বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পর্দা উঠেছে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলার। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাঙালির প্রাণের এ মেলার ৪০তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ছুটির দিনেই পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়ে লোকারণ্য মেলা প্রাঙ্গণ।
মেলার স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে প্রথম দিনের তুলনায় বাড়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশুদের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে অনেকেই উপস্থিত হন মেলায়। এ বছরের বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশের মোট ৮টি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ দিয়ে পাঠক-দর্শনার্থীরা আসা-যাওয়া করতে পারছেন। তবে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে একটি বের হওয়ার পথে। বাংলা একাডেমির দিকে বের হওয়ার পথটিকে এবার একটু সরিয়ে রমনা মন্দির গেটের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে।
একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকালটা ছিল শিশুদের। ১১টা থেকে ১টা শিশুপ্রহরে প্রাণখুলে ছুটে বেড়িয়েছে শিশুরা। আর প্রতিবারের মতো এবারও বইমেলার শিশুপ্রহরের মূল আকর্ষণ ছিল সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকু।
সকাল সোয়া ১১টায় মেলার শিশুচত্বরে সিসিমপুর মঞ্চ উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সিসেমি ওয়ার্কশপের বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মোজাহিদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
ঠিকানা/এনআই