Thikana News
১০ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

প্লে-অফের রেস থেকে ছিটকে গেল ঢাকা

প্লে-অফের রেস থেকে ছিটকে গেল ঢাকা ছবি সংগৃহীত


এবারের বিপিএলে বড় এক হতাশার নাম দুর্দান্ত ঢাকা। অথচ প্রথম ম্যাচেই আগের আসরের শিরোপাজয়ী দল কুমিল্লাকে হারিয়ে শুরু করে তারা। কিন্তু তার পরের গল্প শুধুই হতাশা আর আক্ষেপের। বিপিএল যখন শেষের দিকে, তখনো তাদের নামের পাশে এক জয়। এই জয় নিয়েও বিপিএলের প্লে-অফের ক্ষীণ আশা ছিল তাদের। তবে আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলে নিজেদের নবম ম্যাচে হার তা পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে। ফরচুন বরিশালের কাছে বড় পরাজয়ে সবার আগে প্লে-অফ দৌড় থেকে ছিটকে গেল ঢাকার ফ্রাঞ্চাইজিটি।

ফরচুন বরিশাল প্রথম ৩ উইকেট হারিয়েছিল ১৯ রানে। তাদের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকা তিন টপ অর্ডারকে হারায় ৪১ রানে। শুরুটা বরিশালের চেয়ে ভালো হলেও জয় পায়নি ঢাকা। হেরেছে ৪০ রানে। এক ম্যাচ পর জয়ে ফেরা বরিশাল ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এল তালিকার চারে।

বরিশালকে খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেছিলেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। তবে ঢাকার মিডল অর্ডাররা সেটি পারেননি। এক অ্যালেক্স রোজের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসটি উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকল। ৩০ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার করেন ৫২ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস বলতে এসএম মেহরবের ২৯ বলে ২৮ রান। চতুর্থ উইকেটে এ দুজনের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের জুটিটিই যা একটু দাঁড়াতে পেরেছে।

ওবেদ ম্যাককয় ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের তোপের সামনে বাকিদের অবস্থা ছিল তথৈবচ। বরিশালের দুই পেসার নিয়েছেন মোট ৫ উইকেট। যার মধ্যে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি ঢাকা। সাইফউদ্দিন শেষ উইকেট হিসেবে রোজকে ফেরালে ২ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। এ নিয়ে টানা ৮ ম্যাচে হারল ঢাকা। ৯ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার তলানিতে তারা।

শনিবার মিরপুরে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। দলীয় ১৬ রানে ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবালকে (৪) ফেরান পেসার শরীফুল ইসলাম। এর পরপরই ঢাকার আরেক পেসার তাসকিন আহমেদের জোড়া আঘাত। ইনিংসের তৃতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলেই ফেরান পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে (১০)। আর চার বল পর বোল্ড করেন মুশফিকুর রহিমকে (১)।

তবে এরপর ঢাকার বোলারদের আর সুবিধা করতে দেননি সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৮৫ বলে ১৩৯ রানের জুটি। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে বরিশালও পায় ৪ উইকেটে ১৮৯ রানের সংগ্রহ। তাদের জুটিটিই এবারের বিপিএলে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৩২ বলে ফিফটি উদ্‌যাপন করেন সৌম্য। এবারের বিপিএলে সিলেট পর্বে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। সৌম্যর সর্বোচ্চ ৪২ রানের আগের যে ইনিংস সেটি ঢাকা পর্বে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে।

৪৮ রানে দাঁড়িয়ে ইনিংসের ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিনকে চার মেরে ৩৭ বলে এবারের বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পান মাহমদুউল্লাহ। শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ফেরার আগে ৪৭ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭৩ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সৌম্য মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। ৪৮ বলে ৪ চার ও ৬ ছয়ে ৭৫ রান করেন তিনি। শেষ তিন ওভারের আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৯ রানের ক্যামিও উপহার দেন শোয়েব মালিক।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স