রহমান আতাউর
না-ইবা পেলাম অরুণকিরণ প্রাতে
না-ইবা হলো দেখা পাখিদের সাথে।
না-ইবা শুনি বিহগ কলরব,
দেখি প্রভাকরের কোমল আলোয়
পল্লিপ্রাণের পিঠা উৎসব।
মাতৃকোলে একটি দুটি কুঁড়ি
হেঁশেল প্রাঙ্গণে একটি দুটি বুড়ি।
পিঠেতে পূর্ণ হোক, ছোট্ট সে ঝুড়ি।
নিয়ে এসো না হয়, একটুখানি পান-সুপারি।
ভোজনকালে নাহি খুমারি,
দিলে দিলে নাহি আজ খুনসুড়ি।
শুনব না, না হয় আজ
পাখিদের সুকণ্ঠ কূজন।
শুনব না, না হয় আজ
গুনগুন ভ্রমরের গুঞ্জন।
শুনব না, না হয় আজ
ঊর্বশীর নূপুর নিক্বণ।
উঠোনের একচিলতে হেঁশেল,
পিঠেতে পূর্ণ হোক তিজেল।
নবান্নে পিঠা উৎসবে, মম চিত্তের কর্ষণ।
গৃহপ্রাঙ্গণ উতলা আজ, মৃদু মদির সমীরণ।
না হয় আজ, দুধসিক্ত আমসত্ত্ব আম্রপালি,
পিঁড়িতে আসন পেতে সাজাও
জলভারে নত পিটালি।
উতপত পিষ্টকের মধুময় গন্ধ,
ভরা থাক মথন নাসারন্ধ্র।
এনেছি খর্জুর রসের হাঁড়ি
পিঠে যাবে কুটুমবাড়ি।
দিতে হবে খেয়া পাড়ি, পিঠে বানাও তাড়াতাড়ি।
ভাপাতে দাও খর্জুর গুড়, দাও নারকেল পুর।
পূর্ণ করো পিঠর, আনো তবে পিঠারি
বড় সাধ জাগে, আমি যদি হতেম পিঠারি।
সুখের লাগি বাঁধি নীড়
কত না, নাম না জানা, কত না পিঠে অচির।
পিঠাপুলিতে নাই নিবার, থাকি যেন অনিবার।
নিবসিছে মনের হরষে, হরেক রকম পিঠার পরশে।