পশ্চিমবঙ্গের আরজি করকাণ্ডের ঘটনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করার এ ঘটনার রেশ পুরো ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। একে একে বলিউডের তারকারাও কলকাতার এ ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এবার মুখ খুললেন তারকা অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। আরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রীতি জিনতা, নব্যা নভেলি নন্দা, রিচা চড্ডা ও টুইঙ্কল খান্না।
সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্টে অভিনেত্রী কারিনা কাপুর দাবি করে বলেছেন— সময় বয়ে যায়। কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে কারিনা কাপুর লিখেছেন— ‘১২ বছর পরও একই ঘটনা, একই প্রতিবাদ। কিন্তু আমরা এখনো পরিবর্তনের অপেক্ষা করে চলেছি।’
এদিকে নারীর সুরক্ষার দাবি করে অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা তার পোস্টে লিখেছেন— ‘অর্থনীতিতে সারাবিশ্বে আমাদের দেশ পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আগামী নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছাপিয়ে যাবেন নারীরা— এমনই মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সময় হয়েছে যে, নারীর নিরাপত্তাকেই সবার আগে রাখতে হবে। খারাপ লাগে যখন দেখি, গ্রেফতারের পর একজন ধর্ষকের মুখ ঢাকা থাকে। কিন্তু নির্যাতিতার ছবি ও নাম সব প্রকাশ্যে আনা হয়।’
অন্যদিকে অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নব্যা নভেলি নন্দা বলেছেন— ‘আরও একবার ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। প্রথমত ওই মেয়েটি এবং ওর পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি চলুন। আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পেছনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কর্মস্থল, শ্রেণিকক্ষ ও বাড়ি — এই তিনটি জায়গাই তো নিরাপদ আমাদের জন্য। নারীদের ছোট করার মানসিকতার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষকে এক হয়ে লড়তে হবে।’
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলিউড অভিনেত্রী রিচা চড্ডা একটি পোস্ট করে লিখেছেন— ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার থেকে দেশের নারীরা সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের আশা করেন। আপনিই কিন্তু দেশের একমাত্র নারী মুখ্যমন্ত্রী।’
অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না বরাবোরর মতোই নিজের স্পষ্ট মতামত দিয়ে আরজি করখাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘পঞ্চাশটা বছর এই পৃথিবীতে, এই দেশে কাটিয়ে ফেললাম। আমি আমার মেয়েকে ঠিক সেগুলোই শেখাচ্ছি, যেগুলো আমিও ছোটবেলায় শিখেছি। একা পার্কে যেও না, স্কুলে যেও না, সমুদ্রের ধারেকাছেও যেও না। একা কোনো পুরুষের সঙ্গে কোথাও যেও না। তিনি যদি তোমার কাকু, ভাইয়ের বন্ধুও হয়, তবুও না। সকাল-সন্ধ্যা কখনো একা কোথাও যেও না। বিশেষ করে রাতে তো একদমই না। কখন যাবে, এটার চেয়েও বড় বিষয় হলো একা যদি তুমি কোথাও যাও, ফিরে না-ও আসতে পারো।’
ঠিকানা/এএস