উল্লাপাড়া সোসাইটি অব ইউএসএ ইন্কের উদ্যোগে এক বারবিকিউ পার্টি ও মিলন মেলা নিউইয়র্কের কানিংহাম পার্কে আয়োজন করা হয়। গত ২৯ মে মেমোরিয়াল ডে-তে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমেরিকায় যেসব সৈনিক মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সফিউল আলমের নেতৃত্বে বারবিকিউ শুরু হয় সকাল ১০টায়। তরুণ উদীয়মান সংগঠক জহুরুল ইসলাম, এলাহী তালুকদার, আব্দুর রউফ, সহদেব দাস, আবু তাহেরসহ দক্ষ কারিগরদের চিকেন ফ্রাইয়ের ঘ্রাণে অন্য পার্ক থেকে কিছু আমেরিকান পরিবারও অংশগ্রহণ করেন। তাদেরকে সহযোগিতা করেন আব্দুল হালিম, মো. আমির, শাহাদত হোসেন।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রয়াত কামাল লোহানীর সন্তান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাগর লোহানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ ড. আবু সুফিয়ান, একুশে পদকপ্রাপ্ত ও মুক্তিযোদ্ধা, কণ্ঠশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. সারোয়ারুল হাসান ও সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, নটরডেম কলেজ ঢাকার অধ্যাপিকা হুসনে আরা, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাসুদুল হাসান, ডা. আব্দুল বাতেন ও সরাফ সরকার, প্রখ্যাত আবৃত্তি শিল্পী ক্লারা রোজারিও, টেলেন টেক’র সিইও মাহবুব সিদ্দিকী, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি মাসুম মিয়াজী, ডা. সায়ইদুল হাসান, উল্লাপাড়া সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা মো. রাকিবুজ্জামান খান (তনু)-সহ কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
মূল আলোচনা পর্ব পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন মহিলা সম্পাদিকা তানজিয়া প্রমিতি, সুলতানা রাজিয়া লাবনী ও রীনাত তৌজিয়া ইতি।
বক্তারা সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা তনু খানের ভূঁয়াসী প্রশংসা করে বলেন, তিনি প্যান্ডামিকের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা রাকিবুজ্জামান খান বারবিকিউ এবং মিলন মেলার আয়োজকদের সুন্দর, সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সাধুবাদ জানান। ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং আগামীতে ‘উল্লাপাড়া ডে’ পালনের প্রস্তাব রাখেন।
রাঁধুনী রেস্টুরেন্টের মধ্যাহ্ন ভোজ পরিবেশন করেন জহিরুল ইসলাম, জাকির হাসান রেজা, নোমান খান, জিল্লির রহমান ও অনেকে। বিকালে চা নিজ দায়িত্বে পরিবেশন করেন সভাপতি সামসুল ইসলাম। বিকাল ৬টায় সুস্বাদু তরমুজ ও পায়েস পরিবেশন করেন আবু নাসের, আজিমা হোসাইন ও শরিফুল ইসলাম।
দামাল-সামাল ছেলেমেয়েদের সহযোগিতায় পুরো দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি ছিলো অনন্য মমতাময় ভালোবাসায় প্রবাহিত নিটোল স্রোতধারা। সারাদিনটা ছিলো বন্ধুদের উচ্ছ্বাস-উল্লাস। সভাপতি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।