হে নারী
বাড়িটিতে যেদিন তোমার চরণপাত ঘটলো, সেদিন থেকেই বাড়িটির অবয়ব একটু একটু করে বদলে গেলো; তোমার অদৃশ্য এক জাদুবলে। খুলে গেলো প্রতিটি ঘরের দরজা-জানালা। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িটি ছিলো অনেকটাই অচলায়তন।
তোমার চেতনায় প্রবহমান সবটুকু সৌন্দর্য তুমি ছড়িয়ে দিলে প্রতিটি ঘরে এবং প্রতিটি মনে! কী জানি কোন মন্ত্রে, অন্তঃপুরের সকলেই তোমার মুগ্ধ-বিশ্বস্ত ভক্তে পরিণত হলো! তুমিও দিবানিশি গহীনের অনুভবে স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে রইলে।
হে নারী তোমার পরিবর্তন যখন হয়!
নিভৃতে এবং অলক্ষ্যেই জীবন তার বাঁক বদলায়। তুমিও বদলে দিলে জীবনবাঁকের গতিপথ! ক্রমশ তুমি নির্জন-নিঃসঙ্গপ্রিয় হ’তে থাকলে। এবং সীমাহীন নৈঃসঙ্গবোধ জায়গা করে নিলো তোমার মানসভূমিতে।
এখন তুমি, সেই স্বপ্নজাগানিয়া তুমি নও
বহ্নিশিখার মতোন দীপ্যমান তুমি নও
উচ্ছ্বল অথচ স্থির সুন্দর তুমি আর নও
এখন তুমি যেনো সন্ধ্যাকাশের আলো-আঁধারির মতো।
তবুও বিপুল বিষ্ময়ে এই বদলে যাওয়া তুমিটাকেই তুমি অনুভব কর অনন্ত সুখে।
তোমার অন্তর্কুঞ্জে বিচ্ছুরিত যে মাধুর্য, তাকেই তুমি ভালোবাসো অন্য সব কিছুকে ছাপিয়ে।॥