১৯৭৩ সালে শেষবারের মতো একজন ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট মারা গিয়েছিলেন। দায়িত্ব থেকে অবসর গ্রহণের কয়েক বছর পর লিন্ডন বেইনস জনসন ৬৪ বছর বয়সে মারা যান। এরপর ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর আরেক ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মার্কিন জাতি এবার কোনো ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টের প্রথম শেষকৃত্য দেখতে যাচ্ছে মার্কিনীরা।
কার্টার হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট। তিনি ১৯৮০ সালে ৫৬ বছর বয়সে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পরেও দীর্ঘ সময় বেঁচেছিলেন।
নোবেলজয়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে আগামী ৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেইসঙ্গে প্রয়াত এই প্রেসিডেন্টের জন্য আমেরিকানদের প্রার্থনা করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আমি মার্কিন জনগণকে সেই দিন তাদের নিজ নিজ উপাসনালয়ে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি সাবেক প্রেসিডেন্ট জেমস আর্ল কার্টার, জুনিয়রের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্ববাসীকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তারা যেন গৌরবময় শোকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে দুঃখ ভাগ করে নেন।’
২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইনসে ১০০ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মারা যান জিমি কার্টার। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তার স্ত্রী রোসালিন ৯৬ বছর বয়সে ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা গেছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রিয়তা হারিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের সুনাম ফিরে পান জিমি কার্টার। এই কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০২ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পান তিনি। 
বাইডেনকে ড. ইউনূসের চিঠি :  সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠিতে ড. ইউনূস বলেন, আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে নোবেল বিজয়ী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি উল্লেখ করেন, জিমি কার্টার একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য অক্লান্ত প্রবক্তা। প্রেসিডেন্ট কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালে এবং তারপরও বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার ও বিস্তৃত হয়। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা এবং আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য এক মহান অনুপ্রেরণার উৎস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার একজন প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে বিশেষ সম্মান আমার হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার আমাকে সবসময় উৎসাহিত করেছে। তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের কথোপকথনের মূলে ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরাও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
বিশ্বনেতাদের শোক : নোবেলজয়ী সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা।
জো বাইডেন : ভার্জিন আইল্যান্ডের সেন্ট ক্রোইক্সে এক ভাষণে বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারকে ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তার ‘শিষ্টাচার’ ও ‘মানবিক মূল্যবোধের’ প্রশংসা করেন।
বাইডেন বলেন, ‘আপনি কি ধারণা করতে পারেন, তিনি (জিমি কার্টার) কাউকে তার চেহারা কিংবা কথা বলার ধরন দিয়ে বিবেচনা করছেন? আমি অন্তত তা পারি না।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প : শোক জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, জিমি কার্টার সত্যিই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমেরিকাকে আরও শ্রেষ্ঠ বানানোর জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
বারাক ওবামা : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, পরিণতি যতটাই নারকীয় হোক না কেন, জিমি কার্টার বরাবর মানুষের ভালোর জন্য কাজ করেছেন।
কমলা হ্যারিস : প্রেসিডেন্ট থাকা এবং পরবর্তী সময়ে জিমি কার্টারের কাজের কথা স্মরণ করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, ‘তিনি আমাদের বাতাস-পানি রক্ষায় কাজ করেছেন। সরকারের স্বচ্ছতা বাড়াতে কাজ করেছেন। ইসরাইল ও মিসরের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছেন।’
রাজা চার্লস : শোক জানিয়ে রাজা তৃতীয় চার্লস বলেন, তিনি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জনগণের সেবক ছিলেন। শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
কিয়ার স্টারমার : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শোকবার্তায় বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি অসাধারণ প্রতিশ্রুতি পূরণের মধ্য দিয়ে জিমি কার্টার তার শাসনামলের পরবর্তী সময়কে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
জাস্টিন ট্রুডো : শোক প্রকাশ করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিমি কার্টার দয়া, উদারতা, সহানুভূতি ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ : এক্স বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অধিকার আর শান্তির পক্ষে জীবনভর অবিচল ও অক্লান্তভাবে কাজ করেছেন জিমি কার্টার। তার পরিবার ও আমেরিকার জনগণের প্রতি ফ্রান্সের মানুষের পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
 ভলোদিমির জেলেনস্কি : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শোক জানিয়ে বলেন, ‘তিনি এমন একসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যখন ইউক্রেন স্বাধীনতা অর্জন করেনি। এরপরও আমাদের চলমান লড়াইয়ে তিনি হৃদয় দিয়ে দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন।’ 
মার্কিন প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের কিছু ঐতিহ্য ও রীতিনীতি : মার্কিন প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ঐতিহ্য এবং রীতিনীতি রয়েছে। তবে পরিবারের ইচ্ছাগুলোকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। 
লিন্ডন বেইনস জনসনের মৃত্যুর পর গেল অর্ধশত বছরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের জন্য চারটি রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়েছে। এগুলো হলো- জনসনের ১৯৭৩ সালে, রোনাল্ড রিগ্যানের ২০০৪ সালে, জেরাল্ড ফোর্ডের ২০০৭ সালে এবং জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ২০১৮ সালে।
১৯৯৪ সালে মারা যান সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। যেকোনো বৃহত্তর অনুষ্ঠানে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রভাব পড়তে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়।
ইউএস আর্মি মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট অফ ওয়াশিংটনের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ধারণ করছেন বা ধারণ করেছেন, সেইসাথে একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত অন্য ব্যক্তিদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালনা করে’।
রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সাত থেকে ১০ দিন স্থায়ী হয় এবং এতে তিনটি অংশ থাকে - প্রেসিডেন্টের নিজ রাজ্যে অনুষ্ঠান, ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠান এবং অবশেষে তারা যে রাজ্যে সমাধিস্থ করা বেছে নেয় সেখানে অনুষ্ঠান।
রাজধানী অঞ্চলের অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী অনার গার্ড, মিলিটারি ব্যান্ড এবং ন্যাশনাল গার্ড ও ইউএস সশস্ত্র বাহিনীর রিজার্ভের ইউনিট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। রাজধানী অঞ্চলের বাইরে পরিষেবাগুলোতে স্থানীয় ইউনিটগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন: যদি কোনো প্রেসিডেন্ট দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যান, তাহলে প্রথমেই ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য অফিসের শপথ গ্রহণ করতে হয়।
শেষকৃত্যের পরিকল্পনা : হোয়াইট হাউস হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, প্রেসিডেন্টের প্রথম কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো তাদের নিজস্ব অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরিকল্পনা করা। একজন প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পওে তার পরিবার কার্যধারার সমন্বয় করে।
২০০৬ সালে মি. ফোর্ডের মৃত্যুর পরে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের তৎকালীন স্টেট ফিউনারেল প্ল্যানার বারবারা ওয়েন্স বলেছিলেন, ‘পরিবারটি আমাদের কমান্ডিং জেনারেলের সাথে দেখা করার সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত আগামী দিনের সময়সূচি কী হবে, আমরা জানি না। তারা একটি সাধারণ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বেছে নিতে পারে- তারা একটি পূর্ণ সম্মানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বেছে নিতে পারে। এটি কেবল পরিবারের উপর নির্ভর করে।’
ঘোষণা জারি : যখন হোয়াইট হাউসকে একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মৃত্যু সম্পর্কে অবগত করা হয়, তখন বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রতিরক্ষা বিভাগকে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়ার আগে ঘোষণার মাধ্যমে মৃত্যুর খবর প্রচার করেন। প্রেসিডেন্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য ফেডারেল এজেন্সি এবং বিভাগগুলোকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
পতাকা অর্ধনমিত করা : ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স বিভাগ অনুসারে, যখন একজন প্রেসিডেন্ট মারা যান, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর অঞ্চলগুলোর সমস্ত ফেডারেল ভবন, ময়দান এবং নৌযানগুলোতে ৩০ দিনের জন্য পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
ইউএস ক্যাপিটলে কাসকেট পরিবহন এবং রাজ্যে দাফন: সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ক্যাসকেটটি রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শণের জন্য মার্কিন ক্যাপিটলে নিয়ে যাওয়া হয়। কাসকেটটি সামরিক বাহিনী এসকর্ট দিয়ে প্রেসিডেন্টের বিমান ব্যবহার করে নিয়ে যায়।
ক্যাপিটল বর্তমান ও প্রাক্তন নির্বাচিত কর্মকর্তা এবং জনসাধারণকে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে দেয়।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া : অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ঐতিহ্যগতভাবে দেশের রাজধানী ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে অনুষ্ঠিত হয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর্যায়গুলো সাধারণত পাঁচ দিন স্থায়ী হয় এবং কার্যধারা প্রতিটি পৃথক প্রেসিডেন্টের উপর নির্ভর করে।
আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের দল প্রথমে আসে, তারপর বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানরা, যেগুলো ইংরেজি বানান অনুসারে বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো হয়। এর পরে, রাজ্য প্রধানদের প্রতিনিধিত্বকারী রয়্যালটি উপবিষ্ট হয়, তারপরে সরকার প্রধানরা।
মার্কিন সামরিক স্যালুট : যখন একজন প্রেসিডেন্টকে সমাহিত করা হয়, তখন সাতজন অনার গার্ড প্রেসিডেন্টের সমাধিস্থলে থ্রি-ভলি স্যালুট প্রদান করে এবং দেশের চারপাশের সামরিক স্থাপনাগুলো প্রাক্তন কমান্ডার-ইন-চিফের জন্য ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সম্মান জানায়। 
ট্রেন মিছিল : সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সুবিধার্থে অতীতে বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্টের কাসকেট ট্রেনে করে সারা দেশ ভ্রমণ করেছিল। ২০১৮ সালে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের পরিবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তার কাসকেটটি দেশজুড়ে থাকবে।
দাফন : প্রেসিডেন্টকে শেষ পর্যন্ত সমাহিত করা হয়, সাধারণত এমন একটি জায়গায় যা তাদের কাছে ব্যক্তিগত গুরুত্ব রাখে। বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্টকে তাদের প্রেসিডেন্ট গ্রন্থাগারে সমাহিত করা হয়। এছাড়া প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম এইচ টাফ্ট এবং জন এফ কেনেডিকে আর্লিংটন জাতীয় কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
                           
                           
                            
                       
     
  
 

 ঠিকানা রিপোর্ট
 ঠিকানা রিপোর্ট  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
