ফলিক অ্যাসিড, যা ফোলেট বা ভিটামিন বি ৯ নামেও পরিচিত। এটি ডিএনএ সংশ্লেষণ, লোহিত রক্তকণিকা গঠন এবং কোষের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পানিতে দ্রবণীয় এমন এক ভিটামিন যা বিভিন্ন শারীরিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি অনাগত শিশুর মস্কিকের বিকাশ এবং স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখে। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে প্রাকৃতিকভাবে শরীরে ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন-
পালং শাক: পালং শাক পুষ্টির পাওয়ার হাউস হিসেবে খ্যাত। এতে অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজের সাথে ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। সালাদ, স্মুদি, বিভিন্ন খাবারে পালং শাক যুক্ত করলে শরীরে ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
মসুর ডাল: মসুর ডাল শুধু উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের একটি বড় উৎস নয় বরং এতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেটও রয়েছে। মাংসের বিকল্প হিসাবেও খাদ্যতালিকায় মসুর ডাল রাখতে পারেন।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো কেবল সুস্বাদু নয়, ফোলেটে ও ভরপুর। সালাদে বা স্মুদিতে মিশিয়ে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।
ব্রকলি : ব্রকলি ক্রুসিফেরাস সবজি যা ফোলেটসহ বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। ব্রকলি সিদ্ধ বা স্যুপ করে খেলে বেশি উপকারিতা মেলে।
অ্যাসপারাগাস: অ্যাসপারাগাস ফোলেট সমৃদ্ধ আরেকটি সবজি। সালাদে কিংবা বিভিন্ন খাবার তৈরিতে এটি যোগ করতে পারেন।
মটরশুঁটি শিম: বিভিন্ন ধরনের শিম ও মটরশুঁটি ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস।
সাইট্রাস ফল: কমলালেবু, জাম্বুরা এবং লেবুর মতো সাইট্রাস ফলগুলিতে মাঝারি পরিমাণে ফোলেট থাকে।
অন্যান্য : অনেক রুটি, সিরিয়াল এবং পাস্তা জাতীয় খাবারে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঠিকানা/ছালিক