আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।
মাঝারী লক্ষ্যতে শুরুটাই দারুণ করে ভারত। শুবমান গিলের সঙ্গে অধিনায়ক রোহিত শর্মার কল্যাণে ওপেনিং জুটিতেই আসে ১০৫ রান। এরপর রোহিত ফিরে গেলে ইনিংস টান্তে থাকেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাকে দারুণ সাহায্য করেন আকসার প্যাটেল। এরপর এ দুই ব্যাটার ফিরলে এক প্রান্ত আগলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন লোকেশ রাহুল। ভারত পায় ৪ উইকেটের জয়।
তবে ম্যাচের মূল পার্থক্যই গড়ে দিয়েছেন স্পিনাররাই। দুবাইয়ের কিছুটা মন্থর গতির উইকেটে ভারতের স্পিনেই দারুণ শুরুর পড়ে ভেঙে যায় কিউইদের ইনিংস। মিলে মাঝারী পুঁজি। তাই নিয়ে একজন বাড়তি স্পিনারের অভাব ভালোভাবেই টের পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। দারুণ বোলিং করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। দুইজনই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৫১/৭ (ইয়াং ১৫, রাচিন ৩৭, উইলিয়ামসন ১১, মিচেল ৬৩, ল্যাথাম ১৪, ফিলিপ্স ৩৪, ব্রেসওয়েল ৫৩*, স্যান্টনার ৮, স্মিথ ০*; শামি ১/৭৪, পান্ডিয়া ০/৩০, বরুন ২/১০, কুলদিপ ২/৪০, আকসার ০/২৯, জাদেজা ১/৩০)।
ভারত: ৪৯ ওভারে ২৫৪/৬ (রোহিত ৭৬, গুবমান ৩১, কোহলি ১, শ্রেয়াস ৪৮, আকসার ২৯, রাহুল ৩৪*, পান্ডিয়া ১৮, জাদেজা ৯*; জেমিসন ১/২৪, ও'রোর্ক ০/৫৬, স্মিথ ০/২২, স্যান্টনার ২/৪৬, রাচিন ১/৪৭, ব্রেসওয়েল ২/২৮, ফিলিপ্স ০/৩১)।
ফলাফল: ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।
হার্দিককে ফেরালেন জেমিসন
দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি ক্যাচ মিস করেছিলেন কাইল জেমিসন। তবে বল হাতে তার কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। কিছুটা বাড়তি পেসের বাউন্সারে হার্দিক পান্ডিয়াকে চমকে দিয়ে তার উইকেট আদায় করে নিয়েছেন। হুক করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন এই ব্যাটার। বোলার জেমিসন সেই ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি এবার। ১৮ বলে ১৮ করেছেন হার্দিক। ৪৮ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৪৫ রান। লোকেশ রাহুল ৩০ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৪ রানে ব্যাট করছেন।
শ্রেয়াসের পর ফিরলেন আকসারও
শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে ভারতকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আকসার প্যাটেল। শ্রেয়াসকে স্যান্টনার ফেরালেও আকসার খেলছিলেন সাবলীলভাবেই। তবে তাকে ফিরিয়েছেন ব্রেসওয়েল। তার বল বড় শট খেলতে গিয়ে লংঅফে উইলিয়াম ওরোর্কের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৪০ বলে ২৯ রান করে এই অলরাউন্ডার।
৪২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৩ রান। লোকেশ রাহুল ১৩ ও নতুন ব্যাটার হার্দিক পান্ডিয়া ০ রানে ব্যাট করছেন।
শ্রেয়াসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন স্যান্টনার
এক ওভার আগেই শ্রেয়াস আইয়ারকে সহজ একটি জীবন দিয়েছিলেন কাইল জেমিসন। তবে মিচেল স্যান্টনারের করা ৩৯তম ওভারে শ্রেয়াসের তোলা ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি রাচিন রবীন্দ্র। স্যান্টনারের কিছুটা খাট লেন্থের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন শ্রেয়াস। ব্যাকওয়ার্ড স্ক্যয়ার লেগে নিচু হওয়া ক্যাচ ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করেন রাচিন। ৬২ বলে ৪৮ রান করেছেন শ্রেয়াস।
৩৯ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯০ রান। আকসার প্যাটেল ২৮ ও নতুন ব্যাটার লোকেশ রাহুল ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
শ্রেয়াসকে জীবন দিলেন জেমিসন
লংঅনে ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাইল জেমিসন, শ্রেয়াস আইয়ার ক্যাচটা উঠালেন ঠিক সেখানেই। কিন্তু জায়গায় দাঁড়িয়ে একেবারের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিলেন জেমিসন। এ সময় ৪৪ রানে ব্যাট করছিলেন শ্রেয়াস। এরমধ্যেই আকসার প্যাটেলের সঙ্গে জুটি পার করেছে ফিফটি।
৩৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৭ রান। শ্রেয়াস ৪৬ ও আকসার ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
রোহিতের বিদায়, ম্যাচে ফিরল নিউজিল্যান্ড
দুর্দান্ত এক বলে সেট ব্যাটার রোহিত শর্মাকে ফেরালেন রাচিন রবিন্দ্র। শুরুতে চড়াও হলেও মাঝে কিছুটা দেখে খেলছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। তবে রাচিনকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লাইন মিস করলে বল ধরে স্টাম্প ভাঙেন টম ল্যাথাম। ৮৩ বলে ৭৬ রান করেন রোহিত।
২৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২২ রান। শ্রেয়াস আইয়ার ৯ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে নেমেছেন আকসার প্যাটেল।
শুবমানের পর কোহলির বিদায়
লিপ্সের উড়ন্ত ক্যাচে শুবমানের গিলের উইকেট পেয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। তাতে উজ্জীবিত হয়ে ব্রেসওয়েল পেলেন ইন ফর্ম ব্যাটার বিরাট কোহলির উইকেট। তাকে ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। রিভিউ নিয়েছিলেন কোহলি। তবে লাভ হয়নি। বল ব্যাট প্রায় ছুঁইছুঁই করে গেলেও স্পর্শ করেনি। তিনটি লাল লাইনের কারণে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই টিকে থাকে। খালি হাতে বিদায় নেন কোহলি। ২০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। রোহিত ৭০ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন শ্রেয়াস আইয়ার।
ফিলিপ্সের দুর্দান্ত ক্যাচে শুবমানের বিদায়
অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভারতের দুই ওপেনারের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলারই যখন পাত্তা পাচ্ছিলেন না তখন ত্রাতা হয়ে এলেন গেলন ফিলিপ্স। মিচেল স্যান্টনারের বলে পাখির মতো উড়ে এক হাতে ধরলেন শুবমানের ক্যাচ। ভাঙে ১০৫ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৩১ রান করেছেন এই ওপেনার।
১৭ ওভারেই একশ ভারতের
শুরু থেকেই এক প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করে যাচ্ছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অপর প্রান্তে শুবমান গিল কিছুটা দেখে খেলছেন। মাঝে দুরূহ একটি ক্যাচ তুলে জীবনও পেয়েছেন। তবে রোহিতকে দিচ্ছেন দারুণ সঙ্গ। তাতে ১৭ ওভারেই আসে দলীয় শতক। যা চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি তাদের।
১৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলেছে ভারত। রোহিত ৬৮ ও শুবমান ২৭ রানে ব্যাটিং করছেন।
রোহিতের ঝড়ো ফিফটি, উড়ন্ত সূচনা ভারতের
লক্ষ্যটা বড় নয়। কিন্তু তারপরও ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের স্বভাবসুলভ ঢঙ্গেই ব্যাটিং করবেন তিনি। মাঝে কিছুটা দেখে খেললেও পরে আবার হয়েছে চড়াও। তাতে রান বাড়ছে হুহু করে। নাথান স্মিথের করা অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় ফিফটি পূরণ করেন রোহিত। ৩৮ বলে আসা এই দলীয় ফিফটি চলতি আসরে তাদের দ্রুততম। একই ওভারে আরও একটি করে চার ও ছক্কা মেরে সে ওভারে নেন ১৪ রান।
একাদশ ওভার মিচেল স্যান্টনারের করা প্রথম বলে সিনেল নিয়ে নিজের ফিফটি পূরণ করেন রোহিত। চলতি আসরে তার প্রথম অর্ধশত রান। দলীয় ফিফটির মতো রোহিতের করা ৪১ বলের পঞ্চাশ রান সবচেয়ে দ্রুততম। এ রান করতে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। ১১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৫ রান। রোহিত ৫০ ও শুবমান গিল ১০ রানে ব্যাটিং করছেন।
লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু ভারতের
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা, দুই ওভারেই আসে ২২ রান। এরপর কিছুটা সাবধানী ব্যাটিং। সবমিলিয়ে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো করেছে ভারত। পাঁচ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩১ রান। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২১ ও শুবমান গিল ৫ রানে ব্যাটিং করছেন।
ফাইনালে ভারতকে ২৫২ রানের লক্ষ্য দিল নিউজিল্যান্ড
রাচিন রবীন্দ্রর উড়ন্ত শুরুর পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারতের স্পিনাররা দেখালেন ভেল্কি। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ হলো না বড়। দলটি পুরো ওভার খেলে করতে পারল ৭ উইকেটে ২৫১ রান। শেষ পাঁচ ওভারে ৫০ রান ওঠাতেই মূলত লড়াইয়ের জন্য পুঁজি মিলল তাদের। ওপেনার রাচিন ২৯ বলে ৩৭ রান করেন চারটি চার ও একটি ছক্কায়। এরপর অনেকক্ষণ একপ্রান্ত আগলে রাখা ড্যারিল মিচেল ফিফটি তুলে খেলেন সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস। তার ১০১ বলের ধীরগতির ইনিংসে চার তিনটি। শেষদিকে মাইকেল ব্রেসওয়েলের আক্রমণাত্মক হাফসেঞ্চুরিতে কিউইরা আড়াইশ পার করে। তিনি ৪০ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই আক্রমণে স্পিনার আনেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর একাদশ থেকে ৪৩তম ওভার পর্যন্ত স্পিনাররাই একটানা হাত ঘোরান। কুলদীপ যাদব ২ উইকেট নেন ৪০ রানে। সমান উইকেট পেতে বরুণ চক্রবর্তীর খরচা ৪৫ রান। ১ উইকেট পেতে রবীন্দ্র জাদেজা দেন ৩০ রান। উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে ২৯ রানের বেশি দেননি অক্ষর প্যাটেল।
৩৯ বলে ব্রেসওয়েলের ফিফটি
সাতে নেমে দারুণ একটি ইনিংস খেলছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। দ্রুত রান আনছেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি তিনি পূর্ণ করলেন ৩৯ বলে। মোহাম্মদ শামির করা ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ডাবল নিয়ে পৌঁছালেন ব্যক্তিগত মাইলফলকে।
ব্রেসওয়েলের কল্যাণে আড়াইশ ছাড়াল নিউজিল্যান্ড। ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৪৭ বলে ৪৬, মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে ২০ বলে ২৮ ও ন্যাথান স্মিথের সঙ্গে ৬ বলে ১২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লেন তিনি। ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস।
স্যান্টনার রানআউট
অসম্ভব একটি ডাবল নেওয়ার চেষ্টায় বিদায় নিলেন মিচেল স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক হলেন রানআউট। বিরাট কোহলির থ্রো ধরে স্টাম্প ভেঙে দিলেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ১০ বলে স্যান্টনারের রান ৮। ভাঙল ২০ বলে ২৮ রানের কার্যকর জুটি। ৪৯ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৯ রান। মাইকেল ব্রেসওয়েল খেলছেন ৩৫ বলে ৪২ রানে। তার সঙ্গী মাত্রই নামা ন্যাথাম স্মিথ।
মিচেলকে ফেরালেন শামি
অনেকটা ধীর গতিতে ব্যাট চালিয়ে ৯১ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন ড্যারিল মিচেল। তবে স্লগ ওভারে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়ানোর দিকে নজর ছিল তার।
মোহাম্মদ শামির ওভারে দুটি বাউন্ডারিও মারলেন ডানহাতি ব্যাটার। তবে ভারতের পেসারের স্লোয়ারে আরও একবার মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে হেরফের করে ধরা পড়লেন এক্সট্রা কভারে। শেষ হলো তার ১০১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। ভাঙল ৪৭ বলে ৪৬ রানের জুটি। ৪৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১২ রান। মাইকেল ব্রেসওয়েল ২৫ বলে ২৪ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
মিচেলের ফিফটি, তবে ধীরগতির
বরুণ চক্রবর্তীর বলে সিঙ্গেল নিলেন ড্যারিল মিচেল। তিনি পৌঁছে গেলেন ব্যক্তিগত মাইলফলকে। তার ধীরগতির ইনিংসের ফিফটি পূর্ণ হলো ৯১ বলে। সেখানে চার মাত্র একটি।
মূলত ভারতের চার স্পিনার বরুণ, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা খুব ভোগাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের। তাদের বিপরীতে মিচেলসহ কেউই সুবিধা করতে পারছেন না। তবে মিচেল একপ্রান্ত আগলে দলকে যতটা সম্ভব এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ৪২ ওভারে কিউইদের রান ৫ উইকেটে ১৭৮। ক্রিজে মিচেল আছেন ৯১ বলে ৫০ রানে। তার সঙ্গে ১৩ বলে ৬ রানে খেলছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।
ফিলিপসকে বোল্ড করে জুটি ভাঙলেন বরুণ
বরুণ চক্রবর্তীর গুগলি পড়তে পারলেন না গ্লেন ফিলিপস। বলের লাইন মিস করে তিনি হলেন বোল্ড। দলীয় ১৬৫ রানে পঞ্চম উইকেট খোয়াল নিউজিল্যান্ড। ভাঙল ৮৭ বলে ৫৭ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
এক ওভার আগেই জীবন পাওয়া ফিলিপস থামলেন ৩৪ রানে। তার ৫২ বলের ইনিংসে চার দুটি ও ছক্কা একটি। তিনি হলেন ভারতের রহস্য স্পিনার বরুণের দ্বিতীয় শিকার।
৩৮ ওভার শেষে চাপে থাকা কিউইদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬৫ রান। ক্রিজে একপ্রান্ত আগলে আছেন ড্যারিল মিচেল। তার রান ৭৯ বলে ৪৪। নতুন ব্যাটার মাইকেল ব্রেসওয়েল ১ বল খেলে এখনও রানের খাতা খোলেননি।
পরপর দুই ওভারে জীবন পেলেন মিচেল-ফিলিপস
জুটি গড়ে প্রতিরোধ লড়াইয়ে আছেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। মিচেলকে থামানোর সুযোগ এলো ভারতের সামনে। সেটা অবশ্য লুফে নিতে ব্যর্থ হলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদিও অক্ষর প্যাটেলের বলে মিডউইকেটে ওঠা ক্যাচটি সহজ ছিল না। ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে লাফ দিয়েও বল হাতে জমাতে পারলেন না রোহিত।
রবীন্দ্র জাদেজার করা পরের ওভারের শেষ বলে বেঁচে গেলেন ফিলিপস। বড় শট খেলে বাউন্ডারি আনতে চাইলেন তিনি। ডিপ মিডউইকেটে ডাইভ দিয়েও ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারলেন না শুবমান গিল। এবারের সুযোগটিও ছিল বেশ কঠিন। ফিলিপস জীবন পেলেন ব্যক্তিগত ২৭ রানে। এর আগে মিচেল আউট হওয়া থেকে বাঁচলেন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে। ৩৬ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান ৪ উইকেটে ১৫৬। মিচেল ৭৬ বলে ৪১ ও ফিলিপস ৪৪ বলে ২৮ রানে খেলছেন।
ল্যাথামকে ফেরালেন জাদেজা, রিভিউ নিয়েও কাজ হলো না
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথাম। তাদেরকে সফল হতে দিলেন না রবীন্দ্র জাদেজা। সুইপ করার চেষ্টায় ল্যাথাম হলেন এলবিডব্লিউ। এরপর বাঁচার চেষ্টায় রিভিউ নিয়ে সেটা নষ্ট করলেন তিনি।
জাদেজার আগের ওভারে রিভার্স সুইপের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন ল্যাথাম। তার বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের রিভিউ নিয়ে তা নষ্ট করেছিল ভারত। এবার তাদের মিলল স্বস্তি। কিউই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার থামলেন ৩০ বলে ১৪ রানে। ভাঙল ৬৬ বলে ৩৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
২৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ৪ উইকেটে ১১০। ক্রিজে আছেন মিচেল ৪৫ বলে ২৩ রানে। তার নতুন সঙ্গী গ্লেন ফিলিপস।
২০তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের একশ
ভালো শুরুর পর দ্রুত উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি কমে গেছে নিউজিল্যান্ডের। তাদের দলীয় শতরান পূর্ণ হলো ২০তম ওভারে। লাগল ১১৬ বল। অথচ কিউইদের দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছিল ৪২ রানে। মূলত ভারতের চার স্পিনারকে সামলাতে ভুগছে তারা। ২০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ১০১। ক্রিজে আছেন ড্যারিল মিচেল ২০ বলে ১২ রানে। টম ল্যাথাম খেলছেন ৩৪ বলে ১৭ রানে।
কুলদীপের দ্বিতীয় শিকার উইলিয়ামসন, চাপে নিউজিল্যান্ড
আক্রমণে এসে উইকেট শিকারের নেশায় আছেন কুলদীপ যাদব। নিজের পরপর দুই ওভারে সাফল্য পেলেন তিনি। তার ফাঁদে এবার পড়লেন কেইন উইলিয়ামসন। সহজ ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন তিনি। মূলত বলের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে ধোঁকা খেলেন নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটার।
৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটির পর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ১৮ রান যোগ করতে কিউইরা হারাল ৩ উইকেট। এতে উড়ন্ত শুরুর পর চাপে পড়েছে তারা। ঘুরে দাঁড়িয়ে উজ্জীবিত অবস্থায় রয়েছে ভারত।
১৩ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৭ রান। ড্যারিল মিচেল ১১ বলে ৪ রানে ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গী মাত্রই নামা টম ল্যাথাম অপরাজিত আছেন ১ বলে ১ রানে।
আক্রমণে এসে প্রথম বলেই রাচিনকে বিদায় করলেন কুলদীপ
একাদশ ওভারে আক্রমণে এলেন কুলদীপ যাদব। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার প্রথম ডেলিভারিটি করলেন গুগলি। তা বুঝতে পারলেন না রাচিন রবীন্দ্র। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করল স্টাম্পে। উল্লাসে মাতল ভারত। দুবার ক্যাচ তুলে জীবন পাওয়া ও একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া রাচিন থামলেন ৩৭ রানে। ২৯ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি মারলেন চারটি চার ও একটি ছক্কা। দলীয় ৬৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। ১১ ওভার শেষে কিউইদের রান ২ উইকেটে ৭৩। ক্রিজে কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গী হলেন ড্যারিল মিচেল।
ঘটনাবহুল অষ্টম ওভারে বরুণ ভাঙলেন নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি
বরুণ চক্রবর্তীর করা অষ্টম ওভারের প্রথম বলেই রাচিন রবীন্দ্রর বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন উঠল। তাতে আম্পায়ার সাড়াও দিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন রাচিন। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটে-বলে কোনো সংযোগ ছিল না। উল্টো মিলল ওয়াইড।
পরের বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুললেন রাচিন। শ্রেয়াস আইয়ার অনেকটা দৌড়ে গিয়েও বল মুঠোয় জমাতে পারলেন না। মোহাম্মদ শামির করা আগের ওভারে ব্যক্তিগত ২৮ রানে জীবন পাওয়া রাচিন ফের বাঁচলেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে।
পঞ্চম বলে সাফল্য পেলেন রহস্য স্পিনার বরুণ। তিনি এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন উইল ইয়াংকে। ২৩ বলে ১৫ রানে আউট হলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার। দলটির উদ্বোধনী জুটি ভাঙল ৬৪ রানে। ক্রিজে রাচিনের সঙ্গী অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন।
রাচিনের ক্যাচ ফেললেন শামি
আগ্রাসী মেজাজে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করল ভারত। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরতি ক্যাচ লুফে নিতে পারলেন না বোলার মোহাম্মদ শামি। বল যদিও খুব জোরে আসেনি। বাঁহাত বাড়ালেও ক্যাচ ধরতে সফল হলেন না তিনি।
ব্যক্তিগত ২৮ রানে বেঁচে গেলেন ছন্দে থাকা রাচিন। তার ক্যাচ ফেলার বড় মাশুল দিতে হতে পারে ভারতকে। নিউজিল্যান্ডের ওপেনার এবারের আসরে আগের তিন ম্যাচ খেলে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন।
ওই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকালেন আরেক ওপেনার উইল ইয়াং। এতে পূর্ণ হয়ে গেল কিউইদের দলীয় পঞ্চাশ। লাগল মাত্র ৪২ বল। সাত ওভার শেষে তাদের রান বিনা উইকেটে ৫১ রান। রাচিন ২১ বলে ২৯ ও ইয়াং ২১ বলে ১৫ রানে খেলছেন।
রাচিনের ব্যাটে নিউজিল্যান্ডের উড়ন্ত শুরু
ইনিংসের প্রথম তিনটি ওভার দেখেশুনে খেললেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার। স্কোরবোর্ডে জমা হলো ১০ রান। এরপর চতুর্থ ওভারে ভারতের পেসার হার্দিক পান্ডিয়ার ওপর চড়াও হলেন রাচিন রবীন্দ্র। এক ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে আনলেন মোট ১৬ রান।
মোহাম্মদ শামির ওভারেও দুটি চার এলো বাঁহাতি রাচিনের ব্যাট থেকে। প্রথমটি হলো কবজির মোচড়ে মিডউইকেট দিয়ে তার হাঁকানো অসাধারণ শটে। পরেরটিতে অবশ্য ভাগ্যকে পাশে পেলেন তিনি। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল থার্ড ম্যান দিয়ে চলে গেল সীমানার বাইরে। স্লিপে কেউ থাকলে বিপদ ঘটতে পারত।
পাঁচ ওভার শেষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৬ রান। ছন্দে থাকা রাচিন বিস্ফোরক ঢঙে ১৪ বলে ২৫ রানে খেলছেন। তার সঙ্গী আরেক ওপেনার উইল ইয়াং ক্রিজে আছেন ১৬ বলে ১০ রানে।
গ্রুপ পর্ব থেকে কোনো ম্যাচেই টস ভাগ্য পক্ষে আসেনি রোহিত শর্মার। ফাইনালের মঞ্চেও বদলাল না তার ভাগ্য। আরও একবার টস হারলেন ভারত অধিনায়ক। টস জিতে শিরোপার লড়াইয়ে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
ররিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রান তাড়া করতে হলেও খুব সমস্যার কিছু দেখছেন না রোহিত। উইকেট খুব ভালো হওয়ায় পরে ব্যাট করা বা আগে ব্যাট করার মাঝে ফারাক কিছু দেখছেন না তিনি। টস হারাকে অবশ্য অভ্যাসে পরিণত করেছেন রোহিত। এই নিয়ে টানা ১২টি ওয়ানডেতে টস হারলেন, যা ব্রায়ান লারার সঙ্গে এই সংস্করণে যৌথভাবে কোনো অধিনায়কের টস হারের রেকর্ড।
এই ম্যাচে ছন্দে থাকা পেসার ম্যাট হেনরিকে চোটের কারণে পায়নি নিউজিল্যান্ড। তার বদলে ন্যাথান স্মিথকে খেলাচ্ছে তারা। ভারত একাদশে নেই কোনো বদল। ফাইনালেও চারজন স্পিনার খেলাচ্ছে তারা।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, কেইন উইলিয়ামসন, টম ল্যাথাম, ড্যারেল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), কাইল জেমিসন, ম্যাট হেনরি, উইল ও'রোর্ক।
ঠিকানা/এসআর