সৈয়দ মামুনুর রশীদ
ছয়ত্রিশ হাজার ফুট উপরে জানালার পাশে বসে আছি
অথচ ভেসে চলেছি মেঘের উপর দিয়ে,
ধূসর বর্ণের মেঘগুলোর মতো কিছু বিচ্ছিন্ন স্মৃতি
মৌন ভাবনার গহিনে পুঞ্জীভূত মেঘ হয়ে ভাসছে।
বিমানবালাদের ছোটাছুটির পাদুকার শব্দ
তন্দ্রাযাপনে বিঘ্নিত হলেও অন্যদের মতো বিরক্ত নই,
বরং ভালোই লাগছে কর্মচাঞ্চল্যের ভাসমান আতিথ্যে।
কর্ণবিবরে প্রিয়জনের অস্পষ্ট কথাগুলো
তন্দ্রাচ্ছন্নতায় যেন মালকোষ রাগে
ক্ষণে ক্ষণে বেহালার সুর হয়ে বাজছে
দৃষ্টিপট সুস্পষ্ট কুহেলিকার আচ্ছন্নতার মাঝেও।
কুয়াশা চলে গেলে দিনের নয়নাভিরাম দৃশ্যগুলো
যেমন অপেক্ষমাণ প্রহরের অভিসারে অভিষিক্ত হয়
তেমনি অনাবৃত হতে থাকে মেঘের ভিতর থেকে
একপশলা বৃষ্টি আমার দৃষ্টিপথ ভেদ করে।
কখন রাত শেষে ভোর হয়,
সাগর পেরিয়ে পর্বতমালা,
এক দেশের উপর দিয়ে অন্য দেশ অতিক্রম,
সবই দৃষ্টির অগোচর,
জানালার দৃশ্যপট ধূসর বর্ণে একাকার।
সিঁড়ির ধাপে ধাপে পায়ের চেনা শব্দের প্রতিধ্বনি
মেঘের ঊর্ধ্বে কল্পনার অবগাহনে বিমূর্ত
বিশাল শূন্যতায় তৃপ্তিহীন আকাশ বিহারে।
মেঘের মতে উড়ছে আর ভাসছে কিছু স্মৃতি
গন্তব্যের বিপরীতে মেঘ হতে খসে পড়া বৃষ্টির মতো