প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতিতে দুই পক্ষের ‘যুদ্ধ-যুদ্ধ’ খেলা চলছে। নেতৃত্বের কোন্দলে বিভক্ত দুই গ্রুপ যে যার মত সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করছে। আর এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী।
জানা গেছে, মাকসুদ এইচ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি গত ৮ মার্চ শনিবার ইফতার পার্টির আয়োজন করে। কিন্তু এই আয়োজন নিয়ে ৭ ও ৮ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই গ্রুপের তুমুল বাগযুদ্ধ শুরু হয়। মাকসুদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি ইফতারে অংশ নিতে চট্টগ্রামবাসীকে আমন্ত্রণ জানান। পরে তাহের-আরিফের নেতৃত্বাধীন কমিটি ওই ইফতার আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তারাও ফেসবুকের মাধ্যমে জানাতে থাকে, চট্টগ্রাম সমিতি কোনো ইফতারের আয়োজন করেনি। ফলে সাধারণ সদস্যরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন। অনেকে ৮ মার্চ চট্টগ্রাম সমিতির অফিসে ইফতারি করতে গেলে তারা দেখতে পান সেখানে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা। ভেতরে ইফতারের কোনো আয়োজন নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাকসুদ এইচ. চৌধুরী ঠিকানাকে জানান, কার্যকরী কমিটির ১৯ জনের মধ্যে আমরা ১০ জন সংখ্যাগরিষ্ঠ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব সেটা সবাই মেনে নেবেন। কিন্তু তাহের-আরিফ ৯ জনকে নিয়ে গায়ের জোরে সমিতির ভবন দখল করে রেখেছেন। তিনি জানান, সংগঠনের অর্থ খরচ করে সিকিউরিটি নিয়োগ করে চট্টগ্রাম ভবন পাহারা দেওয়া হচ্ছে। নানাভাবে তারা অহেতুক অর্থ খরচ করছে।
মাকসুদ চৌধুরী জানান, আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আদালতের কাছে গিয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহের-আরিফের নেতৃত্বাধীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ঠিকানাকে জানান, মাকসুদ চৌধুরী আদালতে মামলা করেছেন। তার উচিত আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। কিন্তু তিনি তা না করে আইন অমান্য করে তালা ভেঙে চট্টগ্রাম ভবনের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমরা এ বিষয়ে পুলিশ রিপোর্ট করেছি। সর্বশেষ চট্টগ্রাম ভবনে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সিকিউরিটি কর্মীরা তাদের ঢুকতে দেয়নি।
তিনি জানান, আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে মাকসুদ চৌধুরী বেআইনি কর্মকাণ্ড আদালতে তুলে ধরবো। যেহেতু আমাদের কমিটি বৈধ, তাই পুলিশের পরামর্শে আমাদের দখলে থাকবে চট্টগ্রাম ভবন।
