মিত্র দেশগুলোর সাহায্য নিয়ে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা রুখে দেয়ার দাবি করেছে ইসরাইল। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে মিত্রদেশগুলোর কাছে একই সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে যুক্তরাষ্ট্র সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় ১৫ এপ্রিল (সোমবার) মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহায়তার কথা নাকচ করে দেন।
১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় তেহরান। তবে ইরানের ছোঁড়া ৯৯ শতাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিতের দাবি করেছে ইসরাইল। এরপরই আলোচনায় আসে ইসরাইলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি।
মিত্রদেশগুলোর সহায়তায় ইসরাইলের সীমানায় প্রবেশের আগেই অনেক ড্রোন এবং মিসাইল ভূপাতিত করে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান ইরানি ড্রোন এবং মিসাইল ভূপাতিত করতে সহায়তা করে।
ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সহায়তা করেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সহায়তা করবে কিনা হোয়াইট হাউসে এমন প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন,
আমি জানতাম এই প্রশ্নটি আসবে। দেখুন সংঘাত, আকাশসীমা ব্যবস্থার হুমকি একেক জায়গায় একেক রকম। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুরু থেকেই স্পষ্ট করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হবে না।
কিয়েভের মিত্ররা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে রাশিয়াকে পরাজিত করতে ‘যতদিন লাগবে’ ততদিন সহায়তা করা হবে। তবে সরাসরি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত থাকার ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।
এরআগে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে তেল আবিবের মতো শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মিত্র দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
১৪ এপ্রিল এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব দেখেছে ইসরাইল তার প্রতিরক্ষায় একা ছিল না-আকাশে হুমকিগুলোও তার মিত্রদের মাধ্যমেই ধ্বংস হয়েছে। আকাশ থেকে হুমকি প্রতিহত করতে ইসরায়েলের মতোই তার দেশেরও মিত্রদের সাহায্যের প্রয়োজন।


ঠিকানা অনলাইন


