আমি নীলাকাশ; আমি সমুদ্র-বাতাস প্রবহমান,
উদিত সূর্য; চাঁদনির আলো-উজ্জ্বল ফুলবাগান।
আমি পাহাড়ের; শিখর চূড়ায়-তুষারের সাদা হাসি,
মেঘ উড়ে এসে; চুমু দিয়ে বলে ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’।
আমি ঘোর ঘোর; স্বপ্নের ঘোর-স্বপ্নের ঘোরে উড়ি,
বাস্তবতার পাথুরে জমিনে-আমি তো কুড়াই নুড়ি।
আমি ভাসমান-পরিযায়ী মেঘ; পাহাড়ি ঝরনা-নদী,
আমি উড়ন্ত পাখির কাকলি-প্রাতে সাঁঝে সুর সাধি।
শুয়োপোকা থেকে আমি প্রজাপতি; রেশম গুটির রানি,
আমি বীজ; আমি বুকে ধরে রাখি-আগামীর হাতছানি।
আমি সীমাহীন ধৈর্যের গাছ; ফুলে-ফলে ছায়া রসে,
শেকড়ে-বাকলে সেবা দিয়ে যাই-যারা এসে নিচে বসে।
আমাতে রয়েছে বিপুলা পৃথিবী-সাতটি বিশ্ব মনে,
আমি ধরি কাল-মহাকাল বুকে, অসীমের সন্ধানে।
আমি প্রেম; আমি ধ্রুপদি কবিতা-নীরব সত্য আলো,
আমি ধ্রুব; আমি বিধাতার জ্যোতি-বুকে ধরি জমকালো!
আমি সবকিছু, আমি প্রায় কিছু-আমি নই কোনো কিছু,
লোভ মোহ কাম হিংসা ও ঘৃণা-ঘোরে মোর পিছু পিছু।
আমি পথচারী; আমি পথ বটে! হাঁটা-চলা-থামা যা’ তা’,
আমি পিতা; আমি পুত্র-কন্যা; আমিই জননী মাতা।
আমি সম্প্রীতি; আমি দুর্গতি-শান্তি ও স্বাধীনতা,
আমি; ‘তুমি’-‘তুমি’; ‘আমি’ জেনো-এর নিত্যতা সত্যতা।