নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা বৈঠক করেছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। অভিবাসন ইস্যুর বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার তার ডানপন্থি সরকার ভেঙে যায়। এরপরই পরবর্তী করণীয় নিয়ে তিনি হেগে অবস্থিত রাজপ্রাসাদে রাজার সঙ্গে বৈঠক করেন। বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু গোপনীয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সরকার ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী বড় পদক্ষেপ হবে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করা। কিন্তু তার আগে আজ ১০ জুলাই (সোমবার) ডাচ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সরকারের পদত্যাগের ইস্যুতে প্রথমে বিতর্ক হবে। তারপর পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পর হবে নির্বাচন। ধারণা করা হচ্ছে তা নভেম্বরেই হতে পারে।
নেদারল্যান্ডসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। তিনি ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায়। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, পঞ্চম মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দলের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। মার্ক রুটের রক্ষণশীল ভিভিডি পার্টি বলছে, তারা নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়প্রার্থীর প্রবাহ সীমিত করতে চায়। এ নিয়েই মুলত সেখানে নতুন করে রাজনেতিক সংকটের সৃষ্টি।
যুদ্ধের ফলে শিশু শরণার্থী হিসেবে যারা নেদারল্যান্ডসে প্রবেশ করছে তাদের সংখ্যা সীমিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সমর্থন চান। এর ফলেই সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। তার ও তার দলের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে খ্রিস্টিয়ান ইউনিয়ন ও লিবারেল ডি৬৬। তাদের বিরোধিতায় সরকারের পতন হয়ে যায়। সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমানে রাষ্ট্রের প্রধান রাজা। আশা করা হচ্ছে, নির্বাচনের পর নতুন একটি প্রশাসন না আসা পর্যন্ত মার্ক রুটের জোটকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে দায়িত্বে থাকার অনুরোধ করতে পারেন তিনি। রাজার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে একটি টুইট করেন মার্ক রুট। এতে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে নিশ্চয়তা দেন যে, তার দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও ইউক্রেনের প্রতি নেদারল্যান্ডসের সমর্থন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
এসআর