দীর্ঘ ২৯ বছর পর আইসিসির কোনো ইভেন্টের আয়োজন করল পাকিস্তান। তবে আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও ভারতের দাদাগিরিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
রোববার (৯ মার্চ) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ভারত। রোহিত শর্মা খেলেন ৮৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে তার প্রাপ্য সম্মানও পেয়েছেন এই ওপেনার, জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
শিরোপা জয় ও ম্যাচসেরা হওয়ার পর রোহিত বলেন, ‘এটি আমার স্বাভাবিক খেলা নয়, তবে আমি এটি করতে চেয়েছিলাম। যখন ভিন্ন কিছু করতে চান, তখন দলের ও ম্যানেজমেন্টের সমর্থন প্রয়োজন হয়। আমি আগেই রাহুল দ্রাবিড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, এখন গৌতি (হেড কোচ গৌতম গম্ভীর) ভাইয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। এটি আমার সত্যিই চাওয়ার একটি বিষয় ছিল। এত বছর ধরে আমি ভিন্ন স্টাইলে খেলেছি, আর এখন এই নতুন কৌশল থেকে আমরা ফলাফল পাচ্ছি।’
অন্যদিকে টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র। ৪ ইনিংসে ব্যাট করে তিনি করেছেন ২৬৩ রান। গড় ৬৫.৭৫ ও স্ট্রাইক রেট ১০৬.৪৭।
টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার গ্রহণের সময় রাচিন বলেন, ‘এটি অম্ল-মধুর অনুভূতি। একটি দুর্দান্ত ফাইনাল ছিল। ব্যক্তিগত স্বীকৃতি দারুণ, আর দলের হয়ে খেলা সব সময়ই আনন্দের।’
রাচিন রবীন্দ্র যে কটি সেঞ্চুরি করেছেন, তার সবগুলোই (৫টি) আইসিসি ইভেন্টে। এ কারণে তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি আইসিসি টুর্নামেন্টে এত ভালো খেলোয়াড় কেন?
জবাবে তিনি বলেন, ‘হয়তো আমরা ভালো উইকেটে খেলতে পারি। আমি টুর্নামেন্ট ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি। কারণ এখানে নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য থাকে। আমার অতীত নিয়ে আমি গর্বিত। অনেক মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। ট্রফি জয় করলে আরও ভালো লাগত। কিন্তু ক্রিকেট খুবই নির্মম খেলা। স্কোয়াডের প্রতিটি সদস্যেরই ভূমিকা রয়েছে। এখানে অভিজ্ঞ বা নতুন কেউ আলাদা নয়। আমরা সবাই একসাথে দল হিসেবে খেলি।’
ঠিকানা/এনআই