সমিতি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটিসহ বড় বড় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের কাছে দুই প্যানেলের প্রার্থীরাই ভোট ও সমর্থন চাইছেন।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুটি প্যানেলের মধ্যে রুহুল-জাহিদ প্যানেলে সোসাইটির বর্তমান কমিটির নেতারাই সংখ্যায় বেশি। পাশাপাশি কিছু নতুন মুখও রয়েছে। অন্যদিকে সেলিম-আলী প্যানেলে নতুন প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। তবে বর্তমান পরিচালনা পরিষদের কয়েকজনও তাদের প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, এমন প্রার্থীও রয়েছেন।
দুই পক্ষের বিরামহীন প্রচারণায় এটাই স্পষ্ট সবাই জয় পেতে চান। তবে সেটা নির্ভর করছে ভোটারের সিদ্ধান্তের ওপর। আফরা মনি
সেলিম-আলী প্যানেলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সেলিম-আলী প্যানেলের কর্মী সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণা গত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার জ্যামাইকার হিলসাইডের স্টার রেস্টুরেন্ট হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য দেন প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলীসহ অন্য কয়েকটি পদের প্রার্থীরা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন আহসান হাবীব, রেজাউল অপু, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, এনায়েত মুন্সি, মান্নান, সিরাজুল ইসলাম লিপন, এম আর খান সেলিম প্রমুখ। তারা সেলিম-আলী প্যানেলকে জয়ী করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। নির্বাচনে ভোটাররা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেন, সে বিষয়ে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
কর্মী সমাবেশে বক্তব্যে সেলিম-আলী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম তার নেতৃত্বাধীন পূর্ণ প্যানেলকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য জ্যামাইকা ও ওজন পার্কের ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি নির্বাচনী কাজে সবার সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, আমি এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না, যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব না। এর আগের অনেক প্রার্থী এবং বর্তমান কমিটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারা কমিউনিটির সেন্টার করবেন। কিন্তু তারা তা করতে পারেননি। আমি বাংলাদেশ সোসাইটির কমিউনিটি সেন্টার করতে চাই। এ জন্য এখনই বলতে চাই না করতে পারব, তবে পরিকল্পনা আছে কমিউনিটি সেন্টার করার। আমি অন্তত এর একটি রূপরেখা করতে চাই।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা নির্বাচনী যেসব প্রতিশ্রুতি দেব, সেগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যেই দেব। যে কাজ আমরা করতে পারব না, সে কাজের প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। আমরা চাই আপনারা আমাদেরকে নির্বাচিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবেন। তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ আমাদের প্যানেলের নারী প্রার্থী নিয়ে কথা বলেছেন। এটাকে নেতিবাচক প্রচারণা হিসেবে আমাদের বিপক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড। এই বোর্ডে একজনও নারী নেই। বর্তমান কমিটি তা করেনি। তারা তাহলে কীভাবে নারীকে সম্মানিত করলেন। তারা তাদের প্যানেলে নারী প্রার্থী রেখে প্রচারণা করছেন। আমরাও নারী প্রার্থী রাখতে চাই। এ কারণে আমরা আমাদের মেনিফেস্টোতে এটাও উল্লেখ করতে চাই, আগামীতে ট্রাস্টি বোর্ডসহ সোসাইটির কমিটিতেও যাতে নারী নেতৃত্ব থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে চাই। তিনি সবার কাছে সেলিম-আলী প্যানেলের নির্বাচনী বিভিন্ন সমাবেশ সফল করার পাশাপাশি এই প্যানেলকে জয়ী করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে সেলিম-আলী প্যানেল ওজন পার্কেও একটি নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ করেছে। সেই সঙ্গে ব্রঙ্কসে নির্বাচনী পরিচালনা অফিস করেছে। সেখান থেকে নির্বাচন পরিচালনা ও প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে জানান মোহাম্মদ আলী।
জ্যামাইকা ও ওজন পার্কে বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ বসবাস করেন। এ ছাড়া হলিস, কুইন্স ভিলেজ, দক্ষিণ জ্যামাইকা, সাটফিন, পারসন ও ব্রায়ারউডের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সোসাইটির অনেক ভোটার বাস করেন। ভোটের ক্ষেত্রে জ্যামাইকা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ায় প্রার্থীদের নজরও সেখানে বেশি। এ জন্য এই এলাকায় প্রার্থীরা বেশি বেশি সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণা চালান। প্রার্থীরা জ্যামাইকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নন-প্রফিট অর্গানাইজেশনের নেতাদের কাছে ভোট ও তাদের সহযোগিতা চাইছেন।