রমজান দরজায় কড়া নাড়ছে। এ সময়টাতে ইফতার থেক সেহরিতে কী, খাবেন ঘরের রাঁধুনির জন্য তা একটা চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। অন্যদিকে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় তেলে ভাজা খাবার খেলে অনেকের নানান রকমের আসুস্থতায় ভুগতে হয়। কিন্তু মুখরোচক খাবার তৈরি করতে তেল তো লাগবেই। আবার বেশি তেলের খাবার বানাতে গেলে পকেটেও খালি হবে তাড়াতাড়ি। অল্প তেলে রান্না করেও পোষাচ্ছে না, তাহলে উপায়। এরও সমাধান আছে। ডিজিটালের এ যুগে রান্নার জন্য অনেক পদ্ধতি বের হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এয়ার ফ্রায়ার।
যাকে ভাজা-পোড়া রান্নার আদর্শ যন্ত্র বলা যেতে পারে। এ যন্ত্র দিয়ে ভাজা খাবারগুলো তেল ছাড়াই রান্না করা যায়। রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, কেবল ভাজা নয় চাইলে এয়ার ফ্রায়ারে আরও অনেক পদ রান্না করা যায়।
জেনে নিন এয়ার ফ্রায়ারে কী কী রান্না করা যায়-
আলু, বেগুন, মাছ তেল ছাড়াই এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা যাবে।
এছাড়াও চিকেন উইংস বা চিকেন পকোড়াও বানাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে।
চিকেন বা বিফ স্টেক বানাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে। প্রিহিট করা এয়ার ফ্রায়ারের মধ্যে রসালো চিকেন স্টেক বানিয়ে নেওয়া যায় সহজেই।
বাড়িতে তেল আর মাখন কম ব্যবহার করে কেক বানাতে চান। এয়ার ফ্রায়ারে বানাতে পারেন। কুকি, কাপ কেক হোক বা মাফিন তৈরিতে অনেক তেল মাখন লাগে। মাখনের ব্যবহার কমাতে ভরসা রাখুন এয়ার ফ্রায়ারে।
এছাড়াও চিকেন ম্যারিনেট করে রেখে কষা তরকারিও রান্না করা যাবে।
প্রিহিটেড এয়ার ফ্রায়ারে চাইলে রসালো চিকেন স্টেকও বানানো যায়।
মুখরোচক চিকেন উইংগস তৈরি করতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারের সাহায্যে।
কিশমিশ, কাজু বা আখরোট এয়ার ফ্রায়ারে দিয়ে একবার শুকিয়ে স্টোর করে রাখতে পারেন। এয়ার ফ্রায়ারে রোস্ট বানিয়ে নেওয়া যাবে। স্বাদে বদল আসবে।
যেসব খাবার এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না-
চিজ দেওয়া কোনো খাবার এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না। চিজ উচ্চ তাপমাত্রায় গলে গিয়ে এয়ার ফ্রায়ারের সঙ্গে লেগে যাবে। যা পরিষ্কার করা কষ্টকর হবে।
বার্গার, পাস্তা, পিৎজা এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না। এয়ার ফ্রায়ারের তাপমাত্রা অনেকটা বেশি থাকায় এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ঠিকানা/ছালিক