আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেলে গুগলের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গুগলের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ, মার্কিন এই সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট তার সম্পর্কে শুধু ‘খারাপ খবর’ (ব্যাড স্টোরিজ) প্রদর্শন করে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গুগলকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ঘোষণা দেন তিনি।
নিজের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে করা পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, গুগল বেআইনিভাবে এমন একটি সিস্টেম ব্যবহার করছে, যেখানে ‘ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প’ সম্পর্কিত খারাপ খবরগুলোই কেবল প্রকাশিত ও প্রদর্শিত হয়, যার মধ্যে বেশ কিছু খবর তৈরিই করা হয় এই উদ্দেশ্যে। এ ছাড়া ট্রাম্প এও অভিযোগ করেন, নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস সম্পর্কিত সব ভালো খবর প্রচার করে থাকে এই জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটি।
তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে গুগলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বেআইনি কাজ এবং আশা করি, বিচার বিভাগ (জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট) নির্বাচনে এই স্পষ্ট হস্তক্ষেপের জন্য তাদের (গুগলের) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে। যদি তা না হয়, আমি নির্বাচনে জয়লাভ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ স্তরে তাদের (গুগলের) বিচারের অনুরোধ জানাব।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটের ৯০ শতাংশেরও বেশি বর্তমানে গুগলের দখলে। সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি ক্লাউড-ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা প্রদানেও গুগলের ধারেকাছে নেই কেউ। তবে ট্রাম্পের আনা এই গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে গুগল এখনো তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও গুগলের বিরুদ্ধে ট্রাম্প একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে আসেন বলে জনপ্রিয় দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট সূত্রে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে (বর্তমানে এক্স) সিরিজ আকারে পোস্ট করে তিনি গুগলের বিরুদ্ধে ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ আনেন। তবে গুগল এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু সমর্থকও গুগলের বিরুদ্ধে নতুন করে এই অভিযোগ এনেছেন। গত জুলাই মাসে ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার কয়েক দিন পর ইলন মাস্ক নিজের প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে গুগলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন, সার্চ ইঞ্জিনে তারা ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
ঠিকানা/এনআই