Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বয়ম্ভর হয়েও কেন এত নির্ভরতা

স্বয়ম্ভর হয়েও কেন এত নির্ভরতা


বাংলাদেশে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এমন সব পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশে সব সময়ই ধরণার বাইরে ছিল। এমনকি সরকার নিজে ঘোষণা দিয়ে যেসব পণ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর বলেছে, সে রকম অনেক পণ্যের দামও এখন আকাশচুম্বী। এমন সব পণ্যও এখন বর্ধিত মূল্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত। অতীতে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল বন্যা ও খরা। কিন্তু এখন মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় বন্যা ও খরার কোনো স্থান নেই। এখন সবচেয়ে এগিয়ে সিন্ডিকেট, গডফাদার, ব্যবসায়ীদের জোটবদ্ধ চক্রান্ত। এর আগে বেশি বেশি দাম বাড়ত ধান, চাল, তেলের। আর যেসব পণ্য আমদানি করে আনা হতো, তার মধ্যে গুঁড়ো দুধ ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল-এ রকম কিছু পণ্য। এখন পশুপালন, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি, ডিমের দাম বৃদ্ধি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এখন উৎপাদন মৌসুমেও দেখা যায় পেঁয়াজ, মরিচ, লবণের দাম বৃদ্ধি পায় কোনো কারণ ছাড়াই। একজন ক্রেতা আজ যেসব পণ্য যে দামে কিনছেন, পরের দিন সেসব পণ্যই বাড়তি দামে কিনছেন, যা তার চিন্তার মধ্যেও ছিল না। অজানা কারণে এসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিদিন ক্রেতাদের বিপাকে ফেলছে। এমন অনেক পণ্যের দামবৃদ্ধি ক্রেতাদের হতাশায় ডুবিয়ে দিচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এমন উর্দ্ধগতি মধ্যম এবং নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের কোনো বাড়তি আয় নেই, তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এ রকম পরিস্থিতিতে তারা দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে না পারছে মানিয়ে নিতে, না পারছে সইতে। মানুষের পকেটে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়ায় বাঙালির প্রধান খাদ্য হিসেবে গণ্য চাল, গম, তরিতরকারির মূল্যবৃদ্ধিতে। এ রকম পরিস্থিতিতে মানুষ দিশেহারা। তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না কী করবে, কোথায় হাত পাতবে, কোথায় গেলে সংকটের সমাধান পাবে। সরকারের পক্ষে অনেকেই আশার বাণী শোনান, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে প্রোটিন হিসেবে দুধ, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগির খামার একটা সম্মানজনক স্থানে রয়েছে। সম্প্রতি সরকারের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঠিকানা। ৩ এর পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি কি গ্রহণযোগ্য?’ উপরে রয়েছে শোল্ডার, ‘এবার ৬৭ লাখ টন খাদ্য আমদানির লক্ষ্য’। মূল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সদ্য সমাপ্ত বছরের ২৮ জুন পর্যন্ত দেশে ৬৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা খাদ্যশস্যের প্রায় সবই গম। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ৭৬৩ হাজার মেট্রিক টন, বাকি ৫৯ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন বেসরকারি খাতে আমদানি করা হয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, গমের মোট চাহিদা ১ কোটি মেট্রিক টন। এর মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টন মানসম্পন্ন আটা, যা দিয়ে বেকারি দ্রব্য এবং মানুষের খাবার এবং ৫ লাখ মেট্রিক টন গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এমন হিসাব-নিকাশের মধ্যেই চলছে বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য আর কতটা শুভংকরের ফাঁকি।

কমেন্ট বক্স