সুরীত বড়ুয়া
আমার সম্মুখে শুধু নিষেধের প্রাচীর,
ট্রাফিক লাইটের লাল আলোর চোখরাঙানি;
সরীসৃপের লকলকে জিহ্বা। বাতাসে ফিসফিসানি
হাজারো ‘না’ শব্দের তোড়ে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত-
এই বিধিনিষেধের লৌহকপাটে আমি যেন জেলের এক কয়েদি।
মুখে কুলুপ এঁটে দাঁড়িয়ে থাকি সারা দিন অপরাধীর দরজায়,
হাজারো নিষেধের চৌকাঠ মাড়িয়ে যদি যেতে পারি, যাব না কেন?
আমার চারিপাশে দাঁড়িয়ে থাকে পাহাড়-চাপা দিন;
রাত্রির নিকষ কালো ঘোর অন্ধকার লেপ্টে থাকে-
মৌনতার নিস্তব্ধ নির্বাক কারো কণ্ঠস্বর
দু’চোখের তারায় আঁধারে শুধু পথ হারাই,
বিবর্ণ বিশুষ্ক ধূলি-ধূসরিত পথ, গন্তব্য জানা নেই-
রাতের নক্ষত্র বিছানো আলোর অভিসারের যদি সাড়া আসে
তিমির আঁধারের অর্গল খুলে যদি যেতে পারি, কেন যাব না?
তুমি দেখে নিয়ো, যেতে যেতে পথ যেখানে শেষ
তারই প্রান্তসীমায় যে রয়েছে দাঁড়িয়ে, তাকে ঠিক চিনি না
ধূসর পৃথিবীতে নিঃসঙ্গ পথিকের শুধু পথ ভাঙার শব্দ,
সে যদি ফিরে আপন গন্তব্যের কাছাকাছি, তবে তার কাছে ফিরব না কেন?
যাওয়া বলতে কিছুই নাই, ফিরে ফিরে আসি বারে বার,
সময়ের ভেলায় আসা-যাওয়া শুধু, খুঁজতে গিয়েও দেখি না কিছুই আর।