আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ। সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলের মধ্যে সৃষ্ট কোন্দল নিরসনে সংশ্লিষ্টদের ঢাকায় আনার জন্য বিভাগীয় কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে পারে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে। সেই নির্বাচনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উন্মুক্ত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। অপরদিকে স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। আইনটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তার পর থেকে সকল স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে।
তবে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো দলীয় প্রার্থী রাখা হয়নি। তবে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকেই নির্বাচন করেছিলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। নির্বাচনযোগ্য হয়েছে ৪৮৫ উপজেলা পরিষদ। এর তালিকাও পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এ জন্য ইসি সচিবালয়ও প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, টানা চতুর্থবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এটিই ছিল আওয়ামী লীগের প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক।
ঠিকানা/এনআই



ঠিকানা অনলাইন


