Thikana News
০৯ মে ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

নমিনেশন পেপার জমা দিলেন এম এম শাহীন

নমিনেশন পেপার জমা দিলেন এম এম শাহীন

প্রবাসী ও পর্যটন-অধ্যুষিত মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন। ৩ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে এই আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। যাচাই-বাছাই শেষে এম এম শাহীনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার-২ আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এম এম শাহীন ছাড়া এই আসনের বাকি ৮ বৈধ প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান ও মো. আব্দুল মতিন, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম ও আবদুল মালিক, জাসদের অ্যাডভোকেট মো. বদরুল হোসেন ইকবাল, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোসাইন রাহমানী, ইসলামী ফ্রন্টের আব্দুল মোস্তাকিম তামিম ও এনামুল হক মাহতাব।
মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কুলাউড়াবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দেশে ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন বলেন, ‘পশ্চাৎপদ কুলাউড়াকে এগিয়ে নেওয়া এবং প্রবাসীদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যেই আমার রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ। দ্বাদশ নির্বাচনে অনেক দলই অংশ নিচ্ছে না। আবার বেশ কিছু নতুন দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আমিও তাদেরই একজন। এমন পরিস্থিতিতে কুলাউড়ার ময়মুরব্বি আর প্রবাসী বন্ধুদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমার কাছে দলের চেয়েও বড় ফ্যাক্টর আমার অহংকার কুলাউড়া আর আমার গর্ব প্রবাসীরা। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি কুলাউড়াকে তার বর্তমানের হতশ্রী অবস্থা থেকে মুক্ত করা আর জীবনভর অবহেলিত প্রবাসীদের মর্যাদাকে সমুন্নত করার মহান লক্ষ্য নিয়েই নতুন রূপে আমার এই নির্বাচনী অভিযাত্রা। সম্মানিত প্রবাসী ও প্রিয় কুলাউড়াবাসীর আকাঙ্খা, অকুণ্ঠ সমর্থন আর সার্বিক সহযোগিতার পরিপূর্ণ আশ্বাস আমাকে এই নির্বাচনী যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হতে অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংরক্ষিত ৫০টিসহ জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন প্রতিনিধি থাকলেও প্রবাসীদের সত্যিকারের কোনো প্রতিনিধি নেই। প্রবাসীদের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণের পক্ষে সোচ্চার কোনো কণ্ঠ নেই। দেশের জন্য প্রবাসীদের ত্যাগ সীমাহীন হলেও তাদের প্রাপ্তির কোটা শূন্য। তাই প্রবাসীদের একজন সত্যিকারের কণ্ঠস্বর হিসেবে, প্রবাসীদের একজন স্পোকসম্যান হিসেবে আগামী সংসদে প্রতিনিধিত্ব করাও আমার অন্যতম লক্ষ্য। প্রবাসীদের জন্য অতীতে আমি কী করেছি, তা আপনাদের অজানা নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে আরও অনেক কাজ করার স্বপ্ন পোষণ করে আসছি, যা কেবল ব্যক্তিগত উদ্যোগে সম্ভব নয়; এ জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। নিজের মনের কোণে পুষে রাখা প্রবাসীবান্ধব এসব অসম্পূর্ণ কাজ সমাধা করার জন্য দরকার আপনাদের সমর্থন, পরামর্শ আর সার্বিক সহযোগিতা।’
প্রবাসীদের উদ্দেশে এম এম শাহীন বলেন, ‘ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও আরাম-আয়েশ পরিহার করে জীবনের ৪০টি বছর প্রবাসী ও কুলাউড়াবাসীর খেদমতে বিলিয়ে দিয়েছি। জীবনের বাকি সময়টুকুও প্রবাসী-স্বদেশবাসীর জন্যই উৎসর্গ করতে চাই। আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কুলাউড়ার অসংখ্য প্রবাসী অবস্থান করছেন। আমি আপনাদের একান্ত আপনজন ও স্বজন। আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ দাবি, আসন্ন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর সশরীরে কুলাউড়ায় অবস্থান করে আমার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিন। আর প্রত্যেকের স্বজনদের আমার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করবেন। কুলাউড়া প্রবাসীরা ছাড়াও সারা বিশ্বের সকল প্রবাসী বাংলাদেশির প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা যে যেখানেই আছেন, আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে সর্বাত্মক শক্তি ও সাহস জোগাবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনারা আমার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেবেন। আপনাদের একজন স্পোকসম্যানকে সংসদে পাঠাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যা যা করণীয়, তার সবই করবেন বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘দেশের জিডিপির ৫ শতাংশের জোগান দেন সারা বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি। আর কুলাউড়ার প্রবাসীরা তাদের মূল্যবান রেমিট্যান্সের মাধ্যমে এখানকার ৩০ শতাংশ মানুষের ভরণপোষণ করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সারা দেশের বিভিন্ন উপজেলায় উন্নয়নের জোয়ার বইলেও দেশের অন্যতম বৃহৎ উপজেলা কুলাউড়া উন্নয়নবঞ্চিত। এর একমাত্র কারণ ওই সময়ে কুলাউড়ার প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্যদের উদাসীনতা, অপারগতা কিংবা ব্যর্থতা। কুলাউড়াবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে তারা সম্মানিত ভোটারদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন। তাই এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে আমি প্রবাসীদের সুরক্ষা ও মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠা এবং পশ্চাৎপদ কুলাউড়াকে স্বপ্নের উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে এম এম শাহীন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব, ইনশা আল্লাহ।’
কমেন্ট বক্স