তুমি যদি অনুভবে শিহরিত হও
এই ভেবে, কখনো কোনো
নিস্তরঙ্গ সময়ের ব্যবচ্ছেদে;
আমার হাত দুটি কেবল খুঁজে ফিরছে
তোমায়। তোমার উষ্ণতা।
খুঁজে ফিরছে নিঃসীম শরীরী বাস্তবতা।
তুমি কি নিমগ্ন হও কখনো
এই ভেবে। ও হাত দুটি আর যা-ই হোক
সাথে তো ছিল। আছে এখনো।
এবং সুদূর পরাবাস্তব আগামীতেও
সঙ্গ দিয়ে যাবে স্বপ্নের অধিবাসে।
আমার এ হাত দুটি
আঙুল মেলে, সময়ের সিঁড়ি ভেঙে,
ভেঙে সব দুর্ভেদ্য দেয়াল
পৌঁছে যাবে ঠিকই তোমাকে স্পর্শ করতে।
তুমি কাতর হয়ে প’ড়ে থাকবে
শব্দের ব্যঞ্জনা গায়ে মেখে।
হৃদয়ের খণ্ডিত অনুচ্ছেদগুলো
সব জড়ো ক’রে একসাথে
তুলে রাখবে বুকের কপাটের আড়ালে।
কখনো আমার হাত দুটি এসে
তোমার সব অনুচ্ছেদ স্পর্শ ক’রে
ব্যাপক নিঃশব্দের মাঝেও
সিম্ফনি জাগাবে তোমার ওই বুকে।
চোখে। ঠোঁটে। এবং ভাঁজে ভাঁজে
যেখানে কেবল রক্তের জমাট লোহিত কণিকা
লাল গোলাপের আদলে
হৃদয়ের কার্নিশে তার উপস্থিতি প্রকাশ করবে।
আমার এ হাত দুটি
অন্ধকারেও, আলোতেও
তোমাকে করবে অনুসরণ।
তুমি যেখানেই যাও,
টের পাবে ঠিকই
আমার হাতের অতল স্পর্শ।
কী পরশ! কী মায়া!
যা কেবল আমার হাতের
আবেশেই রয়েছে।
তা তুমি বুঝতে পারবে।
আমার হাতের সান্নিধ্যে
ব্যাকুল সময় তুমি
করবে উদযাপন।
আবার এমনও টের পাবে,
তোমার কাছে নেই ওই হাতের
উষ্ণ পরশ। কোথায় কোন সীমাহীন
দূরত্বে হাত দুটি
নিজেদের করেছে গোপন।
আর, তখন তুমি ব্যাকুল হয়েই
তন্নতন্ন ক’রে খুঁজে ফিরবে
এই আমার লোকান্তরিত
প্রাগৈতিহাসিক হাত দুটি।
-৩ মার্চ ২০২২