কুলাউড়া বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক জমজমাট বনভোজন গত ১ সেপ্টেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাড়ির টানে বিপুলসংখ্যক কুলউড়াবাসীর উপস্থিতিতে বনভোজনস্থল হয়ে ওঠে এক অপরূপ মিলনমেলার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা কুইন্সের এস্টোরিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত এই মিলনমেলায় কুলাউড়া ছাড়াও বাংলাদেশ সোসাইটি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিততে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে ভেন্যুস্থল। দীর্ঘদিন পর অনেকের সাথে সাক্ষাত হয়। দিনভর চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। নানা স্মৃতিচারণ। চলে দেশের কথা, দশের কথা। বাদ পড়েনি আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন। দুই গ্রুপের প্রার্থীদের পদচারণায় বনভোজন স্থলে ছড়িয়ে পড়ে নির্বাচনী আমেজ।
সংগঠনের সভাপতি কুলাউড়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদের পরিচালনায় একে একে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় অতিথিদের সাথে। সার্বক্ষণিক সচল ছিলেন এই দুই কর্মকর্তাসহ সংগঠনের তরুণ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অতিথি আপ্যায়নে যেন কোন কৃপণতা না হয়- সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি ছিলো তাদের।
নিউইয়র্ক : কুলাউড়া বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের বনভোজনে অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ।
সমৃদ্ধ এই আয়োজনে দিনব্যাপী পরিবেশন করা হয় সুস্বাদু ও রকমারি সব খাবার, খেলাধুলা, ফুটবল প্রতিযোগিতা, পিলো পাসিং ও আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। বিজয়ীদের মাঝে বিতরণ করা হয় আইফোন, সোনার চেনসহ মোট ১১টি পুরস্কার। বনভোজনের শুরু থেকে অনুষ্ঠানস্থলকে মাতিয়ে রাখেন প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী চন্দ্রা রায়।
অতিথি ছিলেন- সাবেক এমপি এম এম শাহীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন ছিদ্দিকী, কোষাধ্যক্ষ নওশাদ, কার্যকরী সদস্য সাদী মিন্টু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলিম উদ্দিন, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সভাপতি সোহান আহমদ টুটুল, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রুহুল আলী, সাবেক সভাপতি তজমুল হোসেন, এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোাসইটির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দীন, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাস্টি মিনহাজ আহমদ সাম্মু, অ্যার্টনি মঈন চৌধুরী, সিপিএ জাকির আহমদ চৌধুরী, ডেমোক্র্যাটিক ডিলিগেট মঞ্জুর চৌধুরী জগলু, অ্যাডভোকে সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জুনেল আহমদ, মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহান খান, এমসি কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন, কুলাউড়া বাংলাদেশি অ্যাসোসিশেনের প্রধান উপদেষ্টা আবুল কালাম, উপদেষ্টা ডা. মুজিবুর রহমান, এমএ আব্দুস সালাম, মাহিউদ্দীন, মশাহিদ জে. রাশেদ, তজমুল আলী, এ এম চৌধুরী সফি, যুগ্ম সম্পাদক মাসুম আহমদ, প্রচার সম্পাদক এনামুল ইসলাম খাঁন, মহিলা সম্পাদক মাহমুদ ইসলাম রুমা, কার্য নির্বাহী সদস্য বদরুল ইসলাম মিন্টু, ইমরুল হোসেন, লুৎফুর রহমান জেবুল, লুৎফুর রহমান, সাবেক সভাপতি শাহেদ দেলোয়ার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমদ ইকবাল, সাবকে সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন জালাল, সাবেক উপদেষ্টা খালেদ উর রব, মইন উদ্দীন চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী, জাবেদ খসরু, গোলাপগঞ্জ সোসাইটির সভাপতি এবাদ চৌধুরী, বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের, টাইম টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ইলিয়াছ খছরু, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি সামাদ মিয়া জাকারিয়া, সীমান্তের ডাক পত্রিকার প্রকাশক মিসবাউর রহমান এনাম, সাংবাদিক শাহ সুমন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আনোয়ারুল হক চৌধুরী পারেক, গোলাম মোদ্বীর সুলেমান, শামীম আহমদ, মুবিন খালিক, মিলন, কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী, বিশ্বনাথ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শিহাব উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির আহমদ, শ্রীমঙ্গল সমিতির মুজিবুর রহমান লাভলু, খলিলুর রহমান প্রমুখ।
এমন আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে অতিথিদের সাথে একে- অপরের চলে দিনভর ফটোসেশন।
আয়োজকরা আগেই জানিয়েছিলেন এই বনভোজন আয়োজনের উদ্দেশ্য দেশে স্মরণকালের বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ। তাদের ডাকে প্রবাসীরাও স্বতস্ফূর্তভাবে হাত বাড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। পুরস্কার বিতরণ শেষে সভাপতি শাহ্ আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ বনভোজনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।