নন্দিনী মুস্তাফী
যাচ্ছে সময় একেক মুহূর্ত করে,
বিস্ময়কর অনুভূতির সিঞ্চিত
বিন্দু বিন্দু কণার হাতছানি!
বুঝিয়ে যায় পলপল করে,
সেই আমি! আর আমার ব্যাকুল সময়,
অথবা অরাজকতার রাজসাক্ষী
আমার দিনমান ডুবে যাওয়া
এলোমেলো বেভুল ভাবনা!
দখিন হাওয়ায় কেঁপে ওঠে দীর্ঘশ্বাস
প্রলম্বিত অতৃপ্ত কান্নার সুর
ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
কী-বা শীত কী-বা আগুন, চৈত,
তোলপাড় করা নিশুতি বিলাপ
আমার কষ্টের দিনপঞ্জির গোটা অক্ষর,
সাজাই এক এক করে কতটা মমতায়।
এক লহমায় হারিয়ে গেছে বুকের ভেতরের
পাথর দেয়াল, তৈজস কড়িকাঠ!
নিস্তব্ধ তমসালোকে জোনাকির
নিমগ্ন বিষণ্ন নাচন!
কী যে এক বেদনা বিলাপ;
আমার সবটুকু উড়িয়ে নিয়ে যায়
আপন মনে সংগোপনে,
দৃষ্টিতে বেদনার নীল সরোবর,
ডুবিয়ে দিয়েছিল আকণ্ঠ নীলকণ্ঠে।